ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০০৯ সালে অভিষেক হওয়া কেমার রোচ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে ভুগিয়ে আসছেন। ১৫ বছর পরও বাংলাদেশকে পেলেই জ্বলে ওঠেন তিনি। জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে শনিবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিনে দুই সেশন খেলা না হওয়ার পর সেই রোচই বাংলাদেশের দুটি উইকেট নেন। মুমিনুলকে শূন্য রানে ফেরালে দারুণ এক মাইলফলকও পূর্ণ হয় তার। প্রথম পেসার হিসাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ উইকেট পূর্ণ হলো রোচের।

অন্যদিকে শূন্যতে আউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন মুমিনুল। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ও শূন্যতে আউট হওয়ার রেকর্ড এখন তারই। রোচ ও মুমিনুলের দুরকম দুই রেকর্ডের দিনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান ইসলাম। রোববার দ্বিতীয়দিনে তিনি ৬৪ রানে আউট হলে সেটাই বাংলাদেশের ব্যাটারদের সর্বোচ্চ ইনিংস হয়ে যায়। ভালো অবস্থায় থাকারও আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে দুইশো ছুঁতে পারেনি। শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াইয়ে বাংলাদেশ মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে ১৫.৫ ওভারে দশ মেডেনে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে চার উইকেট নেন জেডেন সিলস।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। মাত্র ১০ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় তারা। এরপর প্রথমদিনে খেলা হয় আরও ২৩ ওভার। তবে সফরকারীরা উইকেট হারায়নি। স্বাগতিকদের কাছে অবশ্য সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তিনটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্যারিবীয় ফিল্ডাররা। আগের দিনের ৬৯ রানে দুই উইকেট নিয়ে খেলতে নেমে কাল শুরুটা ভালো করেছিল সাদমান ও শাহাদাত। পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটার আউট হলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর আর বড় কোনো জুটি তৈরি করতে পারেনি সফরকারীরা। প্রথম ছয় ব্যাটারের চারজনই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।

ছয় উইকেট হারানোর পর দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের প্রতিরোধ গড়েন। সপ্তম উইকেটে তারা ৪১ রান করেন। তাইজুল ১৬ এবং মিরাজের ৩৬ রানেই দেড়শ পার করে বাংলাদেশ। সিলস সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন।

তিনটি উইকেট নেন শামার জোসেফ। দুটি উইকেট পান কেমার রোচ। তার আগের দিন শুরুতেই অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয় (৩)। উইকেটের পেছনে ভালো ক্যাচ নেন জশুয়া দ্য সিলভা। জয়কে ফেরানোর পরের ওভারে মুমিনুলকে ফিরিয়ে ৫০ পূর্ণ করেন রোচ। মুমিনুলও আউট হন অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট পেতে দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এ নিয়ে সাত টেস্ট খেলে শূন্যতে ফিরলেন চারবার। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডও এখন তার। ১৭ বার শূন্যতে আউট হয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে (১৬)। এই টেস্ট দিয়েই স্যার গ্যারি সোবার্সকে ছাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার (৮৬টি) কীর্তি গড়লেন ক্রেগ ব্রাফেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ১৬৪/১০, ৭১.৫ ওভারে (সাদমান ৬৪, শাহাদাত হোসেন ২২, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৬, তাইজুল ইসলাম ১৬। কেমার রোচ ২/৪৫, সিলস ৪/৫, শামার জোসেফ ৩/৪৯, আলজারি জোসেফ ১/২৯)। (অসমাপ্ত)

জনপ্রিয় সংবাদ

টিভিতে যা দেখবেন আজ

মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৯:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০০৯ সালে অভিষেক হওয়া কেমার রোচ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে ভুগিয়ে আসছেন। ১৫ বছর পরও বাংলাদেশকে পেলেই জ্বলে ওঠেন তিনি। জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে শনিবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিনে দুই সেশন খেলা না হওয়ার পর সেই রোচই বাংলাদেশের দুটি উইকেট নেন। মুমিনুলকে শূন্য রানে ফেরালে দারুণ এক মাইলফলকও পূর্ণ হয় তার। প্রথম পেসার হিসাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ উইকেট পূর্ণ হলো রোচের।

অন্যদিকে শূন্যতে আউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন মুমিনুল। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ও শূন্যতে আউট হওয়ার রেকর্ড এখন তারই। রোচ ও মুমিনুলের দুরকম দুই রেকর্ডের দিনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান ইসলাম। রোববার দ্বিতীয়দিনে তিনি ৬৪ রানে আউট হলে সেটাই বাংলাদেশের ব্যাটারদের সর্বোচ্চ ইনিংস হয়ে যায়। ভালো অবস্থায় থাকারও আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে দুইশো ছুঁতে পারেনি। শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াইয়ে বাংলাদেশ মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে ১৫.৫ ওভারে দশ মেডেনে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে চার উইকেট নেন জেডেন সিলস।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। মাত্র ১০ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায় তারা। এরপর প্রথমদিনে খেলা হয় আরও ২৩ ওভার। তবে সফরকারীরা উইকেট হারায়নি। স্বাগতিকদের কাছে অবশ্য সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তিনটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্যারিবীয় ফিল্ডাররা। আগের দিনের ৬৯ রানে দুই উইকেট নিয়ে খেলতে নেমে কাল শুরুটা ভালো করেছিল সাদমান ও শাহাদাত। পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটার আউট হলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর আর বড় কোনো জুটি তৈরি করতে পারেনি সফরকারীরা। প্রথম ছয় ব্যাটারের চারজনই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।

ছয় উইকেট হারানোর পর দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের প্রতিরোধ গড়েন। সপ্তম উইকেটে তারা ৪১ রান করেন। তাইজুল ১৬ এবং মিরাজের ৩৬ রানেই দেড়শ পার করে বাংলাদেশ। সিলস সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন।

তিনটি উইকেট নেন শামার জোসেফ। দুটি উইকেট পান কেমার রোচ। তার আগের দিন শুরুতেই অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয় (৩)। উইকেটের পেছনে ভালো ক্যাচ নেন জশুয়া দ্য সিলভা। জয়কে ফেরানোর পরের ওভারে মুমিনুলকে ফিরিয়ে ৫০ পূর্ণ করেন রোচ। মুমিনুলও আউট হন অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ব্যাট পেতে দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এ নিয়ে সাত টেস্ট খেলে শূন্যতে ফিরলেন চারবার। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডও এখন তার। ১৭ বার শূন্যতে আউট হয়ে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে (১৬)। এই টেস্ট দিয়েই স্যার গ্যারি সোবার্সকে ছাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার (৮৬টি) কীর্তি গড়লেন ক্রেগ ব্রাফেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ১৬৪/১০, ৭১.৫ ওভারে (সাদমান ৬৪, শাহাদাত হোসেন ২২, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৬, তাইজুল ইসলাম ১৬। কেমার রোচ ২/৪৫, সিলস ৪/৫, শামার জোসেফ ৩/৪৯, আলজারি জোসেফ ১/২৯)। (অসমাপ্ত)