ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে

জাপা চাপে, বিএনপি মনে করে অযথাই এমন পরিস্থিতি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 57

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

জাপা চাপে, বিএনপি মনে করে অযথাই এমন পরিস্থিতি
হঠাৎ জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন দলটি আলোচনায়। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ঘটনাটিকে এই সময়ে রাজনীতিতে একটি ‘অপ্রয়োজনীয়’ কাজ হিসেবেই দেখছে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি। দলটি এ বিষয়কে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি চক্রান্ত বলেও উল্লেখ করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে

অনেকে ভালোভাবে নেননি। কেউ কেউ এ ঘটনাকে কারও কারও অতি উৎসাহ হিসেবে দেখছেন। আর তাতে শেষ বিচারে কে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও চলছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ ঘটনায় জাতীয় পার্টি কিছুটা চাপে পড়েছে।

দলের কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরও সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল জাপা। সেই সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে পাল্টা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতার ব্যানারে। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের প্রেক্ষাপটে জাপা কার্যালয় এলাকায় সভা–সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা মেনে দুই পক্ষই গতকালের কর্মসূচি স্থগিত করে।

মানবজমিন:

বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে
আওয়ামী লীগের আমলে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ব্যাংক খাত থেকে যে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা বলেছেন, বাস্তবে তার পরিমাণ আরও বেশি। রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা ব্যাংক খাত ও বাণিজ্যের আড়ালে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। গতকাল দুপুরে ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়েস্ট সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুর্নীতি ও অর্থপাচারে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। দেশের ব্যাংক খাতকে যে খাদের কিনারায় ঠেলে দেয়া হয়েছে, তার পেছনে মূল দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার ও ঢেলে সাজানো ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি যারা চালু করেছেন, সেই প্রভাবশালীরাই পাঁচতারকা হোটেলে বসে ব্যাংক খাতের নীতি পলিসি তৈরি করতো। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব পলিসি শুধু ঘোষণা করতো।

নয়াদিগন্ত:

প্রণোদনার বীজ আমদানিতে লুটপাট

সরকার সারা দেশের কৃষকদের মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন ফসলের প্রণোদনা দিয়ে থাকে। প্রণোদনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে বীজ আমদানি করে। পরে তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মাধ্যমে কৃষকের হাতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু প্রণোদনার এই বীজ আমদানিতে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। গত কয়েক বছরের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজবীজ, ভুট্টাবীজ ও সূর্যমুখীবীজ আমদানির তথ্য পর্যালোচনা করে লুটপাটের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
বীজ আমদানির এই লুটপাটের সাথে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সিন্ডিকেট জড়িত। তাদের হয়ে পুরো এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেছেন আওয়ামী লীগের ঢাকা-৪ আসনের সাবেক এমপি কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেন, ড. রাজ্জাকের বন্ধু ও কুয়েত আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন ওরফে ফারুক মামা গংরা। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কৃষিবিদ মো: আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, বিএডিসির বীজ উইংয়ের সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজার চাচা পরিচয়দানকারী জিল্লুর রহমান, বীজ কোম্পানির মালিক পবিত্র ভাণ্ডারি, আলমাস উদ্দিন সুমনসহ আরো কয়েকজনের নাম এসেছে এই সিন্ডিকেটে। বিএডিসির সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পিডিরাও ভাগবাটোয়ারায় যুক্ত বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএডিসির মানসম্মত মসলাবীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাকরণ এবং বিতরণ (সমাপ্ত) প্রকল্পের মাধ্যমে বিগত চার বছরে ১৫৬ মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজবীজ আমদানি করা হয়। এন-৫৩ নামে ভারতীয় এই জাতের পেঁয়াজবীজ আমদানির পেছনে খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা।

দেশ রুপান্তর:

প্রশাসনে সাড়ে ১০ লাখ ‘আ. লীগ’
সংখ্যাটা বিশাল। প্রায় সাত লাখ। যার পুরোটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া। তাদের সঙ্গে ওই সময়ে পদোন্নতি পাওয়া আরও সাড়ে তিন লাখের বেশি যোগ হবে। সবমিলিয়ে সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ জনে, যা প্রশাসনে হিমালয়ের মতো বিশাল এক খাম্বা। শূন্য পদ বাদে বর্তমানে কর্মরত মোট ১২ লাখ ৩১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তাদের খুঁজে বের করতে গেলে লোম বাছতে কম্বল উজাড় হওয়ার জোগাড় হবে বলে মনে করছেন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৯ জনকে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিয়োগের হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৬ হাজার ৩৫৭ জনকে। অন্যদিকে ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে পদোন্নতি পান ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৩৯ জন। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পদোন্নতির হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে পদোন্নতি পান আরও ২৩ হাজার ৬৮৮ জন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের তথ্য তালাশ হচ্ছে। নাস্তা নিয়ে নাস্তানাবুদ করার অভিযোগে প্রশিক্ষণের প্রায় শেষপ্রান্ত ছুঁয়েও পুলিশে ‘আপাতত’ নিয়োগবঞ্চিত হচ্ছেন কয়েকশ প্রশিক্ষণার্থী এসআই। অর্ধডজন বিসিএস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসবের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বক্তব্যে প্রশাসন গুলজারময় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে দলীয় বিবেচনায় চাকরি পাওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুগান্তর:

কর্মের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ নেই

দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের চাপ

কর্মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারছে না দেশের প্রচলিত শিক্ষা। এজন্য দিন দিন শিক্ষিত ও তরুণ বেকারের চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকার আশঙ্কাজনক। ফলে সম্ভাবনাময় এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে হতাশা এবং দেশ বঞ্চিত হচ্ছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনমিতির সুবিধা থেকে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ (বিবিএস) বিভিন্ন সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষিত তরুণরা বেকার থাকায় রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি সম্পদের অপচয় হচ্ছে। ফলে দক্ষতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার মান বাড়িয়ে বাস্তব কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করার এখনই সময়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষিত ও তরুণ বেকার বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগজনক। কেননা যারা শিক্ষিত তারা যে কোনো কাজ করতে পারেন না। তারা চান প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা সোভন কাজ। কিন্তু আমাদের দেশে ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই অপ্রাতিষ্ঠানিক। এখানে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা কম। ফলে তারা বেকার থাকছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ভোট যুক্তরাষ্ট্রে সমীকরণ ঢাকায়
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু আলোচনা চলছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের দৃষ্টি এখন মার্কিন নির্বাচনের দিকে। ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস জিতবেন তা নিয়েই আগ্রহ সবার। কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প ও কমলা দুজনই দুই ধরনের দর্শনের ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিক। যিনি জিতবেন তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে স্পষ্টভাবেই পড়বে। এতে পুরো বিশ্বের চলমান বড় ইস্যুগুলোর মতো বাংলাদেশেরও অভিবাসন, শরণার্থী সহায়তা, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। এসব কারণে ভোট যুক্তরাষ্ট্রে হলেও নানা সমীকরণ নিয়ে আলোচনা চলছে ঢাকায়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানান, আর মাত্র তিন দিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। আমেরিকানরা তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেছে নেন তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, ইরান সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় বিষয়গুলোই ছিল আলোচনায়। কিন্তু সর্বশেষ দীপাবলি উপলক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইট বাংলাদেশে আলোচনায় নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। টুইটে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ‘আমি থাকলে এমন পরিস্থিতি হতো না।’ এরপর নানা মহল থেকে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প জিতলে ভারতের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মার্কিনিদের অতি ঘনিষ্ঠতায় ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে রাজনৈতিক ও গণমানুষের আলোচনায় চলছে নানা হিসাবনিকাশ। যদিও কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের টুইট পুরোপুরিই নির্বাচনি একটি কৌশল। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিশালসংখ্যক হিন্দু ভোটারকে আকৃষ্ট করতেই ট্রাম্প এ অবস্থান নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমেরিকাতে যখনই নির্বাচন হয় সারা বিশ্বে তার প্রভাব পড়ে। এবারও দুই প্রার্থীই সমানে সমান। সর্বশেষ শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প নাকি খুব ভালোভাবে এগিয়ে আছেন। পেনসিলভানিয়াতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আর দুই-তিন দিনের মধ্যে পুরো পরিস্থিতিটা পরিষ্কার হবে। ইতোমধ্যে ৬ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন। প্রাপ্ত ভোট থেকে বোঝা যাচ্ছে ২০২০ সালের তুলনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ভালো করছেন। তিনি বলেন, মার্কিন নির্বাচন বাংলাদেশের ওপর খুব তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে না। আমাদের হিন্দুদের বিষয় নিয়ে ট্রাম্প যা বলছেন তা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনি প্রপাগান্ডার অংশ। এর কোনো বাস্তবিক প্রয়োগ নেই। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

কালের কন্ঠ:

বিনিয়োগ সংকটে শিল্পোৎপাদন তলানিতে
উচ্চ সুদের হার, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা চলছে। এর ফলে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। আর তলানিতে এসে ঠেকেছে শিল্পোৎপাদন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রায় তরুণদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির চাহিদার মধ্যে নানামুখী সংকটে জর্জরিত উদ্যোক্তারা।

তাঁরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত না হওয়ায় নতুন বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে নীতি সুদহার বাড়ানোয় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকঋণের সুদহারও। এতে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা।
তাঁরা বলছেন, অতিরিক্ত সুদের চাপে কমতে পারে বিনিয়োগ, কমবে কর্মসংস্থানও।চলমান অস্থিরতায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের বিক্রিতেও ধস নেমেছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, ভয়াবহ করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে মাজা সোজা করে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দামে উল্লম্ফনে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বোঝা এখনো বয়ে চলেছে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ। গত বছরের প্রথম দিকে যুদ্ধের প্রভাবে কাঁচামাল আমদানিতে সংকট দেখা দেয়।

কালবেলা:

দেশ সাফল্য চায়, তোমরা এনে দিয়েছ
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে দেশবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের মানুষ সাফল্য চায়, তোমরা আমাদের সেই সাফল্য এনে দিয়েছ। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারী ফুটবল দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বিজয় অর্জনকারী দলটি তাদের স্বপ্ন ও সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস বিজয়ী খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দাবি ও বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।

দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক বাধা পেরিয়ে আজকেরে এ অবস্থানে এসেছি। এটি কেবল নারী ফুটবল দল নয় বরং বাংলাদেশের নারীরা সাধারণত অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে।

এই তারকা স্ট্রাইকার তার কয়েকজন সহযোদ্ধার সংগ্রামের গল্প, যেমন মারিয়া মান্দার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মারিয়া ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলসিন্দুর গ্রাম থেকে এসেছেন, যা সাফজয়ী দলে ছয়জন খেলোয়াড় দিয়েছে। ছোটবেলায় পিতৃহারা মারিয়াকে তার মা বড় করেছেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

সেন্ট মার্টিন কোনো বিদেশীর কাছে লিজ দেয়ার পরিকল্পনা নেই
সেন্টমার্টিন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন লিজ দিচ্ছেন, এমন খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকিং পেজে বলা হয়, কোনো দেশের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেয়ার পরিকল্পনা নেই অন্তর্বর্তী সরকারের। গতকাল শনিবার দেয়া সেই পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস কয়েক বছর ধরে চলছে। এর সপ্তম আসর গত বছরের ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের ফোর্ট শ্যাফটারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই টকসের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনকে জড়িয়ে কোনো ধরনের পোস্ট নিছক গুজব। অন্তর্বর্তী সরকার অনেকবার জানিয়েছে যে সেন্ট মার্টিন কোনো বিদেশী দেশের কাছে কোনো উদ্দেশ্যে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই।

সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরেকটি পোস্টে জানায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন কমপক্ষে ২০ ধরনের বিপদের মুখে পড়েছে। গত ১৫ এপ্রিল ‘এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্স’ নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পর্যটনের কারণে সেন্টমার্টিনে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন উজাড়, দূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, কচ্ছপের আবাস ধ্বংস, প্লাস্টিকের ব্যবহার, মিঠাপানির সংকট, জোয়ারে সমুদ্র ভাঙনসহ নানা বিপদ দেখা দিয়েছে।

‘দুই মাস ধরে দ্বীপে আরেকটি নতুন বিপদ হাজির হয়েছে। সেখানে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর সাদা মাছির উৎপাত। এই মাছি দ্বীপের গাছপালা ধ্বংস করছে। সাদা মাছির কারণে গত কয়েক মাসে ৩০০ নারকেল গাছ মারা গেছে। বিশেষজ্ঞরা সেন্ট মার্টিনের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অপরিকল্পিত পর্যটনকে দায়ী করছেন।’

ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গবেষণা অনুযায়ী দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির ৪১ ভাগ প্রবাল ধ্বংস হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ থামানো না গেলে ২০৪৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপের সব প্রবাল ধ্বংস হবে যাবে আর দ্বীপটি ডুবে যাবে। সরকার এই দ্বীপ রক্ষায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে, আর বেআইনি স্থাপনার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বৃহত্তর জনস্বার্থে। দেশের একমাত্র প্রবালের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্যও।

সমকাল:

জয়ের পথে ভয়ের কাঁটা যেসব রণক্ষেত্র রাজ্য
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য রয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে এগুলোর বেশির ভাগ ভোটার সাধারণত একই দলকে ভোট দেন– হয় ডেমোক্রেটিক অথবা রিপাবলিকান পার্টি। মাত্র কয়েকটি রাজ্য রয়েছে, যেখানে যে কোনো প্রার্থী জিততে পারেন। এগুলোকে রণক্ষেত্র বা দোদুল্যমান রাজ্য বলা হয়। এবারের নির্বাচনে এ রকম রাজ্য সাতটি। এগুলো আবার দুটি গ্রুপে বিভক্ত– ‘সান বেল্ট’ এবং ‘রাস্ট বেল্ট’।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে এবং বিজয়ী প্রার্থীকে ২৭০টি বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে ৯৩টি ভোট রয়েছে। জয় পেতে হলে উভয় প্রার্থীকে এর মধ্যে অন্তত তিনটি রাজ্যে জিততে হবে।

পেনসিলভানিয়া, মিশিগান এবং উইসকনসিন রাস্ট বেল্টের অংশ। এ রাজ্যগুলো দেশটির উৎপাদন শিল্পের সাবেক কেন্দ্রস্থল। এই শিল্প ঐতিহ্যের রাজ্যগুলোর বেশির ভাগ ভোটার বহু বছর ধরে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে আসছেন। ডেমোক্র্যাটরা গত আটটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে সাতটিতে এসব রাজ্যে জয় পেয়েছেন। শুধু ২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রতিটিতে জয়লাভ করেন। এই তিনটি রাজ্যে জয় পেলেই কমলা হ্যারিস নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। তবে ট্রাম্প এই তিনটি রাজ্যে জয়ী হলেও প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হওয়ার জন্য তাঁকে অন্য আরও অন্তত একটি রাজ্যে জয় পেতে হবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে

জাপা চাপে, বিএনপি মনে করে অযথাই এমন পরিস্থিতি

আপডেট সময় ০৭:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

জাপা চাপে, বিএনপি মনে করে অযথাই এমন পরিস্থিতি
হঠাৎ জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন দলটি আলোচনায়। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ঘটনাটিকে এই সময়ে রাজনীতিতে একটি ‘অপ্রয়োজনীয়’ কাজ হিসেবেই দেখছে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি। দলটি এ বিষয়কে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি চক্রান্ত বলেও উল্লেখ করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে

অনেকে ভালোভাবে নেননি। কেউ কেউ এ ঘটনাকে কারও কারও অতি উৎসাহ হিসেবে দেখছেন। আর তাতে শেষ বিচারে কে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও চলছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ ঘটনায় জাতীয় পার্টি কিছুটা চাপে পড়েছে।

দলের কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরও সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছিল জাপা। সেই সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে পাল্টা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতার ব্যানারে। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের প্রেক্ষাপটে জাপা কার্যালয় এলাকায় সভা–সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা মেনে দুই পক্ষই গতকালের কর্মসূচি স্থগিত করে।

মানবজমিন:

বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে
আওয়ামী লীগের আমলে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ব্যাংক খাত থেকে যে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা বলেছেন, বাস্তবে তার পরিমাণ আরও বেশি। রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা ব্যাংক খাত ও বাণিজ্যের আড়ালে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। গতকাল দুপুরে ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়েস্ট সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুর্নীতি ও অর্থপাচারে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। দেশের ব্যাংক খাতকে যে খাদের কিনারায় ঠেলে দেয়া হয়েছে, তার পেছনে মূল দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার ও ঢেলে সাজানো ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি যারা চালু করেছেন, সেই প্রভাবশালীরাই পাঁচতারকা হোটেলে বসে ব্যাংক খাতের নীতি পলিসি তৈরি করতো। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব পলিসি শুধু ঘোষণা করতো।

নয়াদিগন্ত:

প্রণোদনার বীজ আমদানিতে লুটপাট

সরকার সারা দেশের কৃষকদের মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন ফসলের প্রণোদনা দিয়ে থাকে। প্রণোদনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে বীজ আমদানি করে। পরে তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মাধ্যমে কৃষকের হাতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু প্রণোদনার এই বীজ আমদানিতে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। গত কয়েক বছরের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজবীজ, ভুট্টাবীজ ও সূর্যমুখীবীজ আমদানির তথ্য পর্যালোচনা করে লুটপাটের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
বীজ আমদানির এই লুটপাটের সাথে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সিন্ডিকেট জড়িত। তাদের হয়ে পুরো এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেছেন আওয়ামী লীগের ঢাকা-৪ আসনের সাবেক এমপি কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেন, ড. রাজ্জাকের বন্ধু ও কুয়েত আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন ওরফে ফারুক মামা গংরা। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কৃষিবিদ মো: আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, বিএডিসির বীজ উইংয়ের সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজার চাচা পরিচয়দানকারী জিল্লুর রহমান, বীজ কোম্পানির মালিক পবিত্র ভাণ্ডারি, আলমাস উদ্দিন সুমনসহ আরো কয়েকজনের নাম এসেছে এই সিন্ডিকেটে। বিএডিসির সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পিডিরাও ভাগবাটোয়ারায় যুক্ত বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএডিসির মানসম্মত মসলাবীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাকরণ এবং বিতরণ (সমাপ্ত) প্রকল্পের মাধ্যমে বিগত চার বছরে ১৫৬ মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজবীজ আমদানি করা হয়। এন-৫৩ নামে ভারতীয় এই জাতের পেঁয়াজবীজ আমদানির পেছনে খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা।

দেশ রুপান্তর:

প্রশাসনে সাড়ে ১০ লাখ ‘আ. লীগ’
সংখ্যাটা বিশাল। প্রায় সাত লাখ। যার পুরোটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া। তাদের সঙ্গে ওই সময়ে পদোন্নতি পাওয়া আরও সাড়ে তিন লাখের বেশি যোগ হবে। সবমিলিয়ে সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৩ জনে, যা প্রশাসনে হিমালয়ের মতো বিশাল এক খাম্বা। শূন্য পদ বাদে বর্তমানে কর্মরত মোট ১২ লাখ ৩১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তাদের খুঁজে বের করতে গেলে লোম বাছতে কম্বল উজাড় হওয়ার জোগাড় হবে বলে মনে করছেন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৯ জনকে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিয়োগের হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৬ হাজার ৩৫৭ জনকে। অন্যদিকে ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে পদোন্নতি পান ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৩৯ জন। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পদোন্নতির হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে আগের ১৪ বছরের গড় হিসাব ধরলে ওই অর্থবছরে পদোন্নতি পান আরও ২৩ হাজার ৬৮৮ জন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের তথ্য তালাশ হচ্ছে। নাস্তা নিয়ে নাস্তানাবুদ করার অভিযোগে প্রশিক্ষণের প্রায় শেষপ্রান্ত ছুঁয়েও পুলিশে ‘আপাতত’ নিয়োগবঞ্চিত হচ্ছেন কয়েকশ প্রশিক্ষণার্থী এসআই। অর্ধডজন বিসিএস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসবের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বক্তব্যে প্রশাসন গুলজারময় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে দলীয় বিবেচনায় চাকরি পাওয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুগান্তর:

কর্মের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ নেই

দেশে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের চাপ

কর্মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারছে না দেশের প্রচলিত শিক্ষা। এজন্য দিন দিন শিক্ষিত ও তরুণ বেকারের চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকার আশঙ্কাজনক। ফলে সম্ভাবনাময় এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে হতাশা এবং দেশ বঞ্চিত হচ্ছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনমিতির সুবিধা থেকে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ (বিবিএস) বিভিন্ন সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষিত তরুণরা বেকার থাকায় রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি সম্পদের অপচয় হচ্ছে। ফলে দক্ষতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার মান বাড়িয়ে বাস্তব কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করার এখনই সময়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষিত ও তরুণ বেকার বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগজনক। কেননা যারা শিক্ষিত তারা যে কোনো কাজ করতে পারেন না। তারা চান প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা সোভন কাজ। কিন্তু আমাদের দেশে ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই অপ্রাতিষ্ঠানিক। এখানে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা কম। ফলে তারা বেকার থাকছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ভোট যুক্তরাষ্ট্রে সমীকরণ ঢাকায়
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু আলোচনা চলছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের দৃষ্টি এখন মার্কিন নির্বাচনের দিকে। ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস জিতবেন তা নিয়েই আগ্রহ সবার। কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প ও কমলা দুজনই দুই ধরনের দর্শনের ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিক। যিনি জিতবেন তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে স্পষ্টভাবেই পড়বে। এতে পুরো বিশ্বের চলমান বড় ইস্যুগুলোর মতো বাংলাদেশেরও অভিবাসন, শরণার্থী সহায়তা, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। এসব কারণে ভোট যুক্তরাষ্ট্রে হলেও নানা সমীকরণ নিয়ে আলোচনা চলছে ঢাকায়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানান, আর মাত্র তিন দিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। আমেরিকানরা তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেছে নেন তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, ইরান সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় বিষয়গুলোই ছিল আলোচনায়। কিন্তু সর্বশেষ দীপাবলি উপলক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইট বাংলাদেশে আলোচনায় নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। টুইটে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ‘আমি থাকলে এমন পরিস্থিতি হতো না।’ এরপর নানা মহল থেকে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প জিতলে ভারতের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মার্কিনিদের অতি ঘনিষ্ঠতায় ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে রাজনৈতিক ও গণমানুষের আলোচনায় চলছে নানা হিসাবনিকাশ। যদিও কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের টুইট পুরোপুরিই নির্বাচনি একটি কৌশল। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিশালসংখ্যক হিন্দু ভোটারকে আকৃষ্ট করতেই ট্রাম্প এ অবস্থান নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমেরিকাতে যখনই নির্বাচন হয় সারা বিশ্বে তার প্রভাব পড়ে। এবারও দুই প্রার্থীই সমানে সমান। সর্বশেষ শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প নাকি খুব ভালোভাবে এগিয়ে আছেন। পেনসিলভানিয়াতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আর দুই-তিন দিনের মধ্যে পুরো পরিস্থিতিটা পরিষ্কার হবে। ইতোমধ্যে ৬ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন। প্রাপ্ত ভোট থেকে বোঝা যাচ্ছে ২০২০ সালের তুলনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ভালো করছেন। তিনি বলেন, মার্কিন নির্বাচন বাংলাদেশের ওপর খুব তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে না। আমাদের হিন্দুদের বিষয় নিয়ে ট্রাম্প যা বলছেন তা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনি প্রপাগান্ডার অংশ। এর কোনো বাস্তবিক প্রয়োগ নেই। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

কালের কন্ঠ:

বিনিয়োগ সংকটে শিল্পোৎপাদন তলানিতে
উচ্চ সুদের হার, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা চলছে। এর ফলে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। আর তলানিতে এসে ঠেকেছে শিল্পোৎপাদন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রায় তরুণদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির চাহিদার মধ্যে নানামুখী সংকটে জর্জরিত উদ্যোক্তারা।

তাঁরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত না হওয়ায় নতুন বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে নীতি সুদহার বাড়ানোয় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকঋণের সুদহারও। এতে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা।
তাঁরা বলছেন, অতিরিক্ত সুদের চাপে কমতে পারে বিনিয়োগ, কমবে কর্মসংস্থানও।চলমান অস্থিরতায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের বিক্রিতেও ধস নেমেছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, ভয়াবহ করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে মাজা সোজা করে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দামে উল্লম্ফনে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বোঝা এখনো বয়ে চলেছে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ। গত বছরের প্রথম দিকে যুদ্ধের প্রভাবে কাঁচামাল আমদানিতে সংকট দেখা দেয়।

কালবেলা:

দেশ সাফল্য চায়, তোমরা এনে দিয়েছ
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে দেশবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের মানুষ সাফল্য চায়, তোমরা আমাদের সেই সাফল্য এনে দিয়েছ। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারী ফুটবল দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বিজয় অর্জনকারী দলটি তাদের স্বপ্ন ও সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস বিজয়ী খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দাবি ও বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।

দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক বাধা পেরিয়ে আজকেরে এ অবস্থানে এসেছি। এটি কেবল নারী ফুটবল দল নয় বরং বাংলাদেশের নারীরা সাধারণত অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে।

এই তারকা স্ট্রাইকার তার কয়েকজন সহযোদ্ধার সংগ্রামের গল্প, যেমন মারিয়া মান্দার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মারিয়া ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলসিন্দুর গ্রাম থেকে এসেছেন, যা সাফজয়ী দলে ছয়জন খেলোয়াড় দিয়েছে। ছোটবেলায় পিতৃহারা মারিয়াকে তার মা বড় করেছেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

সেন্ট মার্টিন কোনো বিদেশীর কাছে লিজ দেয়ার পরিকল্পনা নেই
সেন্টমার্টিন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন লিজ দিচ্ছেন, এমন খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকিং পেজে বলা হয়, কোনো দেশের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেয়ার পরিকল্পনা নেই অন্তর্বর্তী সরকারের। গতকাল শনিবার দেয়া সেই পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের মধ্যে ল্যান্ড ফোর্সেস টকস কয়েক বছর ধরে চলছে। এর সপ্তম আসর গত বছরের ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের ফোর্ট শ্যাফটারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই টকসের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনকে জড়িয়ে কোনো ধরনের পোস্ট নিছক গুজব। অন্তর্বর্তী সরকার অনেকবার জানিয়েছে যে সেন্ট মার্টিন কোনো বিদেশী দেশের কাছে কোনো উদ্দেশ্যে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই।

সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরেকটি পোস্টে জানায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন কমপক্ষে ২০ ধরনের বিপদের মুখে পড়েছে। গত ১৫ এপ্রিল ‘এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্স’ নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পর্যটনের কারণে সেন্টমার্টিনে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন উজাড়, দূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, কচ্ছপের আবাস ধ্বংস, প্লাস্টিকের ব্যবহার, মিঠাপানির সংকট, জোয়ারে সমুদ্র ভাঙনসহ নানা বিপদ দেখা দিয়েছে।

‘দুই মাস ধরে দ্বীপে আরেকটি নতুন বিপদ হাজির হয়েছে। সেখানে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর সাদা মাছির উৎপাত। এই মাছি দ্বীপের গাছপালা ধ্বংস করছে। সাদা মাছির কারণে গত কয়েক মাসে ৩০০ নারকেল গাছ মারা গেছে। বিশেষজ্ঞরা সেন্ট মার্টিনের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অপরিকল্পিত পর্যটনকে দায়ী করছেন।’

ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গবেষণা অনুযায়ী দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির ৪১ ভাগ প্রবাল ধ্বংস হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ থামানো না গেলে ২০৪৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপের সব প্রবাল ধ্বংস হবে যাবে আর দ্বীপটি ডুবে যাবে। সরকার এই দ্বীপ রক্ষায়, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে, আর বেআইনি স্থাপনার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বৃহত্তর জনস্বার্থে। দেশের একমাত্র প্রবালের দ্বীপ সেন্ট মার্টিন বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্যও।

সমকাল:

জয়ের পথে ভয়ের কাঁটা যেসব রণক্ষেত্র রাজ্য
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য রয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে এগুলোর বেশির ভাগ ভোটার সাধারণত একই দলকে ভোট দেন– হয় ডেমোক্রেটিক অথবা রিপাবলিকান পার্টি। মাত্র কয়েকটি রাজ্য রয়েছে, যেখানে যে কোনো প্রার্থী জিততে পারেন। এগুলোকে রণক্ষেত্র বা দোদুল্যমান রাজ্য বলা হয়। এবারের নির্বাচনে এ রকম রাজ্য সাতটি। এগুলো আবার দুটি গ্রুপে বিভক্ত– ‘সান বেল্ট’ এবং ‘রাস্ট বেল্ট’।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে এবং বিজয়ী প্রার্থীকে ২৭০টি বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে ৯৩টি ভোট রয়েছে। জয় পেতে হলে উভয় প্রার্থীকে এর মধ্যে অন্তত তিনটি রাজ্যে জিততে হবে।

পেনসিলভানিয়া, মিশিগান এবং উইসকনসিন রাস্ট বেল্টের অংশ। এ রাজ্যগুলো দেশটির উৎপাদন শিল্পের সাবেক কেন্দ্রস্থল। এই শিল্প ঐতিহ্যের রাজ্যগুলোর বেশির ভাগ ভোটার বহু বছর ধরে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়ে আসছেন। ডেমোক্র্যাটরা গত আটটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে সাতটিতে এসব রাজ্যে জয় পেয়েছেন। শুধু ২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রতিটিতে জয়লাভ করেন। এই তিনটি রাজ্যে জয় পেলেই কমলা হ্যারিস নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। তবে ট্রাম্প এই তিনটি রাজ্যে জয়ী হলেও প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হওয়ার জন্য তাঁকে অন্য আরও অন্তত একটি রাজ্যে জয় পেতে হবে।