ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

হিন্দুস্তান টাইমসে হাসিনার আয়নাঘর ভয়াবহ বর্ণনা

ভারতীয় জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমটি “হাসিনার আয়নাঘর! নাম শুনলেই হাড়হিম, সমালোচকদের মগজধোলাই হত? আর কী ঘটত সেখানে?”সেখানে হাসিনার আয়না ঘরের ভয়াবহ বর্ণনা পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়,২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত ।

“আয়নাঘর”এই শব্দটির মধ্য়েই লুকিয়ে আছে অনেক কথা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই এনিয়ে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। বলা হয়, শেখ হাসিনা মূলত তাঁর সমালোচকদের এই আয়নাঘরে রেখে দিতেন। সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত বলে খবর।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুসারে অনেককেই তুলে এনে গুম করে ফেলা হত। তাদের দেহের সন্ধান মিলত না। অন্যদেরকে একটি গোপন মিলিটারি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হত। এটার নাম ছিল আয়নাঘর। মানে হাউজ অফ মিররস।

কাদের রাখা হত এই আয়নাঘরে?
মূলত হাসিনার শাসনকালে যারা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হত। আইনজীবী থেকে আদিবাসী নেতা, যারাই হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদেরকেই নিশানা করত তৎকালীন সরকার। এদিকে আচমকাই সেই প্রতিবাদীদের আর সন্ধান মিলত না। কার্যত উবে যেতেন তারা। তবে এবার সেই প্রতিবাদকারীদের আত্মীয়রা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

বেলাল হোসেন, ২০১৩ সাল থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এবার তাঁর ভাইঝি তাসনিম সিপ্রা জানিয়েছেন, আমরা যেটা চাইছি সেটা হল একটা উত্তর। কী হয়েছিল সেটা জানতে চাইছি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে শিপ্রা জানিয়েছেন, এমন যেন মনে হচ্ছে কাকা কোনওদিন পৃথিবীতে ছিলেন না।

মাইকেল চাকমা। তিনি আদিবাসীদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালাতেন। গত অগস্ট মাসে একটি জঙ্গলে তাকে ছাড়া হয়েছিল। তার আগে চোখ বেঁধে তাকে হাঁটানো হয়। তিনি বলেছিলেন পাঁচবছরে এই প্রথম আমি সূর্যের আলো দেখলাম। এমনকী তিনি বার বার পরীক্ষা করে দেখেন তিনি কি সূর্যের আলো দেখছেন নাকি সেটা অন্য় কিছু।

এদিকে তাঁর প্রশ্ন আমার দোষটা কি ছিল? আমি কী করেছি? আমার অপরাধটা কোথায়? আসলে সেই প্রশ্নের উত্তরটা মিলছে না কিছুতেই। আবদুল্লাহ আমান আজমি নামে এক প্রাক্তন আর্মি জেনারেল বলেছেন, আমি আকাশ, সূর্য, ঘাস, চাঁদ, গাছ কিছুই দেখিনি। গত অগস্ট মাসে তাকে মিলিটারি জেল থেকে ছাড়া হয়েছিল। আট বছর ধরে তাকে জেলের মধ্যে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তাকে অন্তত ৪১ হাজার বার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল ওই সময়কালে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

হিন্দুস্তান টাইমসে হাসিনার আয়নাঘর ভয়াবহ বর্ণনা

আপডেট সময় ১০:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ভারতীয় জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমটি “হাসিনার আয়নাঘর! নাম শুনলেই হাড়হিম, সমালোচকদের মগজধোলাই হত? আর কী ঘটত সেখানে?”সেখানে হাসিনার আয়না ঘরের ভয়াবহ বর্ণনা পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়,২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত ।

“আয়নাঘর”এই শব্দটির মধ্য়েই লুকিয়ে আছে অনেক কথা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই এনিয়ে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। বলা হয়, শেখ হাসিনা মূলত তাঁর সমালোচকদের এই আয়নাঘরে রেখে দিতেন। সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত বলে খবর।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুসারে অনেককেই তুলে এনে গুম করে ফেলা হত। তাদের দেহের সন্ধান মিলত না। অন্যদেরকে একটি গোপন মিলিটারি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হত। এটার নাম ছিল আয়নাঘর। মানে হাউজ অফ মিররস।

কাদের রাখা হত এই আয়নাঘরে?
মূলত হাসিনার শাসনকালে যারা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হত। আইনজীবী থেকে আদিবাসী নেতা, যারাই হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদেরকেই নিশানা করত তৎকালীন সরকার। এদিকে আচমকাই সেই প্রতিবাদীদের আর সন্ধান মিলত না। কার্যত উবে যেতেন তারা। তবে এবার সেই প্রতিবাদকারীদের আত্মীয়রা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

বেলাল হোসেন, ২০১৩ সাল থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এবার তাঁর ভাইঝি তাসনিম সিপ্রা জানিয়েছেন, আমরা যেটা চাইছি সেটা হল একটা উত্তর। কী হয়েছিল সেটা জানতে চাইছি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে শিপ্রা জানিয়েছেন, এমন যেন মনে হচ্ছে কাকা কোনওদিন পৃথিবীতে ছিলেন না।

মাইকেল চাকমা। তিনি আদিবাসীদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালাতেন। গত অগস্ট মাসে একটি জঙ্গলে তাকে ছাড়া হয়েছিল। তার আগে চোখ বেঁধে তাকে হাঁটানো হয়। তিনি বলেছিলেন পাঁচবছরে এই প্রথম আমি সূর্যের আলো দেখলাম। এমনকী তিনি বার বার পরীক্ষা করে দেখেন তিনি কি সূর্যের আলো দেখছেন নাকি সেটা অন্য় কিছু।

এদিকে তাঁর প্রশ্ন আমার দোষটা কি ছিল? আমি কী করেছি? আমার অপরাধটা কোথায়? আসলে সেই প্রশ্নের উত্তরটা মিলছে না কিছুতেই। আবদুল্লাহ আমান আজমি নামে এক প্রাক্তন আর্মি জেনারেল বলেছেন, আমি আকাশ, সূর্য, ঘাস, চাঁদ, গাছ কিছুই দেখিনি। গত অগস্ট মাসে তাকে মিলিটারি জেল থেকে ছাড়া হয়েছিল। আট বছর ধরে তাকে জেলের মধ্যে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তাকে অন্তত ৪১ হাজার বার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল ওই সময়কালে।