ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মাফিয়াতন্ত্রের দিনলিপি’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১১:০০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 54

ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংঘটিত একের পর এক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘মাফিয়াতন্ত্রের দিনলিপি’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীতে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার আঘাতে জামায়াত-ছাত্রশিবিরসহ চার দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যাকাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যা এবং সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার উপর সংঘটিত ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যাসহ বহু সহিংসতার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

আজ (২৮ অক্টোবর) ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বেলা ৩ টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রদর্শনী চলে। আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম, আরিফুল ইসলাম অপু সহকারী অধ্যাপক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, ঢাবি সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ। প্রদর্শনীর শুরুতেই ২৮ অক্টোবরের নানা দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পেশ করা হয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৬ সালের আটাশে অক্টোবরের বর্বরতা নিছক ঘটে যাওয়া বিষয় নয়, বরং এটি ছিল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করা ও  ফ্যাসিবাদ কায়েমের লক্ষ্যে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা দেখেছি সেই ঘটার সূত্র ধরে এক-এগারোর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যার মাধ্যমে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।

তিনি বলেন, একদিকে ছিল ইসলামোফোবিয়ার নামে নানা অযুহাতে তৎকালীন পশ্চিমাদের ইসলাম নিধন প্রজেক্ট, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী মনোভাবের ফলে বাংলাদেশে বার বার নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। আমরা মনে করি আটাশে অক্টোবর সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম তার বক্তব্যে বলেন, “সন্ত্রাসের যে নজির আমরা জুলাইয়ে প্রত্যক্ষ করেছি তা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় বরং দীর্ঘ সময় ধরে তারা যে সহিংসতা লালন করেছে তার অংশ মাত্র। ইতিহাসের দিকে তাকালেই ২৮শে অক্টোবর, শাপলার গণহত্যাসহ ২০২৪ এর জুলাই গণহত্যা আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এহেন সন্ত্রাসী ও মাফিয়াদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।”

সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, “লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার মত পৈশাচিক ঘটনা ছিলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যাত্রার প্রথম ধাপ। পরবর্তীতেও তারা ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করতে চেয়েছে কিন্তু তারা ছাত্র-জনতার দৃঢ়তার ফলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদী আহবায়ক ইনকিলাব মঞ্চ, অর্পিতা গোলদার সভাপতি ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, আল সাদী ভূইয়া সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। ইয়াসিন আরাফাত সভাপতি ইসলামি ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখা, সানাউল্লাহ আহ্বায়ক ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারি মহিউদ্দিন মাহি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সেক্রেটারি আদনান মুশতারী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘মাফিয়াতন্ত্রের দিনলিপি’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১১:০০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংঘটিত একের পর এক হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘মাফিয়াতন্ত্রের দিনলিপি’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীতে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার আঘাতে জামায়াত-ছাত্রশিবিরসহ চার দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যাকাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যা এবং সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার উপর সংঘটিত ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যাসহ বহু সহিংসতার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

আজ (২৮ অক্টোবর) ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বেলা ৩ টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রদর্শনী চলে। আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রেজাউল করিম, আরিফুল ইসলাম অপু সহকারী অধ্যাপক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, ঢাবি সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ। প্রদর্শনীর শুরুতেই ২৮ অক্টোবরের নানা দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পেশ করা হয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৬ সালের আটাশে অক্টোবরের বর্বরতা নিছক ঘটে যাওয়া বিষয় নয়, বরং এটি ছিল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করা ও  ফ্যাসিবাদ কায়েমের লক্ষ্যে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা দেখেছি সেই ঘটার সূত্র ধরে এক-এগারোর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যার মাধ্যমে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।

তিনি বলেন, একদিকে ছিল ইসলামোফোবিয়ার নামে নানা অযুহাতে তৎকালীন পশ্চিমাদের ইসলাম নিধন প্রজেক্ট, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী মনোভাবের ফলে বাংলাদেশে বার বার নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। আমরা মনে করি আটাশে অক্টোবর সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম তার বক্তব্যে বলেন, “সন্ত্রাসের যে নজির আমরা জুলাইয়ে প্রত্যক্ষ করেছি তা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় বরং দীর্ঘ সময় ধরে তারা যে সহিংসতা লালন করেছে তার অংশ মাত্র। ইতিহাসের দিকে তাকালেই ২৮শে অক্টোবর, শাপলার গণহত্যাসহ ২০২৪ এর জুলাই গণহত্যা আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এহেন সন্ত্রাসী ও মাফিয়াদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।”

সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, “লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার মত পৈশাচিক ঘটনা ছিলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যাত্রার প্রথম ধাপ। পরবর্তীতেও তারা ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করতে চেয়েছে কিন্তু তারা ছাত্র-জনতার দৃঢ়তার ফলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদী আহবায়ক ইনকিলাব মঞ্চ, অর্পিতা গোলদার সভাপতি ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, আল সাদী ভূইয়া সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। ইয়াসিন আরাফাত সভাপতি ইসলামি ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখা, সানাউল্লাহ আহ্বায়ক ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারি মহিউদ্দিন মাহি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সেক্রেটারি আদনান মুশতারী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।