ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর Logo ১৩টি ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আ.লীগ-বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে Logo টিভিতে যে খেলা থাকছে আজ Logo মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সং’ঘর্ষ Logo ১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক Logo সীমান্ত জুড়ে সংঘর্ষ: ২০০ তালেবান সদস্য নিহতের দাবি পাকিস্তানের

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন দিল শ্রমিকরা

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুগাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন দিল শ্রমিকরান দিল শ্রমিকরা

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কাশিমপুর রোডে কোনাবাড়ী থানা সংলগ্ন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা ভাঙচুর করার পর আগুন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সারাবো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. তাশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ডিবিএল ও সরাবো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে।

এদিকে, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের সময় রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেল স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি সেখানকার ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।

রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সকালে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে তারা পায়ে হেঁটে বাসার দিকে রওনা হন। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। রাসেলের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতে গুলি লাগে। প্রথমে স্থানীয় পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়। রাসেলের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে (টিকেট) ঢামেকের চিকিৎসক ‘গুলিতে মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন দিল শ্রমিকরা

আপডেট সময় ০৮:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কাশিমপুর রোডে কোনাবাড়ী থানা সংলগ্ন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা ভাঙচুর করার পর আগুন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সারাবো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. তাশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ডিবিএল ও সরাবো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে।

এদিকে, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের সময় রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেল স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি সেখানকার ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।

রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সকালে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে তারা পায়ে হেঁটে বাসার দিকে রওনা হন। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। রাসেলের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতে গুলি লাগে। প্রথমে স্থানীয় পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়। রাসেলের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে (টিকেট) ঢামেকের চিকিৎসক ‘গুলিতে মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করেছেন।