শারজায় বাংলাদেশকে দুর্দান্ত এক শুরু এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ৭১ রানে আফগানিস্তানের ৫ ব্যাটারকে আউট করে। তবে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। যার ফল দেড় শ রানের সংগ্রহ হবে কিনা এমন শঙ্কায় থাকা আফগানিস্তান পরে ২৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।
বাংলাদেশকে এই লক্ষ্য দেওয়ার পথে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন হাশমতউল্লাহ শাহীদি এবং মোহাম্মদ নবী। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ে শুধু শুরুর ধাক্কাই সামলাননি দলকে এনে দিয়েছেন চ্যালেঞ্জিং স্কোরও। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শুরুটা অধিনায়ক শাহীদি করলেও ফিনিশিংটা টেনেছেন অভিজ্ঞ নবীই।
৫২ রানে শাহীদি আউট হওয়ার পর একাই দলকে টেনেছেন নবী।
খেলেছেন ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এতে করে ১৬ রানের আক্ষেপটা থেকে গেল তার। ৪ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসটিকে যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে না পারেননি তিনি। শেষ দিকে দলের রান বাড়াতে ছক্কা মারতে গিয়ে তাসকিনের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে তানজিদ হাসান তামিমকে ক্যাচ দেন ৩৯ বছর বয়সী ব্যাটার। তার আউটের পর ২৩৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
এর আগে তাসকিন-মোস্তাফিজের পেসে কাঁপছিল আফগানরা। দলীয় ৭ রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করে শুরুটা করেন তাসকিন। পরে ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানদের টপ অর্ডার ভেঙে দেন মোস্তাফিজ। ‘ফিজের‘ দুর্দান্ত বোলিংয়ে একটা সময় প্রতিপক্ষের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৫ রান।
এরপর গুলবাদিন নাইব ২২ রানের ইনিংস খেলে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরলে দেড় শ রান হবে কিনা সেই শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু বাগে পেয়েও পরে অল্পতে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। আসলে সব শঙ্কা উড়িয়ে পরে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন শহীদি-নবী। ম্যাচে ৪ টি করে উইকেটে নিয়েছেন তাসকিন ও মোস্তাফিজ।