ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থনীতিতে হাসিনার বোঝা সরাতে পারছে না সরকার

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • 36

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

কালবেলা:

অর্থনীতিতে হাসিনার বোঝা সরাতে পারছে না সরকার
একটি দেশের নতুন সরকারের কর্মকাণ্ডের একশ দিনকে বলা হয় ‘হানিমুন পিরিয়ড’। এই সময়ে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি, কর্মপরিকল্পনায় আঁচ করা যায় তারা কোন দিকে যাচ্ছে বা যাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পার হয়েছে। তবে আগের শেখ হাসিনা সরকার অর্থনীতিকে যে খাদের কিনারে ফেলে গেছে, তা এখনো টেনে তুলতে পারেনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের দায় রেখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। এরপর ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই থেকে অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কারের ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের চেষ্টাও চলছে। তবে কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িত হাসিনা সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সর্বস্তরের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে, মানুষের আশার আলো ফিকে হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সংস্থার হালনাগাদ তথ্য বলছে, দু-একটি বাদে অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক এখনো নিম্নমুখী। সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। প্রতিদিনকার যন্ত্রণা হয়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। এটি একদিকে মানুষের সঞ্চয়ের টুঁটি চেপে ধরছে, অন্যদিকে ক্রেতার সক্ষমতায় চিড় ধরিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও যেমন তৈরি হয়েছে স্থবিরতা, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়েও বিরাট ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আবার সরকারের আয় কমে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ করার প্রবণতা বাড়ছে, যা কমিয়ে দিচ্ছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণ পরিস্থিতিতেও চলছে ভাটা। আর বিগত সরকারের লুটপাটের সবচেয়ে বড় থাবা পড়েছিল ব্যাংক খাতে। লুটের অধিকাংশ টাকাই দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। সেই পাচারের অর্থ দেশে ফেরাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে নতুন সরকার। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে মনে করছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরকার চিত্র উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি তো আরও করুণ। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে আপাতত খুব বেশি সুখবরের আভাস মিলছে না। তবে নানা সংকটের মধ্যেও আশার খবর হচ্ছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ছে। ফলে রিজার্ভ আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। বিদেশি ঋণ পাওয়ারও বেশকিছু আশ্বাস পাওয়া গেছে। ডলারের বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে।

দেশরুপান্তর:

দূরেই থাকবে বিএনপি জামায়াত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরে চলার ইতিহাস ৪৬ বছরের পুরনো আর রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক প্রায় দুই যুগের। ৫ আগস্টের আগ পর্র্যন্ত কোনো না কোনোভাবে এ সম্পর্ক টিকে ছিল। টানা ১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটির দৃশ্যত কোনো কর্মকান্ড নেই। এই সুযোগে রাজনীতির ফাঁকা মাঠে নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসেবে হাজির করতে চাইছে জামায়াত। একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিএনপিকে এড়িয়ে নানা ইস্যুতে অবস্থান নিতে দেখা গেছে দলটির শীর্ষ নেতাদের। দিন যত যাচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব তত বাড়ছে। বিএনপিও দূরত্ব ঘোচানোর চিন্তা বাদ দিয়ে অন্যান্য দল নিয়ে এগোতে চাইছে।

বিএনপির সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আলোচনা করেছেন নীতিনির্ধারকরা। নেতারা বলেছেন, জামায়াত বিএনপির কৌশলগত মিত্র ছিল। জোট বিলুপ্ত হওয়ার পর সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনেও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ছিল। হাসিনার পতন হয়েছে। দৃশ্যত জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতি এখন এক নয়। একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরেকটা রাজনৈতিক দলের যে সম্পর্ক থাকে, এখন দল দুটির সম্পর্ক সে রকমই। আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কৌশলগত থাকবে। সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগী হবে না বিএনপি।

দৈনিক সংগ্রাম:

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশের বেশি কমিয়েছে আদানি
বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার আদায়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড অপারেটর ও এ সংক্রান্ত আরও দুই সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছে। পূর্ব ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গোড্ডা প্লান্ট থেকে ঢাকায় বিদ্যুৎ রপ্তানি করা আদানি পাওয়ার আগস্টের শুরুতে সরবরাহ ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের তথ্য অনুসারে এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তার মতে গত বৃহস্পতিবার সরবরাহ আরও কমিয়ে প্রায় ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি এবং কেউ সরবরাহ বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।

বিপিডিবি কর্মকর্তা বলেন, বকেয়া পরিশোধ ত্বরান্বিত করা এবং গত ৭ নবেম্বর আদানি বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে নিলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্রমান্বয়ে কমছে। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ আদানির জন্য ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খুলেছে এবং অর্থ পরিশোধ ত্বরান্বিত করেছে। আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস এবং ঢাকার পেমেন্টের বিশদ সম্পর্কে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ থেকে চাহিদার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানো হয়েছে। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ বোর্ড ও আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তারা এসব কথা জানিয়েছেন বলে জানায় রয়টার্স।

প্রথম আলো:

সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের ‘ইচ্ছাপূরণ’ প্রকল্প বাতিল হচ্ছে

১০ মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে ৩৫টি প্রকল্প বাতিল অথবা স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে। এসব প্রকল্পের ব্যয় ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।

সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের নির্বাচনী এলাকা রাজবাড়ীতে একটি রেল কারখানা নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। ব্যয় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি। অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটি বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রেল মন্ত্রণালয়ের এখনকার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের দুটি কারখানা রয়েছে। জনবলসংকট, কম বরাদ্দ, পুরোনো যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের অভাবে কারখানা দুটি ধুঁকছে। সে দুটির আধুনিকায়ন না করে নতুন কারখানা করার উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছিল।

শুধু রেল কারখানা নয়; রেল, সড়ক, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি), দুর্যোগ, পরিবেশ, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া, অলাভজনক ও অগুরুত্বপূর্ণ’ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। ১০টি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে অন্তত ৩৫টি প্রকল্পের খোঁজ পাওয়া গেছে, যেগুলো বাতিল, অর্থায়ন স্থগিত অথবা ব্যয় কাটছাঁট করা হবে। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় এক লাখ কোটি টাকার বেশি।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের তালিকা করতে বলেছিলেন। এই নির্দেশনার পর ভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রকল্পের তালিকা তৈরি শুরু করে। যে ৩৫টি প্রকল্প বাতিল অথবা স্থগিত হতে যাচ্ছে, সেগুলোর কোনোটির কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে, কোনোটির কাজ মাত্র শুরু হয়েছে, কোনোটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। কিছু প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে ছিল। মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, বাতিল অথবা স্থগিতের তালিকায় প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়বে।

রেল, সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, বিগত সরকারের সময়ে নেওয়া প্রকল্প তিনটি দিক বিবেচনা করে বাতিল করা হচ্ছে।

মানবজমিন:

ভোট হতে হবে, কোনো আপস নাই
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রত্যেককে একটি মেসেজ দিতে হবে যে, তোমরা যাকে খুশি ভোট দাও, কিন্তু ভোট যাতে হয় যেকোনো মূল্যে এই ব্যবস্থাটা করতে হবে। আমাকে দেয়ার দরকার নাই। তুমি যাকে ভালো মনে করো, তুমি তাকে ভোট দাও। ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো আপস নাই। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।

কৃষক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেককে একটি মেসেজ দিতে হবে যে, ভাই তুমি যে রাজনীতিতেই বিশ্বাস করো না কেন, কিন্তু তুমি একটি জায়গায় এসে দাঁড়াও। ওই ডামি নির্বাচন হতে পারবে না, ওই নিশিরাতের ভোট হতে পারবে না। দিনের আলোতে ভোট হতে হবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। নিরাপদে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কেউ কাউকে ভোট দেয়ার সময় ডিস্টার্ব করতে পারবে না। যাবে, লাইন ধরবে, ভোট দিয়ে চলে আসবে। তার মত সে প্রকাশ করবে। কোনো ভয়-ভীতি থাকবে না। নিরপেক্ষভাবে ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো আপস নয়। ষড়যন্ত্র যদি রুখতে হয় তাহলে অবশ্যই ভোটের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ফ্যাসিবাদী চরিত্র ছাড়তে পারেনি আওয়ামী লীগ
বিদেশে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সঙ্গে যে আচরণ আওয়ামী লীগ করেছে তাকে ফ্যাসিবাদের চরিত্র উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র থেকে এখনো বের হতে পারেনি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিন্দা জানান তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সুইজারল্যান্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও প্যারিসে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে অনুরূপ যে আচরণ হয়েছে তাতে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ত্যাগ করতে পারেনি। তিনি আরও লিখেছেন, স্বতঃসিদ্ধ কথা- ‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’।

কালের কন্ঠ:

গুম কমিশন সর্বাত্মক সহায়তা পাবে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি ও সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আসিফ নজরুল, লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নুরজাহান বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা বলপূর্বক গুমসংক্রান্ত কমিশনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তদন্ত কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, তাঁরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, তাঁরা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৬০০টি অভিযোগ পেয়েছেন, ৪০০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন এবং ১৪০ অভিযোগকারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি বলেন, অভিযোগের সংখ্যা দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিশোধের ভয়ে অনেকেই এখনো কমিশনে আসছেন না।

যুগান্তর:

বৈশ্বিকভাবে কমলেও বাড়ছে বাংলাদেশে
প্রায় আড়াই বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়ে বিশ্বের বড় অর্থনীতির অনেক দেশ মূল্যস্ফীতির হারকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ফলে তারা নীতি সুদহার কমাতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ নীতি সুদের হার একদফা কমিয়েছে। আগামীতে আরও একদফা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশ ৩ অর্থবছর ধরে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণের মাধ্যমে নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। এতে বাজারে সব ধরনের সুদহার বেড়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনও এ হার ডাবল ডিজিটের কাছাকাছি রয়েছে। বৈশ্বিকভাবে নীতি সুদের হার যখন কমছে, তখনও বাংলাদেশ এ হার বাড়িয়েই যাচ্ছে। সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর থেকে আরও একদফা এ হার বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগে ব্যাংক রেটকে নীতি সুদের হার হিসাবে গণ্য করত। এখন ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপো সুদের হারকে নীতি সুদহার হিসাবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদের হার জাদুকরী ফল দিলেও বাংলাদেশে তা খুব বেশি কার্যকর হয় না।

২০২২ সালের শুরু থেকে বৈশ্বিক মন্দার কারণে বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে গেলে অনেক দেশ নীতি সুদের হার বাড়িয়ে ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ফলে তারা এখন নীতি সুদের হার কমিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি বাড়াচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ২০২২ সালের মে থেকে নীতি সুদের হার বাড়াচ্ছে। ওই সময়ে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে। গত আড়াই বছর ধরে নীতি সুদের হার বাড়ানো হলেও মূল্যস্ফীতির হার কমেনি। উলটো এ হার আরও বেড়েছে। ২০২০ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ শতাংশের ঘরে।

সমকাল:

আফগানদের বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানদের ৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। একই সঙ্গে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও ধরে রেখেছেন টাইগাররা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান ৪৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। আফগানদের পক্ষে সাদিকুল্লাহ আতাল ৩৯ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদি ১৭ ও রহমত শাহ ৫২ করে রান করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে স্পিনার নাসুম সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া মিরাজ ও মুস্তাফিজুর ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ তামিম ১৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২২ রান করে ফিরে যান। পরে সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত ৭১ রানের জুটি গড়েন। ফিরে যাওয়ার আগে সৌম্য সরকার খেলেন দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস

অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে মেহেদী মিরাজ কিংবা তাওহীদ হৃদয়দের জুটি জমেনি। মিরাজ ২১ ও হৃদয় ১১ রান করে ফিরে যান। পরেই শান্ত আউট হন ১১৯ বলে ৭৬ রান করে। তিনি ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন। দল ১৫২ রানে ২ উইকেট থেকে ১৮৬ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায়।
পরে জাকের আলী ও নাসুম আহমেদ দলকে ম্যাচে ফেরান। তারা ৪৬ রানের জুটি গড়েন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলে ফিরে নাসুম ২৪ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৪ রান করেন। জাকের ২৭ বলে ৩৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি ছক্কা ও একটি চার আসে।

আফগানিস্তানের হয়ে স্পিনার আল্লাহ গজনফর এই ম্যাচেও ভালো বোলিং করেছেন। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি এদিন ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁ-হাতি স্পিনার নাঙ্গেয়ালিয়া করোটি ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। একই ওভারে শান্ত ও রিয়াদকে ফেরান তিনি। লেগ স্পিনার রশিদ খান ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থনীতিতে হাসিনার বোঝা সরাতে পারছে না সরকার

আপডেট সময় ০৭:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

কালবেলা:

অর্থনীতিতে হাসিনার বোঝা সরাতে পারছে না সরকার
একটি দেশের নতুন সরকারের কর্মকাণ্ডের একশ দিনকে বলা হয় ‘হানিমুন পিরিয়ড’। এই সময়ে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি, কর্মপরিকল্পনায় আঁচ করা যায় তারা কোন দিকে যাচ্ছে বা যাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পার হয়েছে। তবে আগের শেখ হাসিনা সরকার অর্থনীতিকে যে খাদের কিনারে ফেলে গেছে, তা এখনো টেনে তুলতে পারেনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের দায় রেখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। এরপর ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই থেকে অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কারের ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের চেষ্টাও চলছে। তবে কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িত হাসিনা সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সর্বস্তরের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে, মানুষের আশার আলো ফিকে হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সংস্থার হালনাগাদ তথ্য বলছে, দু-একটি বাদে অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক এখনো নিম্নমুখী। সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। প্রতিদিনকার যন্ত্রণা হয়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। এটি একদিকে মানুষের সঞ্চয়ের টুঁটি চেপে ধরছে, অন্যদিকে ক্রেতার সক্ষমতায় চিড় ধরিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও যেমন তৈরি হয়েছে স্থবিরতা, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়েও বিরাট ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আবার সরকারের আয় কমে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ করার প্রবণতা বাড়ছে, যা কমিয়ে দিচ্ছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ঋণ পরিস্থিতিতেও চলছে ভাটা। আর বিগত সরকারের লুটপাটের সবচেয়ে বড় থাবা পড়েছিল ব্যাংক খাতে। লুটের অধিকাংশ টাকাই দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। সেই পাচারের অর্থ দেশে ফেরাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে নতুন সরকার। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে মনে করছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরকার চিত্র উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি তো আরও করুণ। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে আপাতত খুব বেশি সুখবরের আভাস মিলছে না। তবে নানা সংকটের মধ্যেও আশার খবর হচ্ছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ছে। ফলে রিজার্ভ আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। বিদেশি ঋণ পাওয়ারও বেশকিছু আশ্বাস পাওয়া গেছে। ডলারের বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে।

দেশরুপান্তর:

দূরেই থাকবে বিএনপি জামায়াত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরে চলার ইতিহাস ৪৬ বছরের পুরনো আর রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক প্রায় দুই যুগের। ৫ আগস্টের আগ পর্র্যন্ত কোনো না কোনোভাবে এ সম্পর্ক টিকে ছিল। টানা ১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটির দৃশ্যত কোনো কর্মকান্ড নেই। এই সুযোগে রাজনীতির ফাঁকা মাঠে নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসেবে হাজির করতে চাইছে জামায়াত। একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র বিএনপিকে এড়িয়ে নানা ইস্যুতে অবস্থান নিতে দেখা গেছে দলটির শীর্ষ নেতাদের। দিন যত যাচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব তত বাড়ছে। বিএনপিও দূরত্ব ঘোচানোর চিন্তা বাদ দিয়ে অন্যান্য দল নিয়ে এগোতে চাইছে।

বিএনপির সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আলোচনা করেছেন নীতিনির্ধারকরা। নেতারা বলেছেন, জামায়াত বিএনপির কৌশলগত মিত্র ছিল। জোট বিলুপ্ত হওয়ার পর সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনেও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ছিল। হাসিনার পতন হয়েছে। দৃশ্যত জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতি এখন এক নয়। একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরেকটা রাজনৈতিক দলের যে সম্পর্ক থাকে, এখন দল দুটির সম্পর্ক সে রকমই। আগামী সংসদ নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কৌশলগত থাকবে। সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগী হবে না বিএনপি।

দৈনিক সংগ্রাম:

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশের বেশি কমিয়েছে আদানি
বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার আদায়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড অপারেটর ও এ সংক্রান্ত আরও দুই সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছে। পূর্ব ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গোড্ডা প্লান্ট থেকে ঢাকায় বিদ্যুৎ রপ্তানি করা আদানি পাওয়ার আগস্টের শুরুতে সরবরাহ ১৪০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট থেকে কমিয়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের তথ্য অনুসারে এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তার মতে গত বৃহস্পতিবার সরবরাহ আরও কমিয়ে প্রায় ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি এবং কেউ সরবরাহ বন্ধ করলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।

বিপিডিবি কর্মকর্তা বলেন, বকেয়া পরিশোধ ত্বরান্বিত করা এবং গত ৭ নবেম্বর আদানি বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে নিলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্রমান্বয়ে কমছে। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ আদানির জন্য ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খুলেছে এবং অর্থ পরিশোধ ত্বরান্বিত করেছে। আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস এবং ঢাকার পেমেন্টের বিশদ সম্পর্কে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ থেকে চাহিদার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানো হয়েছে। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ বোর্ড ও আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তারা এসব কথা জানিয়েছেন বলে জানায় রয়টার্স।

প্রথম আলো:

সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের ‘ইচ্ছাপূরণ’ প্রকল্প বাতিল হচ্ছে

১০ মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে ৩৫টি প্রকল্প বাতিল অথবা স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে। এসব প্রকল্পের ব্যয় ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।

সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের নির্বাচনী এলাকা রাজবাড়ীতে একটি রেল কারখানা নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। ব্যয় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি। অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পটি বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রেল মন্ত্রণালয়ের এখনকার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের দুটি কারখানা রয়েছে। জনবলসংকট, কম বরাদ্দ, পুরোনো যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের অভাবে কারখানা দুটি ধুঁকছে। সে দুটির আধুনিকায়ন না করে নতুন কারখানা করার উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছিল।

শুধু রেল কারখানা নয়; রেল, সড়ক, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি), দুর্যোগ, পরিবেশ, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া, অলাভজনক ও অগুরুত্বপূর্ণ’ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। ১০টি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে অন্তত ৩৫টি প্রকল্পের খোঁজ পাওয়া গেছে, যেগুলো বাতিল, অর্থায়ন স্থগিত অথবা ব্যয় কাটছাঁট করা হবে। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় এক লাখ কোটি টাকার বেশি।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের তালিকা করতে বলেছিলেন। এই নির্দেশনার পর ভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রকল্পের তালিকা তৈরি শুরু করে। যে ৩৫টি প্রকল্প বাতিল অথবা স্থগিত হতে যাচ্ছে, সেগুলোর কোনোটির কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে, কোনোটির কাজ মাত্র শুরু হয়েছে, কোনোটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। কিছু প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে ছিল। মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, বাতিল অথবা স্থগিতের তালিকায় প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়বে।

রেল, সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, বিগত সরকারের সময়ে নেওয়া প্রকল্প তিনটি দিক বিবেচনা করে বাতিল করা হচ্ছে।

মানবজমিন:

ভোট হতে হবে, কোনো আপস নাই
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রত্যেককে একটি মেসেজ দিতে হবে যে, তোমরা যাকে খুশি ভোট দাও, কিন্তু ভোট যাতে হয় যেকোনো মূল্যে এই ব্যবস্থাটা করতে হবে। আমাকে দেয়ার দরকার নাই। তুমি যাকে ভালো মনে করো, তুমি তাকে ভোট দাও। ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো আপস নাই। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি।

কৃষক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেককে একটি মেসেজ দিতে হবে যে, ভাই তুমি যে রাজনীতিতেই বিশ্বাস করো না কেন, কিন্তু তুমি একটি জায়গায় এসে দাঁড়াও। ওই ডামি নির্বাচন হতে পারবে না, ওই নিশিরাতের ভোট হতে পারবে না। দিনের আলোতে ভোট হতে হবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। নিরাপদে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কেউ কাউকে ভোট দেয়ার সময় ডিস্টার্ব করতে পারবে না। যাবে, লাইন ধরবে, ভোট দিয়ে চলে আসবে। তার মত সে প্রকাশ করবে। কোনো ভয়-ভীতি থাকবে না। নিরপেক্ষভাবে ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো আপস নয়। ষড়যন্ত্র যদি রুখতে হয় তাহলে অবশ্যই ভোটের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ফ্যাসিবাদী চরিত্র ছাড়তে পারেনি আওয়ামী লীগ
বিদেশে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সঙ্গে যে আচরণ আওয়ামী লীগ করেছে তাকে ফ্যাসিবাদের চরিত্র উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র থেকে এখনো বের হতে পারেনি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিন্দা জানান তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সুইজারল্যান্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও প্যারিসে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে অনুরূপ যে আচরণ হয়েছে তাতে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ত্যাগ করতে পারেনি। তিনি আরও লিখেছেন, স্বতঃসিদ্ধ কথা- ‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’।

কালের কন্ঠ:

গুম কমিশন সর্বাত্মক সহায়তা পাবে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি ও সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আসিফ নজরুল, লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নুরজাহান বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা বলপূর্বক গুমসংক্রান্ত কমিশনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তদন্ত কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, তাঁরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, তাঁরা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৬০০টি অভিযোগ পেয়েছেন, ৪০০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন এবং ১৪০ অভিযোগকারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি বলেন, অভিযোগের সংখ্যা দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিশোধের ভয়ে অনেকেই এখনো কমিশনে আসছেন না।

যুগান্তর:

বৈশ্বিকভাবে কমলেও বাড়ছে বাংলাদেশে
প্রায় আড়াই বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়ে বিশ্বের বড় অর্থনীতির অনেক দেশ মূল্যস্ফীতির হারকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ফলে তারা নীতি সুদহার কমাতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ নীতি সুদের হার একদফা কমিয়েছে। আগামীতে আরও একদফা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশ ৩ অর্থবছর ধরে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণের মাধ্যমে নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। এতে বাজারে সব ধরনের সুদহার বেড়েছে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনও এ হার ডাবল ডিজিটের কাছাকাছি রয়েছে। বৈশ্বিকভাবে নীতি সুদের হার যখন কমছে, তখনও বাংলাদেশ এ হার বাড়িয়েই যাচ্ছে। সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর থেকে আরও একদফা এ হার বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগে ব্যাংক রেটকে নীতি সুদের হার হিসাবে গণ্য করত। এখন ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপো সুদের হারকে নীতি সুদহার হিসাবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদের হার জাদুকরী ফল দিলেও বাংলাদেশে তা খুব বেশি কার্যকর হয় না।

২০২২ সালের শুরু থেকে বৈশ্বিক মন্দার কারণে বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে গেলে অনেক দেশ নীতি সুদের হার বাড়িয়ে ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। ফলে তারা এখন নীতি সুদের হার কমিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি বাড়াচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ২০২২ সালের মে থেকে নীতি সুদের হার বাড়াচ্ছে। ওই সময়ে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে। গত আড়াই বছর ধরে নীতি সুদের হার বাড়ানো হলেও মূল্যস্ফীতির হার কমেনি। উলটো এ হার আরও বেড়েছে। ২০২০ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ শতাংশের ঘরে।

সমকাল:

আফগানদের বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানদের ৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। একই সঙ্গে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও ধরে রেখেছেন টাইগাররা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান ৪৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। আফগানদের পক্ষে সাদিকুল্লাহ আতাল ৩৯ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদি ১৭ ও রহমত শাহ ৫২ করে রান করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে স্পিনার নাসুম সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া মিরাজ ও মুস্তাফিজুর ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ওপেনার তানজিদ তামিম ১৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২২ রান করে ফিরে যান। পরে সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত ৭১ রানের জুটি গড়েন। ফিরে যাওয়ার আগে সৌম্য সরকার খেলেন দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস

অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে মেহেদী মিরাজ কিংবা তাওহীদ হৃদয়দের জুটি জমেনি। মিরাজ ২১ ও হৃদয় ১১ রান করে ফিরে যান। পরেই শান্ত আউট হন ১১৯ বলে ৭৬ রান করে। তিনি ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন। দল ১৫২ রানে ২ উইকেট থেকে ১৮৬ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায়।
পরে জাকের আলী ও নাসুম আহমেদ দলকে ম্যাচে ফেরান। তারা ৪৬ রানের জুটি গড়েন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলে ফিরে নাসুম ২৪ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৪ রান করেন। জাকের ২৭ বলে ৩৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি ছক্কা ও একটি চার আসে।

আফগানিস্তানের হয়ে স্পিনার আল্লাহ গজনফর এই ম্যাচেও ভালো বোলিং করেছেন। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি এদিন ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁ-হাতি স্পিনার নাঙ্গেয়ালিয়া করোটি ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। একই ওভারে শান্ত ও রিয়াদকে ফেরান তিনি। লেগ স্পিনার রশিদ খান ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।