ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আরো ৮০ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া Logo দুর্যোগের পরই উঠে আসে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রশ্ন, কিন্তু উত্তর আসে না Logo গাজাবাসীর প্রতি বিশ্বের নীরবতা, তীব্র নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের Logo ঢাকায় ঢাকাউস-এর আয়োজনে কাউনিয়াবাসীর মিলনমেলা Logo ফেসবুকে প্রেমের পর বিয়ে, দেড় মাস সংসার করে বুঝলেন নববধূ ‘পুরুষ’ Logo নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হলেই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে: ড. ইউনূস Logo ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)’–এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু Logo জুলাই আন্দোলনের ‘মূলনায়ক’ তারেক রহমান: আমীর খসরু Logo এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপে, খেলার সময়সূচি জানুন Logo গাজায় শিশুদের অনাহারে হত্যা করা হচ্ছে

মানুষ নতুন করে চিন্তার স্বাধীনতা পেয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

মানুষ নতুন করে চিন্তার স্বাধীনতা পেয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স বিভাগের আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ‍মুক্তবুদ্ধি চর্চার সুযোগ তৈরি হয়েছে। একে কাজে লাগাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এসময় বৈশ্বিক মানের গবেষণা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বৈজ্ঞানিক চিন্তা এবং গবেষণার মান উন্নয়ন।

তিনি জানান, বিজ্ঞান চর্চাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কারের পথে কাজ করছে এবং এই সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণ করবে। ড. ইউনূস বলেন, ‘বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের আরও সংস্কার এবং উন্নয়ন প্রয়োজন। এজন্য সরকার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমরা সবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে সেই পথে এগিয়ে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যখন ছাত্র জনতার একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ার প্রয়াস নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদযাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে?’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘সেই শান্ত ছোট শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরৎ আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরৎ আনতে পারি, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে।’

তিনি বলেন, ‘বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, আজ বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেযেছেন। এর সঙ্গে এখন বিশ্ব বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতাকেও যোগ করতে হবে। আকাঙ্খাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হয়। ১৯২৪ সালে বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ ওভাবে গড়ে ওঠেছিলো, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যার জগতের সবাইকে আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে, এর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আস্থার বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে, শুধু আমাদের যেন বিশ্বের কাছে যেতে না হয়, বিশ্ব যেন আমাদের কাছেও আসে। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্খারই শতবার্ষিকী পালন করছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

আরো ৮০ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

মানুষ নতুন করে চিন্তার স্বাধীনতা পেয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:০৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্স বিভাগের আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ‍মুক্তবুদ্ধি চর্চার সুযোগ তৈরি হয়েছে। একে কাজে লাগাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এসময় বৈশ্বিক মানের গবেষণা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বৈজ্ঞানিক চিন্তা এবং গবেষণার মান উন্নয়ন।

তিনি জানান, বিজ্ঞান চর্চাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কারের পথে কাজ করছে এবং এই সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণ করবে। ড. ইউনূস বলেন, ‘বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের আরও সংস্কার এবং উন্নয়ন প্রয়োজন। এজন্য সরকার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমরা সবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে সেই পথে এগিয়ে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যখন ছাত্র জনতার একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ার প্রয়াস নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদযাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে?’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘সেই শান্ত ছোট শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরৎ আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরৎ আনতে পারি, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে।’

তিনি বলেন, ‘বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, আজ বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেযেছেন। এর সঙ্গে এখন বিশ্ব বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতাকেও যোগ করতে হবে। আকাঙ্খাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হয়। ১৯২৪ সালে বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ ওভাবে গড়ে ওঠেছিলো, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যার জগতের সবাইকে আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করতে, এর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আস্থার বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে, শুধু আমাদের যেন বিশ্বের কাছে যেতে না হয়, বিশ্ব যেন আমাদের কাছেও আসে। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্খারই শতবার্ষিকী পালন করছি।’