ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাজাহানপুরে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়  চাঁদাবাজী, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

বগুড়া শাজাহানপুরে আশেকপুর ইউনিয়নে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় দলের নাম ভাঙ্গীয়ে  বিএনপি এক সিনিয়র নেতার প্রত্যক্ষ মদতে এবং আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় এলাকায় চাঁদাবাজি চালানোর জোর গুন্জন উঠেছে। তাদের চাদাবাজীর কারনে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে এলাকার সাধারণ জনগন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকেই আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী সাকিদার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে  আওয়ামীলীগ নেতা আবুজাফর ও  ইনসান আলীর কর্মী নজরুল,আলমগীর, মুক্তার,আজিজ তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ চাদাবাজিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশেকপুর ইউনিয়নের একাধিক বিএনপি কর্মী জানান, ইনসান আলীর কর্মীরা নিজেদেরকে মামলা থেকে  বাঁচাতে এবং দখলদারিত্ব বজায় রাখতেই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী সাকিদারের সাথে হাত মিলিয়েছে ।

সাম্প্রতি, উপজেলার জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ এম শহিদুল ইসলামের দুর্নীতির কল রিকোর্ড ফাঁসের মাধ্যমে জানতে পারা যায়,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী অধ্যক্ষের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে অধ্যক্ষ ১ লক্ষ টাকা দিলেও ভয় ভীতিতে রেখেছে ইদ্রিস আলী সাকিদার। এছাড়া,কীটনাশক বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠান এগ্রোল্যান্ড লিমিটেডের ক্রয়কৃত জমিতে বালু ভরাটের ঘটনায় আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি  ইদ্রিস আলী সাকিদারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ জাকিরুল ইসলাম।

জোড়া মাদ্রাসার ছাত্র মিজানুর রহমানক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নতুন বাংলাদেশে এমন চাঁদাবাজ ও দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের যথাযথ ভূমিকা প্রয়োজন। তাছাড়া এলাকাবাসী আরো জানান,স্বৈরাচারের শাসনামলের কিছু নেতা কর্মী মুখোশ পাল্টিয়ে আবারো দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী সাকিদার সাংবাদিকদের জানান,একটি কুচক্রীমহল উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অধ্যক্ষ কল রিকোর্ডে তার কথা বলেনি। তিনি আরো জানান,,কল রিকোর্ড যে মিথ্যা সে মর্মে অধ্যক্ষ ভিডিও বার্তা দিয়েছে। তবে জাকিরুলের সাথে তার ভাইয়ের কথার কাটাকাটি হলে জাকিরুলকে আশেপাশের লোকজন চর থাপ্পড় দেই। তাছাড়া ওই ঘটনায় জাকিরুলের লোক জন থেকে তিনিও আহত হন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াদুদ আলম জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

শাজাহানপুরে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়  চাঁদাবাজী, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

আপডেট সময় ০৭:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়া শাজাহানপুরে আশেকপুর ইউনিয়নে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় দলের নাম ভাঙ্গীয়ে  বিএনপি এক সিনিয়র নেতার প্রত্যক্ষ মদতে এবং আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় এলাকায় চাঁদাবাজি চালানোর জোর গুন্জন উঠেছে। তাদের চাদাবাজীর কারনে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে এলাকার সাধারণ জনগন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকেই আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী সাকিদার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে  আওয়ামীলীগ নেতা আবুজাফর ও  ইনসান আলীর কর্মী নজরুল,আলমগীর, মুক্তার,আজিজ তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ চাদাবাজিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশেকপুর ইউনিয়নের একাধিক বিএনপি কর্মী জানান, ইনসান আলীর কর্মীরা নিজেদেরকে মামলা থেকে  বাঁচাতে এবং দখলদারিত্ব বজায় রাখতেই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী সাকিদারের সাথে হাত মিলিয়েছে ।

সাম্প্রতি, উপজেলার জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ এম শহিদুল ইসলামের দুর্নীতির কল রিকোর্ড ফাঁসের মাধ্যমে জানতে পারা যায়,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী অধ্যক্ষের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে অধ্যক্ষ ১ লক্ষ টাকা দিলেও ভয় ভীতিতে রেখেছে ইদ্রিস আলী সাকিদার। এছাড়া,কীটনাশক বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠান এগ্রোল্যান্ড লিমিটেডের ক্রয়কৃত জমিতে বালু ভরাটের ঘটনায় আশেকপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি  ইদ্রিস আলী সাকিদারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ জাকিরুল ইসলাম।

জোড়া মাদ্রাসার ছাত্র মিজানুর রহমানক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নতুন বাংলাদেশে এমন চাঁদাবাজ ও দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের যথাযথ ভূমিকা প্রয়োজন। তাছাড়া এলাকাবাসী আরো জানান,স্বৈরাচারের শাসনামলের কিছু নেতা কর্মী মুখোশ পাল্টিয়ে আবারো দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী সাকিদার সাংবাদিকদের জানান,একটি কুচক্রীমহল উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অধ্যক্ষ কল রিকোর্ডে তার কথা বলেনি। তিনি আরো জানান,,কল রিকোর্ড যে মিথ্যা সে মর্মে অধ্যক্ষ ভিডিও বার্তা দিয়েছে। তবে জাকিরুলের সাথে তার ভাইয়ের কথার কাটাকাটি হলে জাকিরুলকে আশেপাশের লোকজন চর থাপ্পড় দেই। তাছাড়া ওই ঘটনায় জাকিরুলের লোক জন থেকে তিনিও আহত হন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াদুদ আলম জানান, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।