ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

শত মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য।

আজ বৃহস্পতিবার দেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতারে সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।

এ সময় দেশ গড়তে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে একই আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নানা মত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম।

শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নয়। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে।

এর পরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবিদাওয়া দেওয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে, আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।

ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আবার নতুন কথা হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সব দিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। তথ্যের মধ্যে বিশাল ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এত বড় দেশে যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।

সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম, তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:৪০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শত মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য।

আজ বৃহস্পতিবার দেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতারে সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।

এ সময় দেশ গড়তে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে একই আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নানা মত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম।

শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নয়। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে।

এর পরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবিদাওয়া দেওয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে, আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।

ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আবার নতুন কথা হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সব দিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। তথ্যের মধ্যে বিশাল ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এত বড় দেশে যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।

সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম, তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে।