সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। শমী নব্বই এর দশকের একজন নামকরা অভিনেত্রী এবং পরবর্তীতে প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।
বিএনপির এক কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদ নিজেই গত ৯ অক্টোবর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলা করেছিলেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেফতার হলেন এই অভিনেত্রী। শমী আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে ব্যক্তি।তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হত্যার এক মমলায়।
প্রসঙ্গত, শমী ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।