ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, আমাদের দেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন, এ লক্ষ্যে সরকার যেমন কাজ করছে, ধর্মীয় নেতারাও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা এই বার্তাটি দিতে চেয়েছি যে, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মন্তব্য করেন আহমাদুল্লাহ।
এর আগে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অনেক গণ্যমান্য আলেম ও ধর্মীয় নেতারা বৈঠকে ছিলেন জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘গোটা দেশের মুসলমান অত্যন্ত ধৈর্য এবং সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছি, ঠিক তেমনি এটি ধরে রাখবার সংগ্রামও চালিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে বৈঠকে রমনা মন্দিরের সহ-সম্পাদক অবিনাশ মিত্র প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমরা কখনো কোনো সময় কারো দ্বারা কখনো নির্যাতিত হতে চাই না।
যদি কেউ করে তাকে তুলে ধরে বিচার করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ঢুকে বিভিন্ন স্বার্থ হাসিলে বিশৃঙ্খলা করতে চায় যে। তাকে খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের ভাইকে মেরেছে।
কিন্তু এই ভাইকে কে মেরেছে তাকে খুঁজতে হবে। এটাকে পুঁজি করে বাহিরের রাষ্ট্র আমাদের ওপর মাছের আধারের মতো হিন্দুদের ওপরে চড়াও হয়ে একটা বড় কিছু তৈরি করে নিল। এটা আমরা চাই না। এদিকে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি সুকোমল বড়ুয়া প্রধান উপদেষ্টাকে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি-সম্প্রীতিতে বসবাস করতে চাই। একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন করতে চাই। বিদেশি মিশনগুলো, যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে তারাও থাকবে, বিশ্ব যাতে জানে আমরা শান্তি ও সম্প্রীতিতে আছি। বৈঠক শেষে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাৎক্ষণিক এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রদায়গত দৃষ্টিকোণ থেকে এক জায়গায় এসে মিলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে, সম্প্রদায়গত জায়গা থেকে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তবে বাহিরে যত অপপ্রচার চলুক বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অন্য জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়ন হলে সেটার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানকে প্রচার করতে গণমাধ্যমকে আহ্বান জানান তিনি।