লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলায় চারজন থাই শ্রমিক ও তিনজন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের লেবাননে সাম্প্রতিক আগ্রাসনের পর এটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক সীমান্তবর্তী হামলা।
অন্যদিকে, ইসরায়েলও লেবাননের বিভিন্ন স্থানে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলায় লেবাননে ২৪ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এসব হামলা চালানো হয়।
লেবানন থেকে ছোড়া রকেট ইসরায়েলের মেতুলা শহরের কৃষি অঞ্চলে আঘাত হানে, যেখানে চারজন থাই শ্রমিক এবং এক ইসরায়েলি কৃষক নিহত হন। কয়েক ঘণ্টা পর আবার ২৫টি রকেট লেবানন থেকে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরের একটি উপশহরে অবস্থিত জলপাই বাগানে আঘাত করে। এই আঘাতে ৩০ বছর বয়সী ইসরায়েলি এক ব্যক্তি ও ৬০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হন এবং এই হামলায় দুইজন আহত হন। এই তথ্য নিশ্চিত করেন ইসরায়েলের প্রধান মেডিকেল সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম।
হিজবুল্লাহ এবং হামাস- ইরানের সমর্থিত দুটি গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছে। তবে বৃহস্পতিবারের রকেট হামলার দায় এখনো হিজবুল্লাহ স্বীকার করেনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে প্রায় ৯০টি প্রজেক্টাইল ছোঁড়া হয়েছে।
মেতুলার বাসিন্দারা গত বছরের অক্টোবর শহর ছেড়ে চলে যায়। এখন শুধুমাত্র নিরাপত্তা কর্মী ও কৃষি শ্রমিকরা সেখানে অবস্থান করছেন। এই হামলায় আহত আরও একজন থাই কর্মীর কথা নিশ্চিত করেছে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসা। তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে সব পক্ষকে শান্তির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
ইসরায়েলের একটি সংস্থা ‘হটলাইন ফর রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেন্টস’ জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় শ্রমিকদের সঠিক নিরাপত্তা না দিয়ে কাজ করতে পাঠানো তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। সীমান্তের নিকটবর্তী কৃষি এলাকাগুলো বন্ধ সামরিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে প্রবেশের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের মার্গালিওত শহরের মেয়র আইতেন ডাভিডি বলেছেন, যদি ইসরায়েলি সরকার বাইডেন প্রশাসনের আনা কোনো চুক্তিতে সম্মতি দেয় আমরা তা মেনে নেব না, কারণ এতে হিজবুল্লাহ পুনরায় সীমান্তে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবে।
সূত্র- আলজাজিরা।