ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তাহাজ্জুদের পর থেকেই মিথ্যা বলা শুরু করতো শেখ হাসিনা: প্রেস সচিব Logo আগের সরকার সীমান্তে ছাড় দিলেও, এখন ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শপথের আগে ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ Logo সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি Logo ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার,রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি Logo স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন হাসিনা Logo জাবিতে মহিলা হলে বহিরাগত যুবক আটক Logo শীতে কাপছে পঞ্চগড়, একদিনে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে ৭.৯ ডিগ্রিতে নামল Logo একইস্থানে বিএনপির দু‘পক্ষের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫ Logo থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

ঘর থেকে ব্যাংকে ফিরল ১৪ হাজার কোটি টাকা

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০২:২১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • 108

টানা ১০ মাস পর ঘরে রাখা টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। ব্যাংকে জমাকৃত টাকা তুলে নিজের কাছে রাখার প্রবণতা হঠাৎ বাড়তে শুরু করে গত বছরের নভেম্বর থেকে। এ প্রবণতায় ব্যাংকগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তবে বর্তমানে ঘরে রাখা টাকা আবার ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। গত দুই মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাংকে ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, বেশ কিছু কারণে মানুষের হাতে গত ১০ মাস টাকা বেড়েছিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা, দুই ঈদের বাড়তি খরচ, ব্যাংক মার্জের খবর এবং জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের প্রভাবে অনেকে টাকা তুলে নিয়েছিল।

তাই ব্যাংকের বাইরে টাকা বেড়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা উদ্যোগে স্থিতিশীলতা ফেরায় ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই ঘরে থাকা টাকা ব্যাংকে ফিরছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মানুষের কাছে নগদ টাকা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া বোঝা যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা সরবরাহের ওপর। ছাপানো নগদ টাকার একটি অংশ কেন্দ্রীয় ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় গচ্ছিত থাকে। দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোর ভল্টেও কিছু টাকা থাকে। এ ছাড়া ছাপানো টাকার একটি অংশ থাকে মানুষের হাতে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর শেষে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ কোটি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় ছিল ৫১ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। বাকি অর্থের ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোর ভল্টে এবং দুই লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ছিল মানুষের হাতে। অক্টোবর শেষে প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ এক হাজার ৮১ কোটি।

যদিও গত আগস্ট শেষে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৭২২ কোটি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় ছিল ৩৫ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। বাকি অর্থের ২৩ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা ব্যাংকগুলো ভল্টে এবং দুই লাখ ৯৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকা মানুষের হাতে ছিল। তবে ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ এক হাজার ৯৪৭ কোটি। আগস্ট শেষে প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ১৬ হাজার ৮০০ কোটি। অর্থাৎ দুই মাসে মানুষের হাতে থাকা ১৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তাহাজ্জুদের পর থেকেই মিথ্যা বলা শুরু করতো শেখ হাসিনা: প্রেস সচিব

ঘর থেকে ব্যাংকে ফিরল ১৪ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০২:২১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

টানা ১০ মাস পর ঘরে রাখা টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। ব্যাংকে জমাকৃত টাকা তুলে নিজের কাছে রাখার প্রবণতা হঠাৎ বাড়তে শুরু করে গত বছরের নভেম্বর থেকে। এ প্রবণতায় ব্যাংকগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তবে বর্তমানে ঘরে রাখা টাকা আবার ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। গত দুই মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাংকে ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, বেশ কিছু কারণে মানুষের হাতে গত ১০ মাস টাকা বেড়েছিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা, দুই ঈদের বাড়তি খরচ, ব্যাংক মার্জের খবর এবং জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের প্রভাবে অনেকে টাকা তুলে নিয়েছিল।

তাই ব্যাংকের বাইরে টাকা বেড়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা উদ্যোগে স্থিতিশীলতা ফেরায় ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই ঘরে থাকা টাকা ব্যাংকে ফিরছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, মানুষের কাছে নগদ টাকা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া বোঝা যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা সরবরাহের ওপর। ছাপানো নগদ টাকার একটি অংশ কেন্দ্রীয় ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় গচ্ছিত থাকে। দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোর ভল্টেও কিছু টাকা থাকে। এ ছাড়া ছাপানো টাকার একটি অংশ থাকে মানুষের হাতে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর শেষে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ কোটি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় ছিল ৫১ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। বাকি অর্থের ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোর ভল্টে এবং দুই লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ছিল মানুষের হাতে। অক্টোবর শেষে প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ এক হাজার ৮১ কোটি।

যদিও গত আগস্ট শেষে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৭২২ কোটি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় ছিল ৩৫ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। বাকি অর্থের ২৩ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা ব্যাংকগুলো ভল্টে এবং দুই লাখ ৯৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকা মানুষের হাতে ছিল। তবে ১৫ আগস্ট তা ছিল তিন লাখ এক হাজার ৯৪৭ কোটি। আগস্ট শেষে প্রচলনে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ১৬ হাজার ৮০০ কোটি। অর্থাৎ দুই মাসে মানুষের হাতে থাকা ১৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা ব্যাংকে ফিরেছে।