ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ করে ওরা কোটিপতি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • 137

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

ছাত্রলীগ করে ওরা কোটিপতি
দেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতির অন্যতম প্রাচীন সংগঠন ছাত্রলীগ। দেশের স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের মতো গৌরবগাথা অধ্যায়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম অবিচ্ছেদ্য। তবে গত কয়েক দশকে ছাত্রলীগের পরিচিতি সন্ত্রাসী, দখলদার, চাঁদাবাজ আর লুটপাটকারী সংগঠন হিসেবে। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।

শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন; জেলা পর্যায়ের নেতাদেরও কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিস্তর অভিযোগ। দেশ-বিদেশেও সম্পদের পাহাড়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে যান ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ছাত্রলীগ করে ওরা কোটিপতি

দেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতির অন্যতম প্রাচীন সংগঠন ছাত্রলীগ। দেশের স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের মতো গৌরবগাথা অধ্যায়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম অবিচ্ছেদ্য। তবে গত কয়েক দশকে ছাত্রলীগের পরিচিতি সন্ত্রাসী, দখলদার, চাঁদাবাজ আর লুটপাটকারী সংগঠন হিসেবে। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।

শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন; জেলা পর্যায়ের নেতাদেরও কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিস্তর অভিযোগ। দেশ-বিদেশেও সম্পদের পাহাড়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে যান ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১১ সালে ছাত্রলীগে তিনি যোগ দেন। জানা যায়, তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশের টাকায় লন্ডনে চারটি কম্পানি খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন নাজমুল। এসব প্রতিষ্ঠানে শতকোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

মানবজমিন:

নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনে হাসিনা
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ঢাকার বাসভবনে লাখ লাখ সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীর হামলার পর ৫ই আগস্ট তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। বর্তমানে তিনি নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি সেফ হাউসে বসবাস করছেন। ভারত সরকার তার জন্য কড়া নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করেছে। দ্য প্রিন্ট এই খবর নিশ্চিত করেছে। লুটিয়েন্স বাংলো দেশের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। শেখ হাসিনার মর্যাদাকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে লুটিয়েন্স বাংলোয় রাখা হয়েছে। তার গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দ্য প্রিন্ট সঠিক ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করতে অপারগ। একটি সূত্র দ্য প্রিন্টকে নিশ্চিত করেছেন, যথাযথ নিরাপত্তা ও প্রটোকল নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে লোদি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য একটি শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ পোশাকে সেসব কর্মকর্তারা তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেন। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই সুরক্ষা পাচ্ছেন। তিনি দুই মাসেরও বেশি সময় সেখানে বসবাস করছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার কাছের কয়েকজন গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করে ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর দু’দিনের মধ্যে সেই জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যান।
দৈনিক সংগ্রাম:গ্যাস কূপ খননের নামে আ’লীগ সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট https://dailysangram.com/post/570672
# ৪৬ গ্যাসকূপ খননের মধ্যে কাজ হয়েছে ৯টির

# জাতীয় গ্রীডে ২৮ কোটি ঘনফুটের মধ্যে যুক্ত হয়েছে আড়াইকোটি ঘনফুট

# আরো ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: গ্যাস সংকট নিরসনে কূপ খননের নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। গ্যাস পাওয়া যাবে না এমন তথ্য থাকার পরও শুধু মাত্র টাকা লুট করার জন্য নানা কৌশল করে গ্যাসকূপ খননের কাজ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গ্যাস উত্তোলন বাড়াতে চার বছরে ৪৬টি কূপ খনন করার লক্ষ্য ঠিক করেছিল। এর মধ্যে প্রথম দুই বছর, অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ সালের মধ্যে ২১টি কূপ খননের কথা। যদিও হয়েছে মাত্র ৯টি। একই সময়ের মধ্যে নতুন কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দিনে ২৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হওয়ার কথা। হয়েছে মাত্র আড়াই কোটি ঘনফুট, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯ শতাংশ।

গ্যাস দেয়া হবে এমন কথা বলে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে নেয়ার হয়েছে উচ্চ মূল্য কিন্তু বাস্তবতা হলো কাঙ্খিত গ্যাস পাওয়াতে দূরের কথা সংকট দিন দিন আরো বাড়ছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। ২০২২ সালে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের দাবি করে প্রয়োজনে বাড়তি দাম দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সরকার গ্যাসের দাম ১৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু গ্যাসের সংকট কাটেনি। এখন ব্যবসায়ীদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে, কিন্তু কারখানা চালাতে দুর্ভোগ রয়েই গেছে।

সূত্র জানায়, সংকট কাটাতে দেশি গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। নতুন নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও পিছিয়ে সরকারি সংস্থাগুলো। স্থলভাগে গ্যাসকূপ খননের যখন এই অবস্থা, তখন সমুদ্রে আরও পিছিয়ে সরকার। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির এক যুগ পরও বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে তেমন গতি নেই।

জানা গেছে, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা গেলে চাহিদা মোটামুটি পূরণ করা যায়। দুই মাস ধরে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ঘনফুটের কম। এর মধ্যে ২০০ কোটি ঘনফুটের মতো সরবরাহ করা হয় দেশী গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলন করে। বাকিটা আমদানি করা এলএনজি।

২০১৮ সালে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। যদিও আমদানি নির্ভরতার ঝুঁকি নিয়ে শুরু থেকেই সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা দেশেই উত্তোলন বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তবে সরকার আমদানিতে ঝোঁকে। কিন্তু মার্কিন ডলারের সংকটে পড়ে ২০২২ সালে এলএনজি আমদানি কমানো হয়।

প্রথম আলো:

রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান খুঁজছে সরকার

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না-থাকার প্রশ্নে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে। তবে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই মন্তব্যকে ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি ওঠে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি হয়। সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এমন পটভূমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা থাকা না-থাকার বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

অন্য দুজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ব্যাপারে ছাত্রদের দাবি রয়েছে। অন্যদিকে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে এবং সেটা তারা চায় না। এ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদে। এর ফলে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে সরকার মনে করছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

এবার কি আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর। ছাত্র অধিকার পরিষদ গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার আগেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলেও মূল দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রশ্ন করে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একক সিদ্ধান্ত নেবে না। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা একটি বড় সিদ্ধান্তের বিষয়। এখনো এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ইত্তেফাক:

সমন্বয়ক পরিচয়ে শিক্ষকের বাসা থেকে ৮৩ ভরি স্বর্ণ, ১৫ লাখ টাকা লুট
রাজধানীর উত্তরায় ইডেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. মমতাজ শাহানারের বাসা থেকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে ৮৩ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ফ্ল্যাটে অবৈধ অস্ত্র ও টাকা মজুত আছে বলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শিক্ষিকা মমতাজের কাছে আরও ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

গত ১৮ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি জানান ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা-পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মারুফ হাসান পল্লব (৩২) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন সজিব (২৬)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা, একটি পাসপোর্ট ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তালেবুর রহমান বলেন, গত ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা ৯ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতকারী উত্তরা-পশ্চিম থানার ১২ নম্বর সেক্টরের শাহ মখদুম অ্যাভিনিউ রোডের একটি বাসার ম্যানেজারকে জিম্মি করে বাসার ৬ তলায় ড. হারুনুর রশিদ হাওলাদারের ফ্ল্যাটে বিজিএমইএ ও শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং ছাত্র সমন্বয়কের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে।

নয়াদিগন্ত:

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ডানা
সকালের মধ্যে পার হতে পারে উপকূল
ঘূর্ণিঝড় ডানা আজ শুক্রবার সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৫৫ কিলোমিটার দূরে ছিল ডানা। এ ছাড়া কক্সবাজার বন্দর থেকে গতকাল একই সময়ে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলেছে, ডানা পরিণত হচ্ছে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এর কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার এবং তা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছুঁতে পারছে না এটি কিন্তু তা সত্ত্বেও উপকূলের মানুষ বাতাসের প্রবল ঝাপটার সম্মুখীন হতে পারে। বাংলাদেশ ভূখণ্ড ছুঁতে পারছে না বলে এতো কাছে থাকার পরও বাংলাদেশের চার সমুদ্র বন্দরের জন্য আবহাওয়া দফতর ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত জারি করেছে। ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দ্বারা আবহাওয়া অফিস বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজ দুর্যোগকবলিত হতে পারে এবং বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে বুঝিয়ে থাকে। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত জারি হলে বন্দরে বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।

যুগান্তর:

ভোক্তার মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি
অর্থনৈতিক মন্দায় পৌনে ৩ বছর ধরে একই ধারা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে টানা দুই বছর ছয় মাস ধরে ভোক্তার মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি মাত্রায় বেড়েছে। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যেতে হচ্ছে সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে।

এ সরকারের প্রথম দুই মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেও আয়ের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বেশি। ফলে দুই বছর আট মাস ধরে মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। দীর্ঘ সময় ধরে খরচের চেয়ে আয় কম হওয়ায় ভোক্তাকে একদিকে ঋণগ্রস্ত হতে হয়েছে। অন্যদিকে জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে আপস করে খরচ কাটছাঁট করতে হয়েছে। এতে খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদন খাতে ভোক্তার খরচ কমেছে। ফলে একদিকে ভোক্তার ভোগ কমেছে। এর প্রভাবে অর্থনীতিতে মন্দা আরও জেঁকে বসেছে। যা এখন নতুন সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সাল থেকেই অর্থনৈতিক মন্দা প্রকট হতে থাকে। ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে মন্দার প্রভাব আরও দৃশ্যমান হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বৈশ্বিক মন্দা শুরু হলে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক আক্রান্ত হতে থাকে। প্রথমেই দেখা গেছে, ডলার সংকটে বাড়তে থাকে দাম। এর প্রভাবে আসে রিজার্ভে সংকট। কমতে থাকে রিজার্ভ। বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতির হার। এসব সংকট এখনো অব্যাহত। আরও এক বছর এসব সংকট মোকাবিলা করতে হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ।

অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব তখনই ভোক্তার ওপর প্রকটভাবে পড়তে শুরু করে, যখন ভোক্তার আয়ের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় বা ভোক্তার মজুরি বাড়ার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় মূল্যস্ফীতির হার। তখন ভোক্তা যা আয় করে, জীবিকা নির্বাহ করতে খরচ হয় আরও বেশি। ভোক্তা তখন আচমকা হোঁচট খায়। প্রথমে খরচ কমায়।

কালবেলা:

পাসপোর্ট সিন্ডিকেটে অসহায় মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা
প্রবাসীদের পাসপোর্ট ভোগান্তি কমাতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে সরকার। তবে বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার দুপুরে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে মো. নাসিম নামে এক প্রবাসী লিখেছেন, ‘তিনি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন তিন মাস আগে। তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। জি-মেইলে সব তথ্য দিলেও কোনো রিপ্লাই পাচ্ছেন না।’

প্রবাসী নাসিমের ওই কমেন্টসের সূত্র ধরে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা যায়, পাসপোর্টের জন্য রীতিমতো হাহাকার করছেন সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশি প্রবাসীরা। তারা আবেদন করে তিন থেকে ছয় মাস পরও হাতে পাচ্ছেন না পাসপোর্ট। যদিও তা ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো তা না পেয়ে বৈধ প্রবাসীরাও পাসপোর্টের অভাবে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন, পড়ছেন নানা ভোগান্তিতে। এসব বিষয়ে দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও এই প্রবাসীরা ব্যর্থ হচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাজেহালও হতে হচ্ছে হাইকমিশনের পাসপোর্ট বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের হাতে।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে অন্তত ১৫ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মাসে অন্তত গড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার প্রবাসী ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবেদন করে থাকেন।

দেশরুপান্তর:

রাষ্ট্রপতিতে অস্বস্তি আছে তবে প্রক্রিয়ায় দ্বিমত
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও তাকে সরিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে বিএনপি বলেছে, যে প্রক্রিয়ায় তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাতে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। এতে করে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। যেটা বিএনপি চাচ্ছে না। কারণ দলটির মূল লক্ষ হচ্ছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে দেশে অনুষ্ঠিত হয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে। এ কারণে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে হুট করে কিংবা তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয় বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্য রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কোনো সাংবিধানিক সংকট নয়, দেশে এখন একটি নির্বাচন প্রয়োজন।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ করে ওরা কোটিপতি

আপডেট সময় ০৭:১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

ছাত্রলীগ করে ওরা কোটিপতি
দেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতির অন্যতম প্রাচীন সংগঠন ছাত্রলীগ। দেশের স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের মতো গৌরবগাথা অধ্যায়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম অবিচ্ছেদ্য। তবে গত কয়েক দশকে ছাত্রলীগের পরিচিতি সন্ত্রাসী, দখলদার, চাঁদাবাজ আর লুটপাটকারী সংগঠন হিসেবে। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।

শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন; জেলা পর্যায়ের নেতাদেরও কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিস্তর অভিযোগ। দেশ-বিদেশেও সম্পদের পাহাড়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে যান ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ছাত্রলীগ করে ওরা কোটিপতি

দেশের ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতির অন্যতম প্রাচীন সংগঠন ছাত্রলীগ। দেশের স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের মতো গৌরবগাথা অধ্যায়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম অবিচ্ছেদ্য। তবে গত কয়েক দশকে ছাত্রলীগের পরিচিতি সন্ত্রাসী, দখলদার, চাঁদাবাজ আর লুটপাটকারী সংগঠন হিসেবে। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।

শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন; জেলা পর্যায়ের নেতাদেরও কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিস্তর অভিযোগ। দেশ-বিদেশেও সম্পদের পাহাড়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে যান ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১১ সালে ছাত্রলীগে তিনি যোগ দেন। জানা যায়, তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশের টাকায় লন্ডনে চারটি কম্পানি খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন নাজমুল। এসব প্রতিষ্ঠানে শতকোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

মানবজমিন:

নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনে হাসিনা
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ঢাকার বাসভবনে লাখ লাখ সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীর হামলার পর ৫ই আগস্ট তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। বর্তমানে তিনি নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি সেফ হাউসে বসবাস করছেন। ভারত সরকার তার জন্য কড়া নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করেছে। দ্য প্রিন্ট এই খবর নিশ্চিত করেছে। লুটিয়েন্স বাংলো দেশের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। শেখ হাসিনার মর্যাদাকে গুরুত্ব দিয়ে তাকে লুটিয়েন্স বাংলোয় রাখা হয়েছে। তার গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দ্য প্রিন্ট সঠিক ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করতে অপারগ। একটি সূত্র দ্য প্রিন্টকে নিশ্চিত করেছেন, যথাযথ নিরাপত্তা ও প্রটোকল নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে লোদি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য একটি শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ পোশাকে সেসব কর্মকর্তারা তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেন। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই সুরক্ষা পাচ্ছেন। তিনি দুই মাসেরও বেশি সময় সেখানে বসবাস করছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার কাছের কয়েকজন গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করে ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর দু’দিনের মধ্যে সেই জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যান।
দৈনিক সংগ্রাম:গ্যাস কূপ খননের নামে আ’লীগ সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট https://dailysangram.com/post/570672
# ৪৬ গ্যাসকূপ খননের মধ্যে কাজ হয়েছে ৯টির

# জাতীয় গ্রীডে ২৮ কোটি ঘনফুটের মধ্যে যুক্ত হয়েছে আড়াইকোটি ঘনফুট

# আরো ১০০টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: গ্যাস সংকট নিরসনে কূপ খননের নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। গ্যাস পাওয়া যাবে না এমন তথ্য থাকার পরও শুধু মাত্র টাকা লুট করার জন্য নানা কৌশল করে গ্যাসকূপ খননের কাজ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গ্যাস উত্তোলন বাড়াতে চার বছরে ৪৬টি কূপ খনন করার লক্ষ্য ঠিক করেছিল। এর মধ্যে প্রথম দুই বছর, অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ সালের মধ্যে ২১টি কূপ খননের কথা। যদিও হয়েছে মাত্র ৯টি। একই সময়ের মধ্যে নতুন কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দিনে ২৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হওয়ার কথা। হয়েছে মাত্র আড়াই কোটি ঘনফুট, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯ শতাংশ।

গ্যাস দেয়া হবে এমন কথা বলে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে নেয়ার হয়েছে উচ্চ মূল্য কিন্তু বাস্তবতা হলো কাঙ্খিত গ্যাস পাওয়াতে দূরের কথা সংকট দিন দিন আরো বাড়ছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। ২০২২ সালে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের দাবি করে প্রয়োজনে বাড়তি দাম দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সরকার গ্যাসের দাম ১৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু গ্যাসের সংকট কাটেনি। এখন ব্যবসায়ীদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে, কিন্তু কারখানা চালাতে দুর্ভোগ রয়েই গেছে।

সূত্র জানায়, সংকট কাটাতে দেশি গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। নতুন নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও পিছিয়ে সরকারি সংস্থাগুলো। স্থলভাগে গ্যাসকূপ খননের যখন এই অবস্থা, তখন সমুদ্রে আরও পিছিয়ে সরকার। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির এক যুগ পরও বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে তেমন গতি নেই।

জানা গেছে, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা গেলে চাহিদা মোটামুটি পূরণ করা যায়। দুই মাস ধরে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ঘনফুটের কম। এর মধ্যে ২০০ কোটি ঘনফুটের মতো সরবরাহ করা হয় দেশী গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলন করে। বাকিটা আমদানি করা এলএনজি।

২০১৮ সালে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। যদিও আমদানি নির্ভরতার ঝুঁকি নিয়ে শুরু থেকেই সতর্ক করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা দেশেই উত্তোলন বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তবে সরকার আমদানিতে ঝোঁকে। কিন্তু মার্কিন ডলারের সংকটে পড়ে ২০২২ সালে এলএনজি আমদানি কমানো হয়।

প্রথম আলো:

রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান খুঁজছে সরকার

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না-থাকার প্রশ্নে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে। তবে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই মন্তব্যকে ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি ওঠে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি হয়। সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এমন পটভূমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা থাকা না-থাকার বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

অন্য দুজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ব্যাপারে ছাত্রদের দাবি রয়েছে। অন্যদিকে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বলছে, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে এবং সেটা তারা চায় না। এ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদে। এর ফলে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে সরকার মনে করছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

এবার কি আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর। ছাত্র অধিকার পরিষদ গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার আগেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলেও মূল দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রশ্ন করে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একক সিদ্ধান্ত নেবে না। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা একটি বড় সিদ্ধান্তের বিষয়। এখনো এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ইত্তেফাক:

সমন্বয়ক পরিচয়ে শিক্ষকের বাসা থেকে ৮৩ ভরি স্বর্ণ, ১৫ লাখ টাকা লুট
রাজধানীর উত্তরায় ইডেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. মমতাজ শাহানারের বাসা থেকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে ৮৩ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ফ্ল্যাটে অবৈধ অস্ত্র ও টাকা মজুত আছে বলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শিক্ষিকা মমতাজের কাছে আরও ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

গত ১৮ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি জানান ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা-পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মারুফ হাসান পল্লব (৩২) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন সজিব (২৬)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা, একটি পাসপোর্ট ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তালেবুর রহমান বলেন, গত ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা ৯ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতকারী উত্তরা-পশ্চিম থানার ১২ নম্বর সেক্টরের শাহ মখদুম অ্যাভিনিউ রোডের একটি বাসার ম্যানেজারকে জিম্মি করে বাসার ৬ তলায় ড. হারুনুর রশিদ হাওলাদারের ফ্ল্যাটে বিজিএমইএ ও শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং ছাত্র সমন্বয়কের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে।

নয়াদিগন্ত:

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ডানা
সকালের মধ্যে পার হতে পারে উপকূল
ঘূর্ণিঝড় ডানা আজ শুক্রবার সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৫৫ কিলোমিটার দূরে ছিল ডানা। এ ছাড়া কক্সবাজার বন্দর থেকে গতকাল একই সময়ে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলেছে, ডানা পরিণত হচ্ছে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এর কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার এবং তা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছুঁতে পারছে না এটি কিন্তু তা সত্ত্বেও উপকূলের মানুষ বাতাসের প্রবল ঝাপটার সম্মুখীন হতে পারে। বাংলাদেশ ভূখণ্ড ছুঁতে পারছে না বলে এতো কাছে থাকার পরও বাংলাদেশের চার সমুদ্র বন্দরের জন্য আবহাওয়া দফতর ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত জারি করেছে। ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দ্বারা আবহাওয়া অফিস বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজ দুর্যোগকবলিত হতে পারে এবং বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে বুঝিয়ে থাকে। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত জারি হলে বন্দরে বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।

যুগান্তর:

ভোক্তার মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি
অর্থনৈতিক মন্দায় পৌনে ৩ বছর ধরে একই ধারা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে টানা দুই বছর ছয় মাস ধরে ভোক্তার মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি মাত্রায় বেড়েছে। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যেতে হচ্ছে সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে।

এ সরকারের প্রথম দুই মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেও আয়ের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বেশি। ফলে দুই বছর আট মাস ধরে মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। দীর্ঘ সময় ধরে খরচের চেয়ে আয় কম হওয়ায় ভোক্তাকে একদিকে ঋণগ্রস্ত হতে হয়েছে। অন্যদিকে জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে আপস করে খরচ কাটছাঁট করতে হয়েছে। এতে খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদন খাতে ভোক্তার খরচ কমেছে। ফলে একদিকে ভোক্তার ভোগ কমেছে। এর প্রভাবে অর্থনীতিতে মন্দা আরও জেঁকে বসেছে। যা এখন নতুন সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সাল থেকেই অর্থনৈতিক মন্দা প্রকট হতে থাকে। ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে মন্দার প্রভাব আরও দৃশ্যমান হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বৈশ্বিক মন্দা শুরু হলে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক আক্রান্ত হতে থাকে। প্রথমেই দেখা গেছে, ডলার সংকটে বাড়তে থাকে দাম। এর প্রভাবে আসে রিজার্ভে সংকট। কমতে থাকে রিজার্ভ। বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতির হার। এসব সংকট এখনো অব্যাহত। আরও এক বছর এসব সংকট মোকাবিলা করতে হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ।

অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব তখনই ভোক্তার ওপর প্রকটভাবে পড়তে শুরু করে, যখন ভোক্তার আয়ের চেয়ে খরচ বেড়ে যায় বা ভোক্তার মজুরি বাড়ার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় মূল্যস্ফীতির হার। তখন ভোক্তা যা আয় করে, জীবিকা নির্বাহ করতে খরচ হয় আরও বেশি। ভোক্তা তখন আচমকা হোঁচট খায়। প্রথমে খরচ কমায়।

কালবেলা:

পাসপোর্ট সিন্ডিকেটে অসহায় মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা
প্রবাসীদের পাসপোর্ট ভোগান্তি কমাতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে সরকার। তবে বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার দুপুরে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে মো. নাসিম নামে এক প্রবাসী লিখেছেন, ‘তিনি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন তিন মাস আগে। তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। জি-মেইলে সব তথ্য দিলেও কোনো রিপ্লাই পাচ্ছেন না।’

প্রবাসী নাসিমের ওই কমেন্টসের সূত্র ধরে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা যায়, পাসপোর্টের জন্য রীতিমতো হাহাকার করছেন সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশি প্রবাসীরা। তারা আবেদন করে তিন থেকে ছয় মাস পরও হাতে পাচ্ছেন না পাসপোর্ট। যদিও তা ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো তা না পেয়ে বৈধ প্রবাসীরাও পাসপোর্টের অভাবে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন, পড়ছেন নানা ভোগান্তিতে। এসব বিষয়ে দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও এই প্রবাসীরা ব্যর্থ হচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাজেহালও হতে হচ্ছে হাইকমিশনের পাসপোর্ট বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের হাতে।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে অন্তত ১৫ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মাসে অন্তত গড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার প্রবাসী ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবেদন করে থাকেন।

দেশরুপান্তর:

রাষ্ট্রপতিতে অস্বস্তি আছে তবে প্রক্রিয়ায় দ্বিমত
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও তাকে সরিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে বিএনপি বলেছে, যে প্রক্রিয়ায় তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাতে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। এতে করে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। যেটা বিএনপি চাচ্ছে না। কারণ দলটির মূল লক্ষ হচ্ছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে দেশে অনুষ্ঠিত হয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে। এ কারণে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে হুট করে কিংবা তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে নয় বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির কোনো সদস্য রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কোনো সাংবিধানিক সংকট নয়, দেশে এখন একটি নির্বাচন প্রয়োজন।’