ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে বিএনপি

বিনামূল্যে পাঠ্য বই,২৭০ কোটি টাকা লোপাট

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • 25

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

বিনামূল্যে পাঠ্য বই/২৭০ কোটি টাকা লোপাট
বিনামূল্যের পাঠ্য বই নিয়ে নানা অনিয়ম হয়েছে বিগত সরকারের সময়ে। বইয়ের মান, ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাপার সঙ্গে লুটপাট হয়েছে সরকারি অর্থ। বিপুল অর্থ লুটপাট হলেও সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া যায়নি বই। খোদ আওয়ামী লীগের শাসনামলের হওয়া অনুসন্ধানেই উঠে এসেছে ২৭০ কোটি টাকা লোপাটের তথ্য। এর বাইরেও ৯৪৫ কোটি টাকা বাজেটের বই থেকে প্রকাশনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোও করেছে অর্থের নয়-ছয়। ২৭০ কোটি টাকার দুর্র্নীতির তথ্য মেলার পর নিশ্চুপ ছিল প্রশাসন। কারও শাস্তি হয়নি। জবাবদিহিতা করতে হয়নি কাউকে।

পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, পাঠ্য বই ছাপাতে মূলত পাঁচ খাতে দুর্নীতি করা হয়েছে। বইয়ের আকারে সুক্ষ্মভাবে ছোট করা হতো। যার কারণে সেখানে খরচ কমে আসতো। কাগজের উজ্জ্বলতার জন্য নির্দিষ্ট মান থেকে কমিয়ে আনা হতো। আর এই অপরাধকে একপ্রকার বৈধতা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডা. দীপু মনি। পূর্বের বছরের পাঠ্য বই নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ছাপানো বইয়ের কাগজের মান খারাপ নয়, রং কিছুটা ভিন্ন হলেও তা নিউজপ্রিন্ট নয়। ছাপানো কাগজ অনেক বেশি সাদা হলে তা চোখের জন্য তত ভালো নয়। আমাদের দেশে সবাই মনে করে বইয়ের কাগজ যত বেশি সাদা হবে তত বেশি ভালো কিন্তু তা নয়। আমাদের বইয়ের কাগজের উজ্জ্বলতা কিছুটা কম হলেও তা নিউজপ্রিন্ট নয়।

দেশ রুপান্ত:

নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে বিএনপি
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি বড় দল হিসেবে নিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জানান দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গত দেড় দশক আন্দোলন করে আসা দলটিকে কোনোভাবেই যে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, তা আওয়ামী লীগের আমলেও জানান দিয়েছে দলটি।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের ইস্যু ঘিরে বিএনপির অবস্থানও বলছে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। নির্বাচন ও সংস্কারের প্রশ্নেও দলটি তার প্রত্যাশা স্পষ্ট করেছে। দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটা সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হোক। অন্য যেসব সংস্কার সেটা নির্বাচিত সরকার করবে। বিএনপির নিজেরও ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি রয়েছে
যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন পর্যন্ত কতদিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে বা কীভাবে নির্বাচন হবে, সেরকম কোনো রোডম্যাপ দেয়নি। সংস্কার প্রক্রিয়া কী হবেÑ সেটাও খোলাসা করেনি। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এসব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
জুলাইয়ে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে সহিংসতার জের ধরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সূত্রপাত। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ছাত্র আন্দোলনের দুজন নেতা রয়েছেন।

প্রথম আলো:

সাংবিধানিক সংকট চায় না বিএনপিসহ বিভিন্ন দল
১২-দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির।রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি আরও একবার শক্তভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল রোববার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়ায় গতকাল ১২-দলীয় জোট ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল এসব রাজনৈতিক দল।

গতকাল বিকেলে মালিবাগে ১২-দলীয় জোটের একটি দলের কার্যালয়ে এ বৈঠকে জোটটি রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছে। তারাও রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা এনে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পক্ষে নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এবং নির্বাচন বিলম্বিত হবে। সেটি তাঁরা চান না। তাঁরা তাঁদের এই অবস্থান বৈঠকে জানিয়েছেন।

তবে শাহাদাত হোসেন এ-ও জানান, রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা সমাবেশসহ আন্দোলনের কর্মসূচি নেবেন বলেও তাঁদের জানিয়েছেন। বিএনপিসহ সব দল যদি বিষয়টিতে একমত হয়, তখন তাঁরাও তা বিবেচনা করবেন।

গণ অধিকার পরিষদও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তের পক্ষে নয়। তারা ভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে। দলটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করে তারপর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ অন্যান্য বিষয়ে সমাধানের কথা বলেছে। গতকাল সন্ধ্যায় দলটির নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

বৈঠকের পর গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়সহ আরও অনেক সংকট সামনে আসতে পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এখন পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। সে জন্য এখন রাষ্ট্রপতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নন তাঁরা। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও অংশীজনদের নিয়ে একটা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপতির অপসারণসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। এই অবস্থান তাঁরা বৈঠকে তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হচ্ছে সেই হেভিওয়েটদের
জুলাই-আগস্টে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে করা বিভিন্ন মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ২০ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আনিসুল হক, দীপু মনিসহ ১০ মন্ত্রী, সালমান এফ রহমানসহ দুই উপদেষ্টা, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সচিব, পাঁচ পুলিশ ও এক সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব, বিচারপতিসহ ১৪ জনকে আগামী ১৮ নভেম্বর এবং ছয়জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

পৃথক তিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আবেদনগুলো ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, মো. সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুল্লাহ আল নোমান সঙ্গে ছিলেন।

কালের কন্ঠ:

পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ
ভাই প্রভাবশালী মন্ত্রী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় শীর্ষ ফোরাম প্রেসিডিয়ামেরও মেম্বার। বলা যায়, ক্ষমতার একদম শীর্ষবিন্দুতে অবস্থান। বাড়তি পাওনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহ আর আশীর্বাদ।

আর কী চাই? রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একেবারে ‘টপে’ থেকে এটিকে মনমতো কাজে লাগিয়েছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানের ভাই আজিজ খান। গত ১৫ বছরে এই ক্ষমতার ঢাল ব্যবহার করে তিনি শুধুই তর তর করে ওপরে উঠেছেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ, সরকারি কেনাকাটা, পণ্য ও সেবার সরবরাহ করে সবাইকে পেছনে ফেলে ধনী থেকে আরো ধনী হয়েছেন। বেসরকারি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের মালিক মুহাম্মদ আজিজ খানের পরিচিতি এখন শুধু বাংলাদেশের ধনী হিসেবেই নয়; বরং তিনি এখন সিঙ্গাপুরেরও অন্যতম সেরা ধনী ব্যক্তি।

নয়াদিগন্ত:

আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের আত্মত্যাগ মুছে ফেলা যাবে না : ডা: শফিক
গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ করতে বৈষম্যহীন, তারুণ্যনির্ভর মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আগস্ট বিপ্লবের শহীদরা জাতীয় বীর। দেশ ও জাতির জন্য তাদের এই আত্মত্যাগের কথা কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের জন্য যথাযথ সম্মানের ব্যবস্থা করতে হবে। ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৫ আগস্টের বিপ্লব পর্যন্ত সব শহীদের অবদানের কথা জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত শহীদ পরিবারের গর্বিত সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ১২ দলীয় জোট প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, গণ অধিকার পরিষদের (নুর) সদস্য সচিব রাশেদ খান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন। উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আবদুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা: ফখরুদ্দীন মানিক, দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন ও কামাল হোসেন প্রমুখ।

কালবেলা:

ঋণ নিয়ে সোয়া ২ লাখ কোটি টাকার রাজনৈতিক প্রকল্প
শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে মেঘনা নদীর ওপর টানেল নির্মাণ পরিকল্পনার কথা জানায় বিগত সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কাজ শুরু হয়ে তা শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালে। কিন্তু এ প্রকল্পের অগ্রগতি সমীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আর সেই সমীক্ষা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ঢাকা মহানগরীর ইনার রিং রোডের ওপর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নির্মাণ প্রকল্প ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ১২০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে। তবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে টাকা ব্যয় করার পর সব থমকে আছে। কেবল এ দুটি প্রকল্পই নয়, এমন ১২টি ঋণনির্ভর প্রকল্প নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যেখানে সর্বমোট ব্যয় হওয়ার কথা ২ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এগুলো শুধু নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় জনগণকে খুশি করতে। তবে সেসব প্রকল্প এখন আর এগোচ্ছে না; কিন্তু বাস্তবায়ন অযোগ্য এসব প্রকল্পের সমীক্ষা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা।

নথিপত্র বলছে, ১২টি প্রকল্পই বৈদেশিক ঋণ অথবা জি-টু-জি এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ৬টি প্রকল্পে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। মাঝারি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ৬টি প্রকল্পে ৯৩ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এসব প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে এসব প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ করতে ৪০০ কোটির বেশি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ এই কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। প্রকল্পের প্রাথমিক নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতিটি প্রকল্পেরই ব্যাখ্যা হিসেবে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কিংবা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া দুটি প্রকল্পে উল্লেখ রয়েছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা।

দৈনিক সংগ্রাম:

ফেরারির মতো ছুটছেন ছাত্রলীগ নেতারা, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রতিবেদনটি করেছেন মেহেদী হাসান মারুফ। কিছুটা সংক্ষেপিত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো।

২৪ বছর বয়সী ফাহমি (ছদ্মনাম) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তবে গত আগস্টের শুরুর দিক থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন।

ফাহমি ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন এটি। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে লৌহমুষ্টি দিয়ে দলটি দেশ শাসন করেছে। আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে এই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান।

গত বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে। সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১৫ বছরে সহিংসতা, হয়রানি ও নিজেদের স্বার্থে জনসম্পদ ব্যবহারসহ গুরুতর অসদাচরণের ইতিহাস রয়েছে ছাত্রলীগের।

ফলিত রসায়নের স্নাতকের শিক্ষার্থী ফাহমি (ছদ্মনাম)। তিনি আল–জাজিরাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি এখানে কর্তৃত্বের কণ্ঠস্বর ছিলাম। এখন আমি ফেরারির মতো ছুটছি, যার সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
যুগান্তর:

হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নয়,রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে মির্জা ফখরুল

রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি, গণ-অভ্যুত্থানের ফল ঘরে তোলার জন্য, বিপ্লবকে সুসংহত করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। কোনোরকম হঠকারী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে একটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সব কাজ করা প্রয়োজন। এজন্য বেশি প্রয়োজন অতি দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন করা।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এর আগে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মাজারে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

 

নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে বিএনপি

বিনামূল্যে পাঠ্য বই,২৭০ কোটি টাকা লোপাট

আপডেট সময় ০৭:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

বিনামূল্যে পাঠ্য বই/২৭০ কোটি টাকা লোপাট
বিনামূল্যের পাঠ্য বই নিয়ে নানা অনিয়ম হয়েছে বিগত সরকারের সময়ে। বইয়ের মান, ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাপার সঙ্গে লুটপাট হয়েছে সরকারি অর্থ। বিপুল অর্থ লুটপাট হলেও সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া যায়নি বই। খোদ আওয়ামী লীগের শাসনামলের হওয়া অনুসন্ধানেই উঠে এসেছে ২৭০ কোটি টাকা লোপাটের তথ্য। এর বাইরেও ৯৪৫ কোটি টাকা বাজেটের বই থেকে প্রকাশনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোও করেছে অর্থের নয়-ছয়। ২৭০ কোটি টাকার দুর্র্নীতির তথ্য মেলার পর নিশ্চুপ ছিল প্রশাসন। কারও শাস্তি হয়নি। জবাবদিহিতা করতে হয়নি কাউকে।

পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, পাঠ্য বই ছাপাতে মূলত পাঁচ খাতে দুর্নীতি করা হয়েছে। বইয়ের আকারে সুক্ষ্মভাবে ছোট করা হতো। যার কারণে সেখানে খরচ কমে আসতো। কাগজের উজ্জ্বলতার জন্য নির্দিষ্ট মান থেকে কমিয়ে আনা হতো। আর এই অপরাধকে একপ্রকার বৈধতা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডা. দীপু মনি। পূর্বের বছরের পাঠ্য বই নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ছাপানো বইয়ের কাগজের মান খারাপ নয়, রং কিছুটা ভিন্ন হলেও তা নিউজপ্রিন্ট নয়। ছাপানো কাগজ অনেক বেশি সাদা হলে তা চোখের জন্য তত ভালো নয়। আমাদের দেশে সবাই মনে করে বইয়ের কাগজ যত বেশি সাদা হবে তত বেশি ভালো কিন্তু তা নয়। আমাদের বইয়ের কাগজের উজ্জ্বলতা কিছুটা কম হলেও তা নিউজপ্রিন্ট নয়।

দেশ রুপান্ত:

নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে বিএনপি
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি বড় দল হিসেবে নিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জানান দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গত দেড় দশক আন্দোলন করে আসা দলটিকে কোনোভাবেই যে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, তা আওয়ামী লীগের আমলেও জানান দিয়েছে দলটি।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের ইস্যু ঘিরে বিএনপির অবস্থানও বলছে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। নির্বাচন ও সংস্কারের প্রশ্নেও দলটি তার প্রত্যাশা স্পষ্ট করেছে। দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটা সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হোক। অন্য যেসব সংস্কার সেটা নির্বাচিত সরকার করবে। বিএনপির নিজেরও ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি রয়েছে
যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন পর্যন্ত কতদিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে বা কীভাবে নির্বাচন হবে, সেরকম কোনো রোডম্যাপ দেয়নি। সংস্কার প্রক্রিয়া কী হবেÑ সেটাও খোলাসা করেনি। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এসব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
জুলাইয়ে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে সহিংসতার জের ধরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সূত্রপাত। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ছাত্র আন্দোলনের দুজন নেতা রয়েছেন।

প্রথম আলো:

সাংবিধানিক সংকট চায় না বিএনপিসহ বিভিন্ন দল
১২-দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির।রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি আরও একবার শক্তভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। গতকাল রোববার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়ায় গতকাল ১২-দলীয় জোট ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল এসব রাজনৈতিক দল।

গতকাল বিকেলে মালিবাগে ১২-দলীয় জোটের একটি দলের কার্যালয়ে এ বৈঠকে জোটটি রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছে। তারাও রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা এনে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পক্ষে নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে এবং নির্বাচন বিলম্বিত হবে। সেটি তাঁরা চান না। তাঁরা তাঁদের এই অবস্থান বৈঠকে জানিয়েছেন।

তবে শাহাদাত হোসেন এ-ও জানান, রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা সমাবেশসহ আন্দোলনের কর্মসূচি নেবেন বলেও তাঁদের জানিয়েছেন। বিএনপিসহ সব দল যদি বিষয়টিতে একমত হয়, তখন তাঁরাও তা বিবেচনা করবেন।

গণ অধিকার পরিষদও এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তের পক্ষে নয়। তারা ভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে। দলটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করে তারপর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ অন্যান্য বিষয়ে সমাধানের কথা বলেছে। গতকাল সন্ধ্যায় দলটির নেতাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

বৈঠকের পর গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়সহ আরও অনেক সংকট সামনে আসতে পারে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এখন পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না। সে জন্য এখন রাষ্ট্রপতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নন তাঁরা। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও অংশীজনদের নিয়ে একটা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপতির অপসারণসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। এই অবস্থান তাঁরা বৈঠকে তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হচ্ছে সেই হেভিওয়েটদের
জুলাই-আগস্টে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে করা বিভিন্ন মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ২০ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আনিসুল হক, দীপু মনিসহ ১০ মন্ত্রী, সালমান এফ রহমানসহ দুই উপদেষ্টা, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সচিব, পাঁচ পুলিশ ও এক সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব, বিচারপতিসহ ১৪ জনকে আগামী ১৮ নভেম্বর এবং ছয়জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

পৃথক তিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আবেদনগুলো ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, মো. সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুল্লাহ আল নোমান সঙ্গে ছিলেন।

কালের কন্ঠ:

পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ
ভাই প্রভাবশালী মন্ত্রী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় শীর্ষ ফোরাম প্রেসিডিয়ামেরও মেম্বার। বলা যায়, ক্ষমতার একদম শীর্ষবিন্দুতে অবস্থান। বাড়তি পাওনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহ আর আশীর্বাদ।

আর কী চাই? রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একেবারে ‘টপে’ থেকে এটিকে মনমতো কাজে লাগিয়েছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানের ভাই আজিজ খান। গত ১৫ বছরে এই ক্ষমতার ঢাল ব্যবহার করে তিনি শুধুই তর তর করে ওপরে উঠেছেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ, সরকারি কেনাকাটা, পণ্য ও সেবার সরবরাহ করে সবাইকে পেছনে ফেলে ধনী থেকে আরো ধনী হয়েছেন। বেসরকারি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের মালিক মুহাম্মদ আজিজ খানের পরিচিতি এখন শুধু বাংলাদেশের ধনী হিসেবেই নয়; বরং তিনি এখন সিঙ্গাপুরেরও অন্যতম সেরা ধনী ব্যক্তি।

নয়াদিগন্ত:

আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের আত্মত্যাগ মুছে ফেলা যাবে না : ডা: শফিক
গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ করতে বৈষম্যহীন, তারুণ্যনির্ভর মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আগস্ট বিপ্লবের শহীদরা জাতীয় বীর। দেশ ও জাতির জন্য তাদের এই আত্মত্যাগের কথা কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের জন্য যথাযথ সম্মানের ব্যবস্থা করতে হবে। ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৫ আগস্টের বিপ্লব পর্যন্ত সব শহীদের অবদানের কথা জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত শহীদ পরিবারের গর্বিত সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ১২ দলীয় জোট প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, গণ অধিকার পরিষদের (নুর) সদস্য সচিব রাশেদ খান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন। উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আবদুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা: ফখরুদ্দীন মানিক, দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন ও কামাল হোসেন প্রমুখ।

কালবেলা:

ঋণ নিয়ে সোয়া ২ লাখ কোটি টাকার রাজনৈতিক প্রকল্প
শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে মেঘনা নদীর ওপর টানেল নির্মাণ পরিকল্পনার কথা জানায় বিগত সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কাজ শুরু হয়ে তা শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালে। কিন্তু এ প্রকল্পের অগ্রগতি সমীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আর সেই সমীক্ষা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ঢাকা মহানগরীর ইনার রিং রোডের ওপর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নির্মাণ প্রকল্প ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ১২০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে। তবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে টাকা ব্যয় করার পর সব থমকে আছে। কেবল এ দুটি প্রকল্পই নয়, এমন ১২টি ঋণনির্ভর প্রকল্প নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যেখানে সর্বমোট ব্যয় হওয়ার কথা ২ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এগুলো শুধু নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় জনগণকে খুশি করতে। তবে সেসব প্রকল্প এখন আর এগোচ্ছে না; কিন্তু বাস্তবায়ন অযোগ্য এসব প্রকল্পের সমীক্ষা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা।

নথিপত্র বলছে, ১২টি প্রকল্পই বৈদেশিক ঋণ অথবা জি-টু-জি এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ৬টি প্রকল্পে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। মাঝারি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ৬টি প্রকল্পে ৯৩ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এসব প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে এসব প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ করতে ৪০০ কোটির বেশি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ এই কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। প্রকল্পের প্রাথমিক নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতিটি প্রকল্পেরই ব্যাখ্যা হিসেবে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কিংবা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া দুটি প্রকল্পে উল্লেখ রয়েছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা।

দৈনিক সংগ্রাম:

ফেরারির মতো ছুটছেন ছাত্রলীগ নেতারা, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রতিবেদনটি করেছেন মেহেদী হাসান মারুফ। কিছুটা সংক্ষেপিত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো।

২৪ বছর বয়সী ফাহমি (ছদ্মনাম) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তবে গত আগস্টের শুরুর দিক থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন।

ফাহমি ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন এটি। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে লৌহমুষ্টি দিয়ে দলটি দেশ শাসন করেছে। আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে এই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান।

গত বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে। সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১৫ বছরে সহিংসতা, হয়রানি ও নিজেদের স্বার্থে জনসম্পদ ব্যবহারসহ গুরুতর অসদাচরণের ইতিহাস রয়েছে ছাত্রলীগের।

ফলিত রসায়নের স্নাতকের শিক্ষার্থী ফাহমি (ছদ্মনাম)। তিনি আল–জাজিরাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি এখানে কর্তৃত্বের কণ্ঠস্বর ছিলাম। এখন আমি ফেরারির মতো ছুটছি, যার সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
যুগান্তর:

হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নয়,রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে মির্জা ফখরুল

রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি, গণ-অভ্যুত্থানের ফল ঘরে তোলার জন্য, বিপ্লবকে সুসংহত করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। কোনোরকম হঠকারী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে একটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সব কাজ করা প্রয়োজন। এজন্য বেশি প্রয়োজন অতি দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন করা।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এর আগে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মাজারে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।