বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার বিষয়টি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত। সব ঠিক থাকলে আগামী ৮ নভেম্বর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগ করবেন। এ সময় মেডিকেল বোর্ডের সাতজন চিকিৎসক, নার্স ও তিনজন সহকারীসহ মোট ১৬ জন তার সঙ্গে যাবেন।
‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে বিএনপি নেত্রীকে প্রথমে লন্ডনে, পরে সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কিংবা জার্মানির কোনো মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হেলথ সেন্টারে নেয়া হবে।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে অতিদ্রুত তাকে বিদেশে ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স হেলথ’ সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। তারই অংশ হিসেবে আমাদের ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ভাড়া করার কাজও শেষের দিকে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টে-ওভারের পরে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে আছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশা করছি, সব কাজ সম্পন্ন করেই অতিদ্রুত ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারব।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সাত চিকিৎসক (অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. নূর উদ্দিন, প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিক, ডা. জাফর ও ডা. আল মামুন), পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান, গৃহপরিচালিকা ফাতেমা ও রূপার যাওয়ার কথা রয়েছে।
এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বেগম খালেদা জিয়া আগামী ৮ নভেম্বর লন্ডন যাবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ও যাত্রা সঙ্গীদের ভিসা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদানসহ বিষয়টি তদারকি করছে।