ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিগগিরই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে পুলিশের ওপর

শিগগিরই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে পুলিশের ওপর

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ এবং এর কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা ইতপূর্বে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এর উপর দেওয়া হয়েছিল। নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

নর্থইস্ট নিউজ জানায়, শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর উদ্দেশ্যে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ চিহ্নিত করা। শত শত মানুষকে জোরপূর্বক গুম এর অন্যতম উদাহরণ।

এই পদক্ষেপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র নর্থইস্ট নিউজকে জানিয়েছে, নভেম্বরের শুরুতে এই বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে ‘নির্ভরযোগ্য প্রমাণাদি’ প্রস্তুত করা। যা আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলার অংশ হতে পারে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক সাত শীর্ষ কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আকারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তৎকালীন র‌্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদ ও সাবেক কমান্ডিং অফিসার (ইউনিট-৭) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে মূলত গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে বাংলাদেশ পুলিশের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ ভূমিকার কারণে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত হবে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও অসংখ্য ভিডিও ফুটেজের ওপর ভিত্তি করে। উদাহরণস্বরূপ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ডিএমপির একজন সদস্যের মৃত্যু।

বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষস্থানীয় সূত্র নর্থইস্ট নিউজকে জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করেছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র নর্থইস্ট নিউজকে জানিয়েছে, হাসের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই কিছু সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার কাছে তার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ‘শঙ্কা’ (পুলিশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার) প্রকাশ করেছিলেন।

ঢাকার রাজপথে সহিংসতার একদিন পর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পল্টনের বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড করার উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনের আশপাশে পুলিশের ‘সমর্থন’ নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত করে।

পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জামায়াত সমর্থকরা শাপলা চত্বর ত্যাগ করে। এসময় কিছু ‘দুষ্কৃতিকারী’ প্রধান বিচারপতির বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এরপরই বিএনপি সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে পুলিশের ওপর

আপডেট সময় ০৮:২০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ এবং এর কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা ইতপূর্বে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এর উপর দেওয়া হয়েছিল। নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

নর্থইস্ট নিউজ জানায়, শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর উদ্দেশ্যে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ চিহ্নিত করা। শত শত মানুষকে জোরপূর্বক গুম এর অন্যতম উদাহরণ।

এই পদক্ষেপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র নর্থইস্ট নিউজকে জানিয়েছে, নভেম্বরের শুরুতে এই বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে ‘নির্ভরযোগ্য প্রমাণাদি’ প্রস্তুত করা। যা আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলার অংশ হতে পারে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক সাত শীর্ষ কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আকারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (ডিএমপি) বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তৎকালীন র‌্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদ ও সাবেক কমান্ডিং অফিসার (ইউনিট-৭) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে মূলত গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে বাংলাদেশ পুলিশের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ ভূমিকার কারণে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত হবে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও অসংখ্য ভিডিও ফুটেজের ওপর ভিত্তি করে। উদাহরণস্বরূপ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ডিএমপির একজন সদস্যের মৃত্যু।

বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষস্থানীয় সূত্র নর্থইস্ট নিউজকে জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করেছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র নর্থইস্ট নিউজকে জানিয়েছে, হাসের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই কিছু সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার কাছে তার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ‘শঙ্কা’ (পুলিশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার) প্রকাশ করেছিলেন।

ঢাকার রাজপথে সহিংসতার একদিন পর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পল্টনের বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড করার উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনের আশপাশে পুলিশের ‘সমর্থন’ নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত করে।

পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জামায়াত সমর্থকরা শাপলা চত্বর ত্যাগ করে। এসময় কিছু ‘দুষ্কৃতিকারী’ প্রধান বিচারপতির বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এরপরই বিএনপি সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।