ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান Logo পরীক্ষার সময় ছাত্রদলের উচ্চস্বরে স্লোগান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা Logo ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের পোস্টার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান Logo শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি Logo বিমানবন্দরে বিদেশি নারীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার মাদক জব্দ Logo ডাকসু নির্বাচনে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী Logo জুলাই গণহত্যা:আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি চলছে Logo কমেতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম

টিকটকের কার্যালয় বন্ধ করতে বলল কানাডা সরকার

টিকটকের কার্যালয় বন্ধ করতে বলল কানাডা সরকার

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কানাডায় টিকটকের সকল কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এখনই নাগরিকদের টিকটক ব্যবহারে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি কানাডা প্রশাসন।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ উল্লেখ চীনভিত্তিক ‘বাইটড্যান্স’-এর মালিকানাধীন টিকটকের সকল কার্যালয় বন্ধের আদেশ জারি করেছে কানাডার সরকার।

কানাডার উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যামপেইন বলেন, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের কার্যক্রম সম্পর্কিত নির্দিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন হওয়ায় নজরদারি রয়েছে টিকটকের ওপর। তবে কানাডায় টিকটক ব্যবহারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত একটি ব্যক্তিগত পছন্দ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গত বছর সকল সরকারি ডিভাইস থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করে অ্যাপ্লিকেশনটির নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছিল দেশটির সরকার। শ্যামপেইন বলেন, এই সিদ্ধান্তটি একটি আইন অনুসারে নেওয়া হয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগগুলোর পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয়। কানাডার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সেসব কোম্পানিকে পর্যালোচনা করে কানাডা।

অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জের দাবি করে টিকটকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, টিকটকের কানাডার অফিস বন্ধ করা এবং শত শত কর্মসংস্থান ধ্বংস করা কারোরই জন্য মঙ্গলজনক নয়। কেবল কানাডা নয়, বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন থাকলে টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রেও নিষিদ্ধ করা হবে। এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোম্পানি ফেডারেল আপিল কোর্টে লড়াই করছে টিকটক। এটি বাক স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ, টিকটক বেইজিংকে ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করতে এবং তাদের ওপর নজরদারি চালাতে অনুমতি দেয়। এমনকি এই অ্যাপটি গুজব ছড়ায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

শোকজের জবাবে যা লিখলেন ফজলুর রহমান

টিকটকের কার্যালয় বন্ধ করতে বলল কানাডা সরকার

আপডেট সময় ০৭:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কানাডায় টিকটকের সকল কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এখনই নাগরিকদের টিকটক ব্যবহারে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি কানাডা প্রশাসন।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ উল্লেখ চীনভিত্তিক ‘বাইটড্যান্স’-এর মালিকানাধীন টিকটকের সকল কার্যালয় বন্ধের আদেশ জারি করেছে কানাডার সরকার।

কানাডার উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যামপেইন বলেন, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের কার্যক্রম সম্পর্কিত নির্দিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। চীনভিত্তিক বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন হওয়ায় নজরদারি রয়েছে টিকটকের ওপর। তবে কানাডায় টিকটক ব্যবহারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত একটি ব্যক্তিগত পছন্দ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গত বছর সকল সরকারি ডিভাইস থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করে অ্যাপ্লিকেশনটির নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছিল দেশটির সরকার। শ্যামপেইন বলেন, এই সিদ্ধান্তটি একটি আইন অনুসারে নেওয়া হয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগগুলোর পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয়। কানাডার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সেসব কোম্পানিকে পর্যালোচনা করে কানাডা।

অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জের দাবি করে টিকটকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, টিকটকের কানাডার অফিস বন্ধ করা এবং শত শত কর্মসংস্থান ধ্বংস করা কারোরই জন্য মঙ্গলজনক নয়। কেবল কানাডা নয়, বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন থাকলে টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রেও নিষিদ্ধ করা হবে। এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোম্পানি ফেডারেল আপিল কোর্টে লড়াই করছে টিকটক। এটি বাক স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ, টিকটক বেইজিংকে ব্যবহারকারীদের ডেটা সংগ্রহ করতে এবং তাদের ওপর নজরদারি চালাতে অনুমতি দেয়। এমনকি এই অ্যাপটি গুজব ছড়ায়।