ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে দুর্বৃত্তদের হামলা শিকার, আহত ৮

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • 11

শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাবুরচর এলাকার পদ্মা নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- জাজিরা উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রিয়াদ (২৮), চালক মো. সাগর (৩০), স্পিডবোট ড্রাইভার সেকেন্দার হোসাইন (২৯), তাদের সহযোগী হাবিব (২২), জিল্লুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (২৭), জামিল হোসেন (২৮) ও সেকান্দার হোসেন (৩৫)।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে মা ইলিশ ধরতে না নামে সেজন্য মঙ্গলবার রাতে জাজিরার সিডারচর এলাকায় একটি স্পিডবোট, বাবুর চরে দুটি স্পিডবোট ও চরাত্রায় একটি স্পিডবোটে মৎস্য বিভাগের লোকজন দায়িত্বে ছিল। হঠাৎ ১৮ থেকে ২০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোকজন এসে বাবুর চরের দুটি স্পিডবোটে হামলা চালায়। তখন দেশীয় অস্ত্র ও লগি-বৈঠা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে আহত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে জানতে পেরে নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ মৎস্য বিভাগের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাদিউজ্জামান জানায়, হামলার বিষয়ে মৎস্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানাব। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানায়, অভিযান কঠোর হচ্ছে তাই তারা উগ্র হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে দুর্বৃত্তদের হামলা শিকার, আহত ৮

আপডেট সময় ১০:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাবুরচর এলাকার পদ্মা নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- জাজিরা উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রিয়াদ (২৮), চালক মো. সাগর (৩০), স্পিডবোট ড্রাইভার সেকেন্দার হোসাইন (২৯), তাদের সহযোগী হাবিব (২২), জিল্লুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (২৭), জামিল হোসেন (২৮) ও সেকান্দার হোসেন (৩৫)।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে মা ইলিশ ধরতে না নামে সেজন্য মঙ্গলবার রাতে জাজিরার সিডারচর এলাকায় একটি স্পিডবোট, বাবুর চরে দুটি স্পিডবোট ও চরাত্রায় একটি স্পিডবোটে মৎস্য বিভাগের লোকজন দায়িত্বে ছিল। হঠাৎ ১৮ থেকে ২০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোকজন এসে বাবুর চরের দুটি স্পিডবোটে হামলা চালায়। তখন দেশীয় অস্ত্র ও লগি-বৈঠা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে আহত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে জানতে পেরে নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ মৎস্য বিভাগের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাদিউজ্জামান জানায়, হামলার বিষয়ে মৎস্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানাব। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানায়, অভিযান কঠোর হচ্ছে তাই তারা উগ্র হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।