ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি গড়েও হারলো বাংলাদেশ

ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ড নারী দলকে ধবলধোলাই করলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেই হোচট খেলো বাংলাদেশ নারী দল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৩ রানে হারায় আইরিশরা। সিলেটে এ দিন আগে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ১৬৯ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান পর্যন্ত পৌঁছায় স্বাগতিকেরা।

অথচ এত বড় লক্ষ্য সত্ত্বেও একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো বাংলাদেশের জয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে হঠাৎ ব্যাটিং ধসে শেষ হয় স্বপ্ন। ১৩ ওভারে এক উইকেটে ১০৯ রান থেকে ১৮ ওভারে চার উইকেটে ১৫২ পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ।

তখনো সহজ সমীকরণ। শেষ ছয় উইকেটে দু’ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। তবে এ সময় ওরলা প্রিন্ডারগেস্টের করা ১৯তম ওভার মেইডেন দেয় টাইগ্রেসরা, হারায় জোড়া উইকেট। এখানেই মূলত হেরে যায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে নিতে পারে মোট চার রান।

মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশকে জেতাতে চেষ্টার কমতি রাখেনি আইরিশ নারীরা। একের পর এক ক্যাচ মিস, রান আউট ও স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করেছে তারা। সব মিলিয়ে ডজনখানেক জীবন দিয়েছে জাহানারা-জ্যোতিদের।

বাংলাদেশ মূলত পিছিয়ে যায় প্রথম ইনিংসের পরই। নিজেদের ইতিহাসে কখনো টি-টোয়েন্টিতে দেড় শ’ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই যাদের, তাদের সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭০ রানের!

এ দিন সাত ওভারে দলীয় ৪৬ রানের মধ্যে দু’ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ডে। ১৩ বলে ১০ রান করে অ্যামি হান্টার আর ১৫ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছিলেন ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট।

এরপর তৃতীয় ‍উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন লিয়া পল ও গ্যাবি লুইস। আইরিশদের বড় পুঁজি এনে দেয়ার কারিগর তারা দু’জনে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১৭.৪ ওভারের মধ্যে তারা দলকে পৌঁছে দেন ১৫৩ রানে।

তাদের ১০৭ রানের জুটি ভাঙেন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে ততক্ষণে লড়াইয়ের জন্য দারুণ পুঁজি তুলে নেয় তারা। ৪৫ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন লিয়া পল। ৪২ বলে ৬০ রান করেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস।

টাইগ্রেসদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, ফারিহা তৃষ্ণা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও নাহিদা আক্তার।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। ওপেনিং জুটিতেই দলকে শ’ রান এনে দেন দিলারা আক্তার ও সোবানা মোস্তারি। দ্বাদশ ওভারে গিয়ে দু’জনের ১০৩ রানের জুটি ভাঙেন ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট।

৩৫ বলে ৩৪৬ রানে থামেন সোবানা। তিনে নেমে মাত্র চার রানে ফেরেন নিগার সুলতানা। একই ওভারে অর্ধ শ’ স্পর্শ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন দিলারা। আউট হোন ৪১ বলে ৪৯ রানে।

এরপর শারমিন আক্তার আর তাজ নেহার হাল ধরার চেষ্টা করলেও তাজ থামেন ১৪ বলে ১৯ করেই। এরপর আর কেউ পারেননি দু’ অঙ্কের কাছে যেতে। শারমিনের ১৪ বলে ২৩ হয়ে থাকে কেবল সান্ত্বনা। আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্লেনে ক্যালি ও ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট।

জনপ্রিয় সংবাদ

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে সন্দেহের কথা জানাল শিবির

ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি গড়েও হারলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ড নারী দলকে ধবলধোলাই করলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেই হোচট খেলো বাংলাদেশ নারী দল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৩ রানে হারায় আইরিশরা। সিলেটে এ দিন আগে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ১৬৯ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান পর্যন্ত পৌঁছায় স্বাগতিকেরা।

অথচ এত বড় লক্ষ্য সত্ত্বেও একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো বাংলাদেশের জয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে হঠাৎ ব্যাটিং ধসে শেষ হয় স্বপ্ন। ১৩ ওভারে এক উইকেটে ১০৯ রান থেকে ১৮ ওভারে চার উইকেটে ১৫২ পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ।

তখনো সহজ সমীকরণ। শেষ ছয় উইকেটে দু’ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। তবে এ সময় ওরলা প্রিন্ডারগেস্টের করা ১৯তম ওভার মেইডেন দেয় টাইগ্রেসরা, হারায় জোড়া উইকেট। এখানেই মূলত হেরে যায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে নিতে পারে মোট চার রান।

মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশকে জেতাতে চেষ্টার কমতি রাখেনি আইরিশ নারীরা। একের পর এক ক্যাচ মিস, রান আউট ও স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করেছে তারা। সব মিলিয়ে ডজনখানেক জীবন দিয়েছে জাহানারা-জ্যোতিদের।

বাংলাদেশ মূলত পিছিয়ে যায় প্রথম ইনিংসের পরই। নিজেদের ইতিহাসে কখনো টি-টোয়েন্টিতে দেড় শ’ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই যাদের, তাদের সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৭০ রানের!

এ দিন সাত ওভারে দলীয় ৪৬ রানের মধ্যে দু’ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ডে। ১৩ বলে ১০ রান করে অ্যামি হান্টার আর ১৫ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছিলেন ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট।

এরপর তৃতীয় ‍উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন লিয়া পল ও গ্যাবি লুইস। আইরিশদের বড় পুঁজি এনে দেয়ার কারিগর তারা দু’জনে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১৭.৪ ওভারের মধ্যে তারা দলকে পৌঁছে দেন ১৫৩ রানে।

তাদের ১০৭ রানের জুটি ভাঙেন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে ততক্ষণে লড়াইয়ের জন্য দারুণ পুঁজি তুলে নেয় তারা। ৪৫ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন লিয়া পল। ৪২ বলে ৬০ রান করেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস।

টাইগ্রেসদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, ফারিহা তৃষ্ণা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও নাহিদা আক্তার।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। ওপেনিং জুটিতেই দলকে শ’ রান এনে দেন দিলারা আক্তার ও সোবানা মোস্তারি। দ্বাদশ ওভারে গিয়ে দু’জনের ১০৩ রানের জুটি ভাঙেন ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট।

৩৫ বলে ৩৪৬ রানে থামেন সোবানা। তিনে নেমে মাত্র চার রানে ফেরেন নিগার সুলতানা। একই ওভারে অর্ধ শ’ স্পর্শ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন দিলারা। আউট হোন ৪১ বলে ৪৯ রানে।

এরপর শারমিন আক্তার আর তাজ নেহার হাল ধরার চেষ্টা করলেও তাজ থামেন ১৪ বলে ১৯ করেই। এরপর আর কেউ পারেননি দু’ অঙ্কের কাছে যেতে। শারমিনের ১৪ বলে ২৩ হয়ে থাকে কেবল সান্ত্বনা। আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্লেনে ক্যালি ও ওরলা প্রেনদারগ্যাস্ট।