ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি ভারতীয় সংস্থা এবং দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা দেওয়ার জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

১২টি দেশের মধ্যে ভারতের পাশাপাশি চীন, হংকং, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এসব সংস্থা রাশিয়াকে সেই সব পণ্য সরবরাহ করছে, যেগুলো যুদ্ধ ও শান্তি উভয় সময়েই কাজে লাগে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত ৭০০টি শিপমেন্ট রাশিয়ায় পাঠিয়েছে তারা। এসব শিপমেন্টে ২ লাখ ডলারের সিএইচপিএল পণ্য রয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিমানের যন্ত্রাংশও রয়েছে। এ ছাড়া সিএইচপিএল পণ্য সরবরাহ করেছে আরেকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাস্ক ট্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার সংস্থাকে তারা তিন লাখ ডলার মূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা আরেক প্রতিষ্ঠান টিএসএমডি, তারা ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করেছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সংস্থার মালিক সেগুলো কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।

এ ছাড়া দুই ভারতীয় নাগরিকেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। তারা হলেন বিবেক কুমার মিশ্র ও সুধীর কুমার।

উভয়ই দিল্লিভিত্তিক সংস্থা অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক পদে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাত গুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৬:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি ভারতীয় সংস্থা এবং দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা দেওয়ার জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

১২টি দেশের মধ্যে ভারতের পাশাপাশি চীন, হংকং, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এসব সংস্থা রাশিয়াকে সেই সব পণ্য সরবরাহ করছে, যেগুলো যুদ্ধ ও শান্তি উভয় সময়েই কাজে লাগে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত ৭০০টি শিপমেন্ট রাশিয়ায় পাঠিয়েছে তারা। এসব শিপমেন্টে ২ লাখ ডলারের সিএইচপিএল পণ্য রয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিমানের যন্ত্রাংশও রয়েছে। এ ছাড়া সিএইচপিএল পণ্য সরবরাহ করেছে আরেকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাস্ক ট্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার সংস্থাকে তারা তিন লাখ ডলার মূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা আরেক প্রতিষ্ঠান টিএসএমডি, তারা ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করেছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সংস্থার মালিক সেগুলো কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।

এ ছাড়া দুই ভারতীয় নাগরিকেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। তারা হলেন বিবেক কুমার মিশ্র ও সুধীর কুমার।

উভয়ই দিল্লিভিত্তিক সংস্থা অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক পদে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাত গুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।