বাংলাদেশে ডিমের দাম হু হু করে বাড়ছে। এ অবস্থায় আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠান মোট ১৮ কোটি ৮০ লাখ ডিম আমদানি করবে। তবে, এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে বেশকিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাকসুদা খন্দকারের স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়েছে, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫ এর ৩৩ বিধান অনুযায়ী সীমিত সময়ের জন্য ডিম আমদানির আদেশ দেওয়া হলো।
ডিম আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো:
(ক) ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথের (ডব্লিউওএইচ) গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লুমুক্ত জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের কমপিটেন্ট অথরিটি কর্তৃক জোনিং/ কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট/ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
(খ) আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত/ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।
(গ) সরকারের নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধি-বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
(ঘ) ডিম আমদানির প্রতি চালানের অন্যূন ১৫ দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
(ঙ) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী সাত দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
(চ) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।