বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বদলাতে হবে বলে মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির ওপর বাংলাদেশের কোনো নীতির নির্ভর করে না। তারা তাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করে দেশের স্বার্থকে সামনে রাখে। তাদের কাছে শিক্ষা নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করা উচিত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে হবে দেশের মানুষের স্বার্থকে সামনে রেখে।
আমেরিকায় যে দলই জয়যুক্ত হোক বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো প্রভাব পড়বে না। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি চুপ্পু সাহেব ফ্যাসিস্টদের দোসর। এত মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে অভ্যুত্থান হয়েছে সেই অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রের ওই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোনো ফ্যাসিস্ট খুনির দোসর বসতে পারে না।
চুপ্পুকে না হটানো পর্যন্ত শহীদদের রক্তের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা পূরণ হবে না। সারজিজ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা এই দাবির পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করছি। একই সঙ্গে যারা এই অভ্যুত্থানে আমাদের সমর্থন দিয়েছে সারা দেশের জেলা ও উপজেলাগুলোতে ঘুরে ঘুরে আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা তাদের কাছে পাওয়া মতামতগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেব।
তিনি বলেন, উপজেলাগুলোতে পরিদর্শন কার্যক্রম তেঁতুলিয়া উপজেলার মাধ্যমে আজ শুরু হলো। দেশের কোথাও উন্নয়নে আর বৈষম্য হবে না। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে হাসনাত আবদুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।