ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজ থেকে বাংলাদেশে প্রথমবার চালু হচ্ছে গুগল পে Logo ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইরান, জানালেন ইরানে সিনিয়র কর্মকর্তা Logo ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পরও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মুখ খুলতে নিষেধাজ্ঞা জারি নেতানিয়াহু Logo মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর হু হু করে কমেছে তেলের দাম Logo আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল গুম কমিশনের মেয়াদ Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo ইরানে ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় আবারও ইসরায়েলি হামলা Logo যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যা বলছে ইরানের গণমাধ্যম Logo কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইরান

কেউ চোখ রাঙিয়ে বাংলাদেশকে নতজানু করতে পারবে না: রিজভী

কেউ চোখ রাঙিয়ে বাংলাদেশকে নতজানু করতে পারবে না: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।

তিনি আরও বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।

‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।

আজ থেকে বাংলাদেশে প্রথমবার চালু হচ্ছে গুগল পে

কেউ চোখ রাঙিয়ে বাংলাদেশকে নতজানু করতে পারবে না: রিজভী

আপডেট সময় ০৭:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।

তিনি আরও বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।

‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।