ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ১৯ ইসকন নেতার বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিভাগ ইসকনের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে (নম্বর-৫২)৷ গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের উত্তর মোহরা এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ খান এ মামলা দায়ের করেন। এতে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়।

অন্যান্য আসামিরা হলেন- অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ(৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী(৪০), নিউটন দে ববি(৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ(২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮), হৃদয় দাস (২৫)। এর আগে এ ঘটনায় রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাশ (২৫) নামে দুজনকে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, ২৫ অক্টোবর নগরের লালদিঘী মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেদিন ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর নির্দেশে নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে।

বাদি অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সংঘঠিত হওয়ার পর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে যা অদ্যবধি সেখানে রয়েছে৷ ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ ঘটে।

বাদীর অভিযোগ, আসামিরা নিউমার্কেট মোড় জিরোপয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে সু-পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা প্রদর্শনের হীন উদ্দেশ্যে, দেশের অখন্ডতাকে অস্বীকার করার মানসে এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্বের প্রতীক স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন পূর্বক অবমাননা করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়।

এজাহারে বাদি আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকারের শামিল। আসামিরা তাদের সংগঠনের নেতাদের সাথে পরস্পর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর তাদের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার তথা রাষ্ট্রদ্রোহ কাজে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষের জন্ম হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও রাষ্ট্রদোহীতার অপরাধ করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ১৯ ইসকন নেতার বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ১২:২১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিভাগ ইসকনের সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে প্রধান আসামি করে নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে (নম্বর-৫২)৷ গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের উত্তর মোহরা এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ খান এ মামলা দায়ের করেন। এতে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়।

অন্যান্য আসামিরা হলেন- অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ(৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী(৪০), নিউটন দে ববি(৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ(২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮), হৃদয় দাস (২৫)। এর আগে এ ঘটনায় রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাশ (২৫) নামে দুজনকে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, ২৫ অক্টোবর নগরের লালদিঘী মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেদিন ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর নির্দেশে নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে।

বাদি অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সংঘঠিত হওয়ার পর নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে যা অদ্যবধি সেখানে রয়েছে৷ ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ ঘটে।

বাদীর অভিযোগ, আসামিরা নিউমার্কেট মোড় জিরোপয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে সু-পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা প্রদর্শনের হীন উদ্দেশ্যে, দেশের অখন্ডতাকে অস্বীকার করার মানসে এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্বের প্রতীক স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন পূর্বক অবমাননা করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়।

এজাহারে বাদি আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকারের শামিল। আসামিরা তাদের সংগঠনের নেতাদের সাথে পরস্পর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর তাদের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার তথা রাষ্ট্রদ্রোহ কাজে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষের জন্ম হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও রাষ্ট্রদোহীতার অপরাধ করেছেন।