শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বলে তা সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া মূল সংবিধানের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী বাতিলের রুলের শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শেখ মুজিবের অবদানকে কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু তাকে জাতির পিতা বলে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া মূল সংবিধানের পরিপন্থী।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের দ্বৈত বেঞ্চে ১৫তম সংশোধনী বাতিলের রিটের ওপর পঞ্চম দিনের শুনানি চলছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমেই শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ কেন এই সংশোধনী বাতিল চায় সেই যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে এই নয় যে, শত শত মানুষকে গুম করা, হত্যা করা, নির্বিচারে গায়েবি মামলা দেওয়া কিংবা তথা কথিত গণতন্ত্রের নামে জনগণের সাথে প্রতারণা করা।
সংবিধানে দেশের সকল নাগরিককে জাতি হিসেবে বাঙালি বলার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এর ফলে পাবর্ত্য অঞ্চলের বিভিন্ন উপজাতিদের জোরপূর্বক বাঙালি পরিচয় দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশি সার্বভৌমত্বের মধ্যে ঐক্য ধ্বংশ করে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে।একটি দলের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে ১৫তম সংশোধনী আনা হয় বলে আদালতকে বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলা নিয়ে মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ওই দিন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অন্তর্বর্তী সরকার ‘জাতির পিতা’ মনে করে না বলে জানান।