ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গাবতলীতে বন্ধ বেশির ভাগ বাসের টিকিট কাউন্টার

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গাবতলীতে বন্ধ বেশির ভাগ বাসের টিকিট কাউন্টার

বিএনপির ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গাবতলীতে বাস টার্মিনালে বেশির ভাগ বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। হাতে গোনা যে কটি কাউন্টার খোলা আছে, সেগুলোতেও কোনো গন্তব্যের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।

বুধবার (১ নভেম্বর) বিএনপির ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গাবতলী আন্তজেলা বাসটার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

অন্যদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার কোনো গন্তব্যের যাত্রীও চোখে পড়েনি। মাঝেমধ্যে যে এক-দুজন যাত্রী টিকিটের খোঁজে টার্মিনালে যাচ্ছেন, তাঁদের বাস বন্ধ বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন বাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, প্রথমত যাত্রী একেবারে নেই। যাত্রী ছাড়া তো বাস চালানো অসম্ভব। আর দ্বিতীয়ত, রাস্তায় সহিংসতার আশঙ্কা। বিচ্ছিন্নভাবে অনেক স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাই বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, গাবতলী টার্মিনালে গোল্ডেন লাইন, সাকুরা পরিবহন, জেএল লাইন, দর্শনা ডিলাক্স, সুবর্ণ পরিবহন, ইসলাম পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন ও স্টার এক্সপ্রেস বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। হানিফ, শ্যামলী ও সোহাগ পরিবহনের দু-একটি কাউন্টার খোলা। তবে এসব কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। আবার কিছু কাউন্টার থেকে বিকেলের পর যোগাযোগ করতে বলে দিচ্ছেন সেখানে থাকা ব্যক্তিরা।

হানিফ পরিবহনের একটি কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা রাজীব হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে যাত্রী একেবারে নেই। এখন বাস চলুক আর নাই চলুক, কাউন্টার খোলা আমার ডিউটি। তাই খোলা রেখেছি। গ্রিন সেন্টমার্টিন পরিবহনের টিকিট বিক্রির কাউন্টার খোলা পাওয়া যায়। পরিবহনটি রাতে যাত্রীসেবা দেয়। দিনে তাদের কোনো বাস নেই। তবে রাতের জন্য কোনো অগ্রিম টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছিল না।

এদিকে মাঝেমধ্যে এক-দুজন টিকিটের খোঁজ করে গাবতলীতে আসছেন। বাস বন্ধ থাকায় এসব যাত্রী হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। মেহেরপুর যায় এমন প্রায় সাতটি পরিবহন রয়েছে গাবতলীতে। সব কটিতে খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু কোনো বাসের কাউন্টার থেকে বাস ছাড়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।

সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুজনে টার্মিনাল ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় একজন বলেন, ‘দুবাই থেকে ফিরলাম। অবরোধ চলছে জানতাম না। এখন চাচাতো ভাইয়ে বাসা সাভারে যাচ্ছি। যদি রাতে কোনো বাস ছাড়ে, তখন যাব। নয়তো অন্য কোনো উপায় দেখব। কিন্তু আপাতত সাভার যাচ্ছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ৭ দাবি নিয়ে সমাবেশ রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গাবতলীতে বন্ধ বেশির ভাগ বাসের টিকিট কাউন্টার

আপডেট সময় ১১:৫৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গাবতলীতে বাস টার্মিনালে বেশির ভাগ বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। হাতে গোনা যে কটি কাউন্টার খোলা আছে, সেগুলোতেও কোনো গন্তব্যের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।

বুধবার (১ নভেম্বর) বিএনপির ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গাবতলী আন্তজেলা বাসটার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

অন্যদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার কোনো গন্তব্যের যাত্রীও চোখে পড়েনি। মাঝেমধ্যে যে এক-দুজন যাত্রী টিকিটের খোঁজে টার্মিনালে যাচ্ছেন, তাঁদের বাস বন্ধ বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন বাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, প্রথমত যাত্রী একেবারে নেই। যাত্রী ছাড়া তো বাস চালানো অসম্ভব। আর দ্বিতীয়ত, রাস্তায় সহিংসতার আশঙ্কা। বিচ্ছিন্নভাবে অনেক স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাই বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, গাবতলী টার্মিনালে গোল্ডেন লাইন, সাকুরা পরিবহন, জেএল লাইন, দর্শনা ডিলাক্স, সুবর্ণ পরিবহন, ইসলাম পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন ও স্টার এক্সপ্রেস বাস কোম্পানির টিকিট বিক্রির কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। হানিফ, শ্যামলী ও সোহাগ পরিবহনের দু-একটি কাউন্টার খোলা। তবে এসব কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। আবার কিছু কাউন্টার থেকে বিকেলের পর যোগাযোগ করতে বলে দিচ্ছেন সেখানে থাকা ব্যক্তিরা।

হানিফ পরিবহনের একটি কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা রাজীব হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে যাত্রী একেবারে নেই। এখন বাস চলুক আর নাই চলুক, কাউন্টার খোলা আমার ডিউটি। তাই খোলা রেখেছি। গ্রিন সেন্টমার্টিন পরিবহনের টিকিট বিক্রির কাউন্টার খোলা পাওয়া যায়। পরিবহনটি রাতে যাত্রীসেবা দেয়। দিনে তাদের কোনো বাস নেই। তবে রাতের জন্য কোনো অগ্রিম টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছিল না।

এদিকে মাঝেমধ্যে এক-দুজন টিকিটের খোঁজ করে গাবতলীতে আসছেন। বাস বন্ধ থাকায় এসব যাত্রী হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। মেহেরপুর যায় এমন প্রায় সাতটি পরিবহন রয়েছে গাবতলীতে। সব কটিতে খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু কোনো বাসের কাউন্টার থেকে বাস ছাড়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।

সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুজনে টার্মিনাল ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় একজন বলেন, ‘দুবাই থেকে ফিরলাম। অবরোধ চলছে জানতাম না। এখন চাচাতো ভাইয়ে বাসা সাভারে যাচ্ছি। যদি রাতে কোনো বাস ছাড়ে, তখন যাব। নয়তো অন্য কোনো উপায় দেখব। কিন্তু আপাতত সাভার যাচ্ছি।