ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রংপুরে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত Logo ইসলামি সংস্কৃতি নিয়ে কিছু করলে আগে জামায়াত–শিবির ট্যাগ দেওয়া হতো: ফারুকী Logo অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ Logo মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের ধাওয়া সেনাবাহিনীর Logo শাহজাহান ওমরের গাড়িতে হামলা, মামলা করতে গিয়ে গ্রেফতার Logo বিএনপি ছেড়ে আ.লীগে যোগ দেওয়া শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা Logo ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হলেন টবি ক্যাডম্যান Logo আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস,শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে  করলেন দুই উপদেষ্টা Logo গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
মুজিববর্ষ উদযাপনে ব্যয় ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা

গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার মামুন, মুখ্য ভূমিকা জিয়াউলের

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • 28

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার মামুন, মুখ্য ভূমিকা জিয়াউলের

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আটক, নির্যাতন, গুম, হত্যা পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সেনাবাহিনীর জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই আটজনের মধ্যে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তা। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ছাড়া পুলিশের সাবেক ছয় কর্মকর্তা হলেন ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল হক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

গতকাল বুধবার প্রসিকিউশনের আবেদনে শুনানির পর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে রাখার আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, ‘এই আটজনের বিরুদ্ধে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-আন্দোলনে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত চলছে। যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে তাদের কারান্তরিন রাখা প্রয়োজন। সেই জন্য পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রথম আলো:

ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পেল আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া। নেই রাজনৈতিক দলের শাস্তিসংক্রান্ত ধারা।

‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়ায় সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের যে বিধান রাখা হয়েছিল, তা বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তবে কিছু সংশোধনী এনে করা অধ্যাদেশের খসড়াটি গতকাল বুধবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে।

সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গতকালই প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরাও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে বলেছিলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত চাইলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবেন। সেখানে (খসড়া) আদালতকে সেভাবে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, আদালত যদি মনে করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তাঁরা সুপারিশ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবেন।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং এটি গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে উপদেষ্টা পরিষদে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেছে, আমরা যে অধ্যাদেশের সংশোধনী করেছিলাম, সেখানে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, কোনো সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার যদি প্রয়োজন মনে করে, যদি মনে করে শাস্তি দেওয়া দরকার, তাহলে ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।’ তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় বলা হয়েছে, আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথা প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা একদম স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচারটি করতে চাই। সে জন্য এই বিধান বাতিল করা হয়েছে।’

আসিফ নজরুল বলেন, তাঁরা অনুভব করেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয়, সমাজে যদি নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে, তাহলে অন্যান্য আইন রয়েছে। সেসব আইনে নিষিদ্ধ করার বিধান আছে। সন্ত্রাস দমন আইনে রয়েছে, নির্বাচনী আইনে রয়েছে, ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮’-এ রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মাঠে ছুটছেন নেতারা
আগামী জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখে মাঠে ছুটছেন নেতারা। নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ রাজপথে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি। প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রত্যেক দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় কর্মসূচি, গণসংযোগ, নানান আচার-অনুষ্ঠান কিংবা জনকল্যাণের নামে চষে বেড়াচ্ছেন নিজ এলাকা। ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। উঠান বৈঠক করছেন। দলীয় নেতা-কর্মীসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এমনকি গত ১৫ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কখনোই মাঠে ছিলেন না- তাঁরাও এখন ঘন ঘন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এরই মধ্যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দল গোছাতে চায় বিএনপি। জেলা-উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। দেশের বেশির ভাগ নির্বাচনি এলাকা থেকেই এসব তথ্য পাওয়া গেছে

নয়াদিগন্ত:

মুজিববর্ষ উদযাপনে ব্যয় ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা
– খরচের শীর্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা
– ব্যয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতি ও অনিয়মের

ছয় অর্থবছরে মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য বিভিন্নœ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। এই খরচের পরিমাণ এক হাজার ২৬১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। মোট ১০টি খাতে তারা এই অর্থ খরচ করেছে। ব্যয়ের দিক থেকে ছয়টি মন্ত্রণালয়ই খরচ করেছে ৮৪ ভাগ অর্থ, যার পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৬০ কোটি টাকা। খরচের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই বিভাগ একাই ব্যয় করেছে ২৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এরপরই রয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য এই মন্ত্রণালয় ব্যয় দেখিয়েছে ২৭৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। শিল্প মন্ত্রণালয় খরচ করেছে ১৯৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের খরচ ১৩৮ কোটি তিন লাখ টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণায়ের ব্যয় ১৩৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। জননিরাপত্তা বিভাগ খরচ দেখিয়েছে ৪২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ মোট ১০টি খাতে অর্থ ব্যয় করেছে। ব্যয়ের এই খাতের মধ্যে রয়েছে- ভবনে ও করিডরে ড্রপডাউন পিভিসি ব্যানার, ডিজিটাল বিলবোর্ড ও স্টিল বিলবোর্ড স্থাপন। এ ছাড়া ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রস্তুত ও স্মরক গ্রন্থ প্রকাশ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। কোটপিন মুদ্রণ, আলোকসজ্জা, মুজিব কর্নার স্থাপন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিকিৎসাসেবা দেয়া। এর বাইরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরে নলকূপ স্থাপন ইত্যাদিও ছিল।
অর্থ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খরচের এই হিসাব দিয়েছে। তবে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখন পর্যন্ত পাঠায়নি বলে জানা গেছে। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের খরচের হিসাব পাওয়া গেলে মুজিব বর্ষ উদযাপনের ব্যয় আরো বাড়বে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। যেমন- ৬৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কত অর্থ ব্যয় করেছে তার কোনো বিবরণী অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়নি।

যুগান্তর:

সীমাহীন কষ্ট নগরবাসীর
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। এতে মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, আগারগাঁওয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আবার দুপুরে বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, পল্টন, প্রেস ক্লাব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুই ঘটনায় কোথাও কোথাও যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগী, অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলশিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শিশু, বৃদ্ধ এবং কর্মজীবী নারীরা আটকা পড়েন। সবমিলিয়ে দিনভর সীমাহীন কষ্ট পেতে হয় নগরবাসীকে-

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে সায়েন্সল্যাব রণক্ষেত্র

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুধবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা পৌনে ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার বাসের ওঠার মতো ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যরাও যোগ দেন। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বিকাল সাড়ে ৫টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

দৈনকি সংগ্রাম:

ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে প্রতীকী কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনু এবং রাশেদ খান মেননের প্রতীকী কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠন। গতকাল বুধবার মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র মিলনাতয়নের (টিএসসি) পায়রা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, হলপাড়া, কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টিএসসিতে এতে শেষ হয়।

এর আগে, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতার প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ফ্যাসিবাদের হামলায় জুলাই-আগস্টে যারা হারিয়ে গেছে তারা আর কখনো ফিরবে না। তাহলে ফ্যাসিবাদ কেন আবার ফিরে আসবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রতি বড় বড় রাজনৈতিক দল গুলো দুহাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের এমন স্বপ্ন এই বাংলাদেশে আর কখনো বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে নাকি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের রায় দিয়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনাদের ম্যান্ডেট কে দিয়েছে? আহত ও শহীদদের ম্যান্ডেট হলো আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এখনো আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। অথচ আমাদের শুনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে। আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আহ্বান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যে ছাত্রজনতা জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, তারা চায় না আওয়ামী লীগ ফিরে আসুক। এই বিষয়ে উপদেষ্টাদের কাছ থেকে স্পষ্ট বিবৃতি চাই।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর ১০০ দিন পার হওয়ার পরও ফ্যাসিবাদীরা উঁকিঝুঁকি করছে। বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও যুক্ত হচ্ছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য ছাত্রজনতা আবারও এক হয়েছে।

মানবজমিন:

রণক্ষেত্র সায়েন্সল্যাব
রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সায়েন্সল্যাব এলাকা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষ থামাতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। দুপুরের পর শুরু হওয়া সংঘর্ষ সেনাসদস্য ও পুলিশের চেষ্টায় সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রণে আসে। বেলা ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এসময় এলাকাটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল ৫টায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরজমিন দেখা যায়, দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী ধানমণ্ডি-১ নম্বর রোড দিয়ে ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে ধাওয়া দিয়ে ২ নম্বর স্টার কাবাবের দিকে এগিয়ে যায়। তাদের কয়েকজনের গায়ে কলেজ ড্রেস থাকলেও বাকিরা ছিল সিভিল ড্রেসে। অন্যদিকে ঢাকা সিটি কলেজের পোশাক পরা একদল শিক্ষার্থী ইট ছুড়তে ছুড়তে পাল্টা ধাওয়া দেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘর থেকে বের হওয়া নারী-পুরুষসহ সাধারণ মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। বিকাল ৩টায় ধানমণ্ডি-১ নম্বর রাস্তার মোড়ে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সামিন নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ-সাউথের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটান ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সমকাল:

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হবে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বের পাশাপাশি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বন্যা, খরা, ঝড়-বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়সহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত এলাকার শেষ ভরসাস্থল। বরাবরের মতো এবারও দেশের ক্রান্তিলগ্নে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এর পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিন বাহিনী প্রধান।

কালবেলা:ভারপ্রাপ্ত মেয়র হয়েই বহু কীর্তি কিরণেরhttps://www.kalbela.com/ajkerpatrika/firstpage/140963
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। সোমবার রাতে যশোরের শার্শা সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস জানান, বিনা পাসপোর্টে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিরণের বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় অনেক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিরণের বাবা নূর মোহাম্মদ ছিলেন একটি স্কুলের দপ্তরি। কিরণ প্রথমে টঙ্গীর একটি কারখানায় কর্মচারী হিসেবে চাকচি করতেন। পরে তিনি টঙ্গী পৌরসভার কমিশনার হন। এরপরই তার ভাগ্য খুলে যায়। টাকা ও ক্ষমতার জোরে তিনি একাধিকবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন। এরপর তিনি দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান।

দেশরুপান্তর:চালাতে অক্ষম কারখানা বন্ধের কথা ভাবছে সরকারhttps://www.deshrupantor.com/552886
চালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা মূল্যায়নের ভিত্তিতে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাববে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রমিকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের নানা দাবি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। প্রায় প্রতিটি দাবি সমাধানের চেষ্টা করেছি। বেতন না দিলে তো শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপের কর্মীদের জন্য দুই মাসের বেতন সরকার ব্যাংক থেকে জোগাড় করে দিয়েছে। এটা এভাবেই চলতে থাকবে, সেটা চাই না। স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করব। তারা প্রস্তাব দেবে।’ তিনি বলেন, ‘যেসব কারখানার অর্ডার নেই, চালানোর মতো সক্ষমতা নেই, মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেসব কারখানা সরকার বন্ধ করার ব্যাপারে ভাববে। শ্রমিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

মুজিববর্ষ উদযাপনে ব্যয় ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা

গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার মামুন, মুখ্য ভূমিকা জিয়াউলের

আপডেট সময় ০৭:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার মামুন, মুখ্য ভূমিকা জিয়াউলের

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আটক, নির্যাতন, গুম, হত্যা পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সেনাবাহিনীর জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই আটজনের মধ্যে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তা। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ছাড়া পুলিশের সাবেক ছয় কর্মকর্তা হলেন ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল হক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

গতকাল বুধবার প্রসিকিউশনের আবেদনে শুনানির পর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে রাখার আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, ‘এই আটজনের বিরুদ্ধে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-আন্দোলনে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত চলছে। যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে তাদের কারান্তরিন রাখা প্রয়োজন। সেই জন্য পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রথম আলো:

ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পেল আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া। নেই রাজনৈতিক দলের শাস্তিসংক্রান্ত ধারা।

‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়ায় সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের যে বিধান রাখা হয়েছিল, তা বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তবে কিছু সংশোধনী এনে করা অধ্যাদেশের খসড়াটি গতকাল বুধবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে।

সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গতকালই প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরাও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে বলেছিলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত চাইলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে পারবেন। সেখানে (খসড়া) আদালতকে সেভাবে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, আদালত যদি মনে করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তাঁরা সুপারিশ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবেন।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং এটি গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে উপদেষ্টা পরিষদে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেছে, আমরা যে অধ্যাদেশের সংশোধনী করেছিলাম, সেখানে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, কোনো সংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার যদি প্রয়োজন মনে করে, যদি মনে করে শাস্তি দেওয়া দরকার, তাহলে ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।’ তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় বলা হয়েছে, আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথা প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা একদম স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচারটি করতে চাই। সে জন্য এই বিধান বাতিল করা হয়েছে।’

আসিফ নজরুল বলেন, তাঁরা অনুভব করেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য যদি নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয়, সমাজে যদি নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে, তাহলে অন্যান্য আইন রয়েছে। সেসব আইনে নিষিদ্ধ করার বিধান আছে। সন্ত্রাস দমন আইনে রয়েছে, নির্বাচনী আইনে রয়েছে, ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮’-এ রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মাঠে ছুটছেন নেতারা
আগামী জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখে মাঠে ছুটছেন নেতারা। নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ রাজপথে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি। প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রত্যেক দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় কর্মসূচি, গণসংযোগ, নানান আচার-অনুষ্ঠান কিংবা জনকল্যাণের নামে চষে বেড়াচ্ছেন নিজ এলাকা। ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। উঠান বৈঠক করছেন। দলীয় নেতা-কর্মীসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এমনকি গত ১৫ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কখনোই মাঠে ছিলেন না- তাঁরাও এখন ঘন ঘন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এরই মধ্যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দল গোছাতে চায় বিএনপি। জেলা-উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। দেশের বেশির ভাগ নির্বাচনি এলাকা থেকেই এসব তথ্য পাওয়া গেছে

নয়াদিগন্ত:

মুজিববর্ষ উদযাপনে ব্যয় ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা
– খরচের শীর্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা
– ব্যয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতি ও অনিয়মের

ছয় অর্থবছরে মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য বিভিন্নœ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। এই খরচের পরিমাণ এক হাজার ২৬১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। মোট ১০টি খাতে তারা এই অর্থ খরচ করেছে। ব্যয়ের দিক থেকে ছয়টি মন্ত্রণালয়ই খরচ করেছে ৮৪ ভাগ অর্থ, যার পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৬০ কোটি টাকা। খরচের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই বিভাগ একাই ব্যয় করেছে ২৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এরপরই রয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য এই মন্ত্রণালয় ব্যয় দেখিয়েছে ২৭৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। শিল্প মন্ত্রণালয় খরচ করেছে ১৯৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের খরচ ১৩৮ কোটি তিন লাখ টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণায়ের ব্যয় ১৩৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। জননিরাপত্তা বিভাগ খরচ দেখিয়েছে ৪২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ মোট ১০টি খাতে অর্থ ব্যয় করেছে। ব্যয়ের এই খাতের মধ্যে রয়েছে- ভবনে ও করিডরে ড্রপডাউন পিভিসি ব্যানার, ডিজিটাল বিলবোর্ড ও স্টিল বিলবোর্ড স্থাপন। এ ছাড়া ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রস্তুত ও স্মরক গ্রন্থ প্রকাশ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। কোটপিন মুদ্রণ, আলোকসজ্জা, মুজিব কর্নার স্থাপন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিকিৎসাসেবা দেয়া। এর বাইরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরে নলকূপ স্থাপন ইত্যাদিও ছিল।
অর্থ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খরচের এই হিসাব দিয়েছে। তবে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখন পর্যন্ত পাঠায়নি বলে জানা গেছে। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের খরচের হিসাব পাওয়া গেলে মুজিব বর্ষ উদযাপনের ব্যয় আরো বাড়বে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। যেমন- ৬৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কত অর্থ ব্যয় করেছে তার কোনো বিবরণী অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়নি।

যুগান্তর:

সীমাহীন কষ্ট নগরবাসীর
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। এতে মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, আগারগাঁওয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আবার দুপুরে বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, পল্টন, প্রেস ক্লাব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুই ঘটনায় কোথাও কোথাও যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগী, অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলশিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শিশু, বৃদ্ধ এবং কর্মজীবী নারীরা আটকা পড়েন। সবমিলিয়ে দিনভর সীমাহীন কষ্ট পেতে হয় নগরবাসীকে-

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে সায়েন্সল্যাব রণক্ষেত্র

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুধবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা পৌনে ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার বাসের ওঠার মতো ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যরাও যোগ দেন। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বিকাল সাড়ে ৫টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

দৈনকি সংগ্রাম:

ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে প্রতীকী কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শেখ হাসিনা, হাসানুল হক ইনু এবং রাশেদ খান মেননের প্রতীকী কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠন। গতকাল বুধবার মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র মিলনাতয়নের (টিএসসি) পায়রা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, হলপাড়া, কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টিএসসিতে এতে শেষ হয়।

এর আগে, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতার প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ফ্যাসিবাদের হামলায় জুলাই-আগস্টে যারা হারিয়ে গেছে তারা আর কখনো ফিরবে না। তাহলে ফ্যাসিবাদ কেন আবার ফিরে আসবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রতি বড় বড় রাজনৈতিক দল গুলো দুহাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের এমন স্বপ্ন এই বাংলাদেশে আর কখনো বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে নাকি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের রায় দিয়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনাদের ম্যান্ডেট কে দিয়েছে? আহত ও শহীদদের ম্যান্ডেট হলো আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এখনো আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। অথচ আমাদের শুনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে। আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আহ্বান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যে ছাত্রজনতা জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, তারা চায় না আওয়ামী লীগ ফিরে আসুক। এই বিষয়ে উপদেষ্টাদের কাছ থেকে স্পষ্ট বিবৃতি চাই।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর ১০০ দিন পার হওয়ার পরও ফ্যাসিবাদীরা উঁকিঝুঁকি করছে। বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও যুক্ত হচ্ছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য ছাত্রজনতা আবারও এক হয়েছে।

মানবজমিন:

রণক্ষেত্র সায়েন্সল্যাব
রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সায়েন্সল্যাব এলাকা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষ থামাতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। দুপুরের পর শুরু হওয়া সংঘর্ষ সেনাসদস্য ও পুলিশের চেষ্টায় সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রণে আসে। বেলা ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এসময় এলাকাটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল ৫টায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরজমিন দেখা যায়, দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী ধানমণ্ডি-১ নম্বর রোড দিয়ে ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে ধাওয়া দিয়ে ২ নম্বর স্টার কাবাবের দিকে এগিয়ে যায়। তাদের কয়েকজনের গায়ে কলেজ ড্রেস থাকলেও বাকিরা ছিল সিভিল ড্রেসে। অন্যদিকে ঢাকা সিটি কলেজের পোশাক পরা একদল শিক্ষার্থী ইট ছুড়তে ছুড়তে পাল্টা ধাওয়া দেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘর থেকে বের হওয়া নারী-পুরুষসহ সাধারণ মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। বিকাল ৩টায় ধানমণ্ডি-১ নম্বর রাস্তার মোড়ে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সামিন নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ-সাউথের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটান ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সমকাল:

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হবে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বের পাশাপাশি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বন্যা, খরা, ঝড়-বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়সহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত এলাকার শেষ ভরসাস্থল। বরাবরের মতো এবারও দেশের ক্রান্তিলগ্নে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এর পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে তিন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিন বাহিনী প্রধান।

কালবেলা:ভারপ্রাপ্ত মেয়র হয়েই বহু কীর্তি কিরণেরhttps://www.kalbela.com/ajkerpatrika/firstpage/140963
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন। সোমবার রাতে যশোরের শার্শা সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস জানান, বিনা পাসপোর্টে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিরণের বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় অনেক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিরণের বাবা নূর মোহাম্মদ ছিলেন একটি স্কুলের দপ্তরি। কিরণ প্রথমে টঙ্গীর একটি কারখানায় কর্মচারী হিসেবে চাকচি করতেন। পরে তিনি টঙ্গী পৌরসভার কমিশনার হন। এরপরই তার ভাগ্য খুলে যায়। টাকা ও ক্ষমতার জোরে তিনি একাধিকবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন। এরপর তিনি দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান।

দেশরুপান্তর:চালাতে অক্ষম কারখানা বন্ধের কথা ভাবছে সরকারhttps://www.deshrupantor.com/552886
চালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা মূল্যায়নের ভিত্তিতে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাববে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রমিকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের নানা দাবি নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। প্রায় প্রতিটি দাবি সমাধানের চেষ্টা করেছি। বেতন না দিলে তো শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপের কর্মীদের জন্য দুই মাসের বেতন সরকার ব্যাংক থেকে জোগাড় করে দিয়েছে। এটা এভাবেই চলতে থাকবে, সেটা চাই না। স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করব। তারা প্রস্তাব দেবে।’ তিনি বলেন, ‘যেসব কারখানার অর্ডার নেই, চালানোর মতো সক্ষমতা নেই, মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেসব কারখানা সরকার বন্ধ করার ব্যাপারে ভাববে। শ্রমিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।’