ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের সড়ক অবরোধের দ্বিতীয় দিন

সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও রাজধানীতে মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াতের তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক, নৌপথ ও রেলপথ অবরোধ করে দলটির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকার গেন্ডারিয়া রেল স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর নেতৃত্বে চান্দগাঁও অঞ্চলে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর কোনাবাড়ি অঞ্চলের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন এলাকায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা মিছিল করেন।
যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ও বিভিন্ন জোট ও সমমনা দলের ঘোষিত সারা দেশে ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর ৩ দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ২য় দিনে সারা দেশে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী অবরোধ সমর্থনে মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা, গুলিবর্ষণ, যুবদল নেতার মৃত্যু এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটকের প্রতিবাদে ও অবরোধের সমর্থনে এ মিছিল করা হয়।

রাজধানীর রামপুরা বিশ্বরোড এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এরপর সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং করে নেতাকর্মীরা। আজ সকাল ৮টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। বিক্ষোভ ও পিকেটিংয়ের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। হুমকি দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে, দমন নিপীড়ন করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না। এবার জনগণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের সড়ক অবরোধের দ্বিতীয় দিন

আপডেট সময় ০১:২৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও রাজধানীতে মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াতের তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক, নৌপথ ও রেলপথ অবরোধ করে দলটির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকার গেন্ডারিয়া রেল স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর নেতৃত্বে চান্দগাঁও অঞ্চলে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর কোনাবাড়ি অঞ্চলের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন এলাকায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা মিছিল করেন।
যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ও বিভিন্ন জোট ও সমমনা দলের ঘোষিত সারা দেশে ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর ৩ দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ২য় দিনে সারা দেশে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী অবরোধ সমর্থনে মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা, গুলিবর্ষণ, যুবদল নেতার মৃত্যু এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটকের প্রতিবাদে ও অবরোধের সমর্থনে এ মিছিল করা হয়।

রাজধানীর রামপুরা বিশ্বরোড এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এরপর সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং করে নেতাকর্মীরা। আজ সকাল ৮টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। বিক্ষোভ ও পিকেটিংয়ের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। হুমকি দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে, দমন নিপীড়ন করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না। এবার জনগণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।