ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটিকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে: ড. ইউনূস Logo বিসিএসের আবেদন ফি হচ্ছে ২০০ টাকা Logo পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ Logo কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে বললেন ট্রাম্প Logo ইউটিউব দেখে অস্ত্র চালানো শিখে প্রেমিকাকে হত্যা করেন প্রেমিক Logo গাজাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চলছেই নিহত আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি Logo আজ জবিতে এক মঞ্চে ছাত্রদল-শিবির সভাপতিসহ থাকবেন ১২ সংগঠনের নেতা Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক আজ Logo দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিস Logo ভারতের উচিত ‘৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা’-মাহফুজ আলম

একদফা দাবি অব্যাহত রেখে ববি উপাচার্যের সাথে বসতে চায় শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যকে পদত্যাগ চাওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীরা।এসময় উপাচার্যের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে বসতে চায়লে আগামিকাল ( ১ ডিসেম্বর) সকালে বসতে সম্মতি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীদের একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মত বিনিময় সভায় উপাচার্যের সাথে আলোচনায় বসতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । তবে একদফা দাবি অর্থাৎ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি অব্যাহত রেখে বসতে চান তারা।এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ সহ স্বৈরাচারী দোসরদের পুনর্বাসন যাতে না করা হয় সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়।পরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় উপাচার্যের পদত্যাগ চাওয়ার কারণ উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা (শিক্ষার্থীরা)।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা কারণগুলো উল্লেখ করে বলেন, প্রথমত উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেননি এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে কোন কাজই করা হয়নি। বিতর্কিত লোককে বিশ্ববিদ্যালয় এর গুরুত্বপুর্ন অবস্থানে বসানো হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত লোককে কোষাধ্যক্ষ  করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় এর অফিস সময়ের বাইরে রাত ৮ টায় বিতর্কিত কোষাধ্যক্ষকে অফিসে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। রাত ২ টায় সহকারী রেজিস্ট্রার কে জোর করে অফিসিয়াল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা। যেটি ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দেওয়ার আগেই করা হয়।  স্বৈরাচার সরকারের বিভিন্ন নাম এবং সিগনেচার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত না সরানো। জুলাই বিপ্লবে আক্রমণ করা ছাত্রলীগ এর বিচার করতে ব্যর্থ হওয়া। ডিন,বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা উপাচার্যের কাছ থেকে অসহযোগিতা পাওয়া। বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল শিটে স্বাক্ষরে বিলম্ব করা। সর্বশেষ, শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২ দফার কোনো বাস্তবায়নের আগ্রহ না দেখানো।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শাহেদ জানান, আমরা একদফা দাবি অব্যাহত রেখে ভিসির পক্ষ থেকে যে আলোচনার কথা বলা হয়েছে সেখানে বসতে চায়। এটা আমাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আলোচনার পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটিকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে: ড. ইউনূস

একদফা দাবি অব্যাহত রেখে ববি উপাচার্যের সাথে বসতে চায় শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৯:৩৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যকে পদত্যাগ চাওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীরা।এসময় উপাচার্যের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে বসতে চায়লে আগামিকাল ( ১ ডিসেম্বর) সকালে বসতে সম্মতি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীদের একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মত বিনিময় সভায় উপাচার্যের সাথে আলোচনায় বসতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । তবে একদফা দাবি অর্থাৎ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি অব্যাহত রেখে বসতে চান তারা।এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ সহ স্বৈরাচারী দোসরদের পুনর্বাসন যাতে না করা হয় সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়।পরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় উপাচার্যের পদত্যাগ চাওয়ার কারণ উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা (শিক্ষার্থীরা)।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা কারণগুলো উল্লেখ করে বলেন, প্রথমত উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেননি এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে কোন কাজই করা হয়নি। বিতর্কিত লোককে বিশ্ববিদ্যালয় এর গুরুত্বপুর্ন অবস্থানে বসানো হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত লোককে কোষাধ্যক্ষ  করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় এর অফিস সময়ের বাইরে রাত ৮ টায় বিতর্কিত কোষাধ্যক্ষকে অফিসে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। রাত ২ টায় সহকারী রেজিস্ট্রার কে জোর করে অফিসিয়াল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা। যেটি ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দেওয়ার আগেই করা হয়।  স্বৈরাচার সরকারের বিভিন্ন নাম এবং সিগনেচার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত না সরানো। জুলাই বিপ্লবে আক্রমণ করা ছাত্রলীগ এর বিচার করতে ব্যর্থ হওয়া। ডিন,বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা উপাচার্যের কাছ থেকে অসহযোগিতা পাওয়া। বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল শিটে স্বাক্ষরে বিলম্ব করা। সর্বশেষ, শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২ দফার কোনো বাস্তবায়নের আগ্রহ না দেখানো।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শাহেদ জানান, আমরা একদফা দাবি অব্যাহত রেখে ভিসির পক্ষ থেকে যে আলোচনার কথা বলা হয়েছে সেখানে বসতে চায়। এটা আমাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আলোচনার পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।