ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

কাকরাইল মসজিদের সামনে আবারও সাদপন্থিদের অবস্থান

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:৩৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 178

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদকে আসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন সাদপন্থিরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা।

এসময় আন্দোলনকারীরা জানায়, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের উপস্থিতি চান তারা। কিন্তু সাদের আসার অনুমতি না মেলায় সকালে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে সড়কেই অবস্থান নেন তারা।

এদিকে সাদপন্থিদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল ও এর আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া যাত্রীরা। এ ছাড়া এই পথ ব্যবহার করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া যাত্রীরাও যানজটে আটকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

এর আগে ঘোষণা করা হয়,আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ, তওবা না করলে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। নভেম্বরের শুরুতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা-মাশায়েখ মহাসম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

এ সময় মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী তার বক্তব্যে বলেছিলেন, সরকারের প্রতি আমার দাবি যতদিন মাওলানা সাদ তার গোমরাহি (বিভ্রান্তিকর) বক্তব্য থেকে তাওবা না করবেন, ততদিন তাকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া যাবে না। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শূরায়ে নেজাম দ্বারা পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে চালু রাখতে হবে।

মাওলানা সাদের সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরুব্বি মাওলানা সাদ বিভিন্ন সময় কোরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসুল, নবুওয়াত, সাহাবায়ে কেরাম এবং শরয়ী মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।

তার বক্তব্যগুলো কোরআন-সুন্নাহবিরোধী; যা মেনে নেওয়া যায় না। তার এসব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে তিনি চরম বিতর্কিত হয়েছেন। আলেমরা দায়িত্ব নিয়ে তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

কাকরাইল মসজিদের সামনে আবারও সাদপন্থিদের অবস্থান

আপডেট সময় ১০:৩৭:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদকে আসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন সাদপন্থিরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা।

এসময় আন্দোলনকারীরা জানায়, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের উপস্থিতি চান তারা। কিন্তু সাদের আসার অনুমতি না মেলায় সকালে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে সড়কেই অবস্থান নেন তারা।

এদিকে সাদপন্থিদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল ও এর আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া যাত্রীরা। এ ছাড়া এই পথ ব্যবহার করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া যাত্রীরাও যানজটে আটকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

এর আগে ঘোষণা করা হয়,আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ, তওবা না করলে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। নভেম্বরের শুরুতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওলামা-মাশায়েখ মহাসম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

এ সময় মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী তার বক্তব্যে বলেছিলেন, সরকারের প্রতি আমার দাবি যতদিন মাওলানা সাদ তার গোমরাহি (বিভ্রান্তিকর) বক্তব্য থেকে তাওবা না করবেন, ততদিন তাকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া যাবে না। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আলেমদের তত্ত্বাবধানে শূরায়ে নেজাম দ্বারা পরিচালিত হবে। কাকরাইল মারকাজের কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে চালু রাখতে হবে।

মাওলানা সাদের সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরুব্বি মাওলানা সাদ বিভিন্ন সময় কোরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসুল, নবুওয়াত, সাহাবায়ে কেরাম এবং শরয়ী মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।

তার বক্তব্যগুলো কোরআন-সুন্নাহবিরোধী; যা মেনে নেওয়া যায় না। তার এসব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে তিনি চরম বিতর্কিত হয়েছেন। আলেমরা দায়িত্ব নিয়ে তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।