ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

চট্টগ্রামের রাউজানে বিজয় মেলা উদযাপন নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই এই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে বিজয় মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দু’পক্ষের বিরোধের কারণে তা স্থগিত হয়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গোলাম আকবর খন্দকারের পক্ষের নেতাকর্মীরা বিজয় মেলা উদযাপনের দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জি এম মোর্শেদ।

সংবাদ পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহিম উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আহতরা হলো. উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহিম উদ্দিন, সদস্য শাকিল হোসেন, মুহাম্মদ রিপন, মুহাম্মদ আলমগীর, মুহাম্মদ রবি, পৌর যুবদল সদস্য আবদুস সালাম, মুহাম্মদ রাকিবসহ ১০ জন।

এদিকে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী যুবদল নেতা রহিম উদ্দিন বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলেন। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা মোটরসাইকেলে এসে হামলা চালায় এবং ছয় থেকে সাতজনকে আহত করে।

অন্যদিকে, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী যুবদল নেতা সাবের সুলতান দাবি করেন, সমাবেশে আওয়ামী লীগের একাধিক দোসর উপস্থিত ছিল। তাদের সরিয়ে দিতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তাদের পক্ষের চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এদিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে ‘উগ্র বামপন্থিদের’ ভোট দিতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

আপডেট সময় ০৭:৪৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের রাউজানে বিজয় মেলা উদযাপন নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই এই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে বিজয় মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দু’পক্ষের বিরোধের কারণে তা স্থগিত হয়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গোলাম আকবর খন্দকারের পক্ষের নেতাকর্মীরা বিজয় মেলা উদযাপনের দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জি এম মোর্শেদ।

সংবাদ পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহিম উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আহতরা হলো. উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহিম উদ্দিন, সদস্য শাকিল হোসেন, মুহাম্মদ রিপন, মুহাম্মদ আলমগীর, মুহাম্মদ রবি, পৌর যুবদল সদস্য আবদুস সালাম, মুহাম্মদ রাকিবসহ ১০ জন।

এদিকে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী যুবদল নেতা রহিম উদ্দিন বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলেন। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা মোটরসাইকেলে এসে হামলা চালায় এবং ছয় থেকে সাতজনকে আহত করে।

অন্যদিকে, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী যুবদল নেতা সাবের সুলতান দাবি করেন, সমাবেশে আওয়ামী লীগের একাধিক দোসর উপস্থিত ছিল। তাদের সরিয়ে দিতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তাদের পক্ষের চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এদিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।