ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামি সংস্কৃতি নিয়ে কিছু করলে আগে জামায়াত–শিবির ট্যাগ দেওয়া হতো: ফারুকী Logo অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ Logo মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের ধাওয়া সেনাবাহিনীর Logo শাহজাহান ওমরের গাড়িতে হামলা, মামলা করতে গিয়ে গ্রেফতার Logo বিএনপি ছেড়ে আ.লীগে যোগ দেওয়া শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা Logo ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হলেন টবি ক্যাডম্যান Logo আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস,শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে  করলেন দুই উপদেষ্টা Logo গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত Logo শাজাহানপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০ হাজার বিদেশিকর্মী নিতে পারে মালয়েশিয়া

ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০ হাজার বিদেশিকর্মী নিতে পারে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বিদেশিকর্মী নিয়োগের কোটা ২৫ লাখ। বর্তমানে দেশটিতে ২৪ লাখ এক হাজার বিদেশিকর্মী কাজ করছেন। ফলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৯০ হাজার বিদেশিকর্মী নিয়োগ দিতে পারে দেশটি।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিশন ইসমাইল জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫ লাখ কর্মী নিয়োগের সীমা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন বিদেশিকর্মী কোটা স্থগিত করেছে।

তিনি জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৪ লাখ এক হাজার নিবন্ধিত বিদেশিকর্মী রয়েছেন। ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমা ছুঁতে ৯০ হাজারের মতো কোটা খালি রয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যম মালয় মেইল জানিয়েছে, এই সীমা দেশের মোট কর্মী সংখ্যার ওপর নির্ভর করে, যা অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা নির্ধারিত। মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশিকর্মী নিয়োগের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি হওয়া উচিত নয়। বর্তমানে এই সীমার নিচে মাত্র এক লাখ অবশিষ্ট রয়েছে।

সাইফুদ্দিন নাসিশন ইসমাইল জানান, মন্ত্রণালয় সেপ্টেম্বর থেকে নতুন আবেদন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে কৃষি, বাগান, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতে চাহিদা পুনর্মূল্যায়নে ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই পাঁচ খাতের মধ্যে কৃষি ও বাগান খাতে শ্রমিক সংকট রয়েছে।

স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও এসব খাতে শ্রমিক সংকট সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে বলেও তিনি যোগ করেন। প্ল্যান্টেশন ও কমোডিটি মন্ত্রী জোহারি আবদুল গনি আগেই এই খাতে শ্রমিক আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। এখানে এখনো প্রয়োজনীয় কর্মী সংখ্যা পূরণ হয়নি।

তিনি আরও জানান, কেডিএন এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে আরও আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে। যেন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো শ্রমিকের চাহিদা যাচাই করতে পারে। বিশেষ করে পাম তেল ও রাবার শিল্পে কোম্পানিগুলোর প্রয়োজনীয় কর্মী সংখ্যা নিশ্চিত করতে সংস্থাগুলোকে প্রমাণ দাখিল করতে হবে। এরপর নতুন অনুমোদন দেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামি সংস্কৃতি নিয়ে কিছু করলে আগে জামায়াত–শিবির ট্যাগ দেওয়া হতো: ফারুকী

ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০ হাজার বিদেশিকর্মী নিতে পারে মালয়েশিয়া

আপডেট সময় ০৭:০০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

মালয়েশিয়ায় বিদেশিকর্মী নিয়োগের কোটা ২৫ লাখ। বর্তমানে দেশটিতে ২৪ লাখ এক হাজার বিদেশিকর্মী কাজ করছেন। ফলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৯০ হাজার বিদেশিকর্মী নিয়োগ দিতে পারে দেশটি।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিশন ইসমাইল জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫ লাখ কর্মী নিয়োগের সীমা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন বিদেশিকর্মী কোটা স্থগিত করেছে।

তিনি জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৪ লাখ এক হাজার নিবন্ধিত বিদেশিকর্মী রয়েছেন। ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমা ছুঁতে ৯০ হাজারের মতো কোটা খালি রয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যম মালয় মেইল জানিয়েছে, এই সীমা দেশের মোট কর্মী সংখ্যার ওপর নির্ভর করে, যা অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বারা নির্ধারিত। মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশিকর্মী নিয়োগের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি হওয়া উচিত নয়। বর্তমানে এই সীমার নিচে মাত্র এক লাখ অবশিষ্ট রয়েছে।

সাইফুদ্দিন নাসিশন ইসমাইল জানান, মন্ত্রণালয় সেপ্টেম্বর থেকে নতুন আবেদন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে কৃষি, বাগান, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতে চাহিদা পুনর্মূল্যায়নে ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই পাঁচ খাতের মধ্যে কৃষি ও বাগান খাতে শ্রমিক সংকট রয়েছে।

স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও এসব খাতে শ্রমিক সংকট সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে বলেও তিনি যোগ করেন। প্ল্যান্টেশন ও কমোডিটি মন্ত্রী জোহারি আবদুল গনি আগেই এই খাতে শ্রমিক আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। এখানে এখনো প্রয়োজনীয় কর্মী সংখ্যা পূরণ হয়নি।

তিনি আরও জানান, কেডিএন এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে আরও আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে। যেন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো শ্রমিকের চাহিদা যাচাই করতে পারে। বিশেষ করে পাম তেল ও রাবার শিল্পে কোম্পানিগুলোর প্রয়োজনীয় কর্মী সংখ্যা নিশ্চিত করতে সংস্থাগুলোকে প্রমাণ দাখিল করতে হবে। এরপর নতুন অনুমোদন দেয়া হবে।