ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুমিল্লায় হিন্দু নারীকে ধর্ষণ ইস্যুতে জামায়াত আমিরের কঠোর বার্তা Logo মালয়েশিয়ায় ৫ গাড়ির ভয়াবহ সংঘর্ষ,নিহত ২ Logo বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি নিয়ে রিভিউ আবেদনের আদেশ স্থগিত Logo মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় মধ্যরাতে আসিফ মাহমুদের স্ট্যাটাস Logo থানায় অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত বিধান করতে যাচ্ছে সরকার Logo মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেফতার Logo কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৩, ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল অভিযুক্ত Logo দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড় Logo ভারতের‘অপারেশন সিঁদু’র নেতৃত্ব দেওয়া সেই পরাগ হলেন ‘র’ প্রধান Logo গভীর রাতে তরুণীসহ আটক জবি ছাত্রদল নেতা রিফাত, ভিডিও ভাইরাল

শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অনিয়ম,ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:১১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • 340

বগুড়া শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদ ও অপসারণের দাবিতে  আট দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার ৬ নভেম্বর দুপুর ১২ ঘটিকায়  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জোড়া নজমুল উলুম কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সভাপতি স্বৈরাচারের দোসর চাঁদাবাজ ইনসান আলী কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়ে আসছে।

দুর্নীতি এবং অনিয়মের মাঝে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মাদ্রাসার সম্পদ বিক্রি, ভুয়া এনটিআরসি সার্টিফিকেট দ্বারা চাকুরী প্রদান, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ এবং শিক্ষকদের প্রাপ্য টিউশন ফি আত্মত্মসাৎ ও সংস্কারের নামে মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা সহ নিয়োগ বাণিজ্যের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অন্যতম। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় সবাই মুখ বন্ধ করে থাকলেও মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।

শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবি  হলো:

১। দুর্নীতিমুক্ত মাদ্রাসা চাই, বিগত ৫ বছরের আয় ও ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে।

২। করনাকালীন সময়ে সরকার প্রদেয় প্রণোদনার পাঁচ লক্ষ টাকার শিক্ষার্থী অংশের টাকা আত্মসাৎ এর তদন্ত চাই।

৩। মাদ্রাসার ৩০০ বিঘা সম্পদের এখন কত বিঘা অবশিষ্ট আছে জানাতে হবে এবং বার্ষিক আয় ব্যায়ের হিসাব প্রদান করতে হবে।

৪। ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রাবাসকে কে,জি, স্কুল হিসেবে ব্যবহার করার কারণে ছাত্রদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিধায় কেজি ভুলকে স্থানান্তর করে ছাত্রাবাসকে বসবাসের উপযোগী ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫। লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই ও পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। মাদরাসায় ছাত্র সংসদ গঠন ও মানসম্মত ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে।

৬। অনৈতিক কার্যকলাপ রোধে মেয়েদের কমনরুমের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ছত্রীদের নামাজের সু-ব্যবস্থা এবং ভাঙ্গাচুরা বাথরুম মেরামত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

৭। ক্লাস চলাকালীন সময়ে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৮। এগুলো দাবি বাস্তবায় করতে না পারলে অধ্যক্ষের পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর  অধ্যক্ষের পদত্যগের দাবীতে মানববন্ধন করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) এডিসি আব্দুল করিম দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখনো তদন্ত শুরু না করায় ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লায় হিন্দু নারীকে ধর্ষণ ইস্যুতে জামায়াত আমিরের কঠোর বার্তা

শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অনিয়ম,ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

আপডেট সময় ০৮:১১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়া শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদ ও অপসারণের দাবিতে  আট দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার ৬ নভেম্বর দুপুর ১২ ঘটিকায়  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জোড়া নজমুল উলুম কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সভাপতি স্বৈরাচারের দোসর চাঁদাবাজ ইনসান আলী কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়ে আসছে।

দুর্নীতি এবং অনিয়মের মাঝে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মাদ্রাসার সম্পদ বিক্রি, ভুয়া এনটিআরসি সার্টিফিকেট দ্বারা চাকুরী প্রদান, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ এবং শিক্ষকদের প্রাপ্য টিউশন ফি আত্মত্মসাৎ ও সংস্কারের নামে মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা সহ নিয়োগ বাণিজ্যের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অন্যতম। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় সবাই মুখ বন্ধ করে থাকলেও মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।

শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবি  হলো:

১। দুর্নীতিমুক্ত মাদ্রাসা চাই, বিগত ৫ বছরের আয় ও ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে।

২। করনাকালীন সময়ে সরকার প্রদেয় প্রণোদনার পাঁচ লক্ষ টাকার শিক্ষার্থী অংশের টাকা আত্মসাৎ এর তদন্ত চাই।

৩। মাদ্রাসার ৩০০ বিঘা সম্পদের এখন কত বিঘা অবশিষ্ট আছে জানাতে হবে এবং বার্ষিক আয় ব্যায়ের হিসাব প্রদান করতে হবে।

৪। ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রাবাসকে কে,জি, স্কুল হিসেবে ব্যবহার করার কারণে ছাত্রদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিধায় কেজি ভুলকে স্থানান্তর করে ছাত্রাবাসকে বসবাসের উপযোগী ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫। লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই ও পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। মাদরাসায় ছাত্র সংসদ গঠন ও মানসম্মত ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে।

৬। অনৈতিক কার্যকলাপ রোধে মেয়েদের কমনরুমের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ছত্রীদের নামাজের সু-ব্যবস্থা এবং ভাঙ্গাচুরা বাথরুম মেরামত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

৭। ক্লাস চলাকালীন সময়ে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৮। এগুলো দাবি বাস্তবায় করতে না পারলে অধ্যক্ষের পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর  অধ্যক্ষের পদত্যগের দাবীতে মানববন্ধন করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) এডিসি আব্দুল করিম দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখনো তদন্ত শুরু না করায় ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।