ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগামীকাল শিবিরের বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা Logo চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা: জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম Logo ববিতে নতুন ট্রেজারার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য কর্নেল মোস্তফা কামাল Logo বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে দুই গ্রুপের মধ্যে বোমাবাজি-সংঘর্ষ, আহত ৭ Logo নাতীর ‘সদাই’ আনতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত বৃদ্ধ সাত্তার হাজী Logo উগ্রপন্থীর বিচার তার ধর্ম দেখে হয় না, সারজিসের হুঁশিয়ারি Logo স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান- শিবির সভাপতির Logo চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন Logo ‘এবারে তো কিছু হয়নি, পরে আবারও বিপ্লব হলে সেটা হবে ভয়াবহ’ Logo পার্লামেন্ট ভবনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন ইমরানের সমর্থকরা
রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ

কৌশলে সংগঠিত হচ্ছে আ’লীগ

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 78

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

কৌশলে সংগঠিত হচ্ছে আ’লীগ
কৌশলে রাজনীতিতে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে খোদ দলটির প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রায় সবপর্যায়ের নেতারাও আজ অবধি আত্মগোপনে রয়েছেন। ওই সময় জনগণের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য রাজনীতিতে একেবারে চুপচাপ থাকার নীতি অবলম্বন করে দলটি। যদিও দুই মাস পার না হতেই নীরবতা ভেঙে আবারো ইস্যুভিত্তিক সক্রিয় হওয়ার চিন্তাভাবনা করছে দলটির শীর্ষপর্যায়। তারই অংশ হিসেবে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মাঠে নামিয়ে জনগণের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

গেল সপ্তাহে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী, ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস, ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবসÑ এই আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিলের প্রতিবাদে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক মানববন্ধন করার জন্য জড়ো হন। যদিও তারা বাধার মুখে কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। একই দাবিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে একটি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর আগের দিন ১৮ অক্টোবর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ও বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়াও রাজধানীর কয়েক জায়গায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা উপস্থিত না থাকলেও এই প্রবীণ নেতার নামাজে জানাজা ও দাফনকে ঘিরে সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বেশকিছু নেতা জড়ো হন এবং রাজপথে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দেন। পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এরকম ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি নিয়ে রাজধানীতে ছোট পরিসরে সামনের দিনেও বিক্ষোভ মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ পালন করা হবে বলে জানা গেছে। কৃষক লীগের ত্যাগী নেতা সামিউল বাসির বিন হোসেন গতকাল ফেসবুকে লিখেনÑ ‘ঘর থেকে বের হই মানিব্যাগে এক টুকরো কাফনের কাপড় নিয়ে। ঘুমাতে যাই এরেস্ট হওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে। আমার মতো অগণিত রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড় এখন মাঠে নামবে। কয়জনরে পাঠাবেন কাশিমপুরে?’
মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা বলেন, ৫ আগস্টের পর নীরব থাকার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা ছিল। শুধু ভার্চুয়ালিভাবে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে জনমত তৈরি করার জন্য চেষ্টা চলছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পার হলেও তারা দেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এ সরকার। ফলে কিছু জনঅসন্তোষ তৈরি হয়েছে এ সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে নীরবতা ভেঙে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার জন্য ছোট পরিসরে নেতাকর্মীরা মাঠে নামছেন। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও প্রকাশ্যে আসবেন।

প্রথম আলো:

রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে চাপ বাড়ছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের পদ্ধতি কী হবে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তা স্পষ্ট হতে পারে।

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই দাবিতে শাহবাগ ও বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ফেনী, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধক) ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

পাঁচ ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা যেভাবে হাতিয়েছে বেক্সিমকো
নিজেদের মধ্যে লেনদেন করে পাঁচ ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এ কোম্পানি দুটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড এবং বেক্সটেক্স গামের্ন্টস। এই দুই প্রতিষ্ঠান ২০১১ সালে রাষ্ট্রীয় খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকে ছয় শ কোটি টাকার ঋণপত্র খোলে। পরে সুদাসলে তা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ফলে এ ব্যাংকগুলো তখনই বিপদে পড়ে যায়।

বেক্সিমকোর অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নথি তলব করে দুদক ৭০টি সংস্থায় চিঠি দিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, সেই সময়ে অনিয়মের তথ্য দুদক সংগ্রহ করে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ক্ষমতার প্রভাবে তখন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সংস্থাটি। ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় এলসি (ঋণপত্র) খুলে বেক্সিমকো গ্রুপের ওই দুই কোম্পানির মধ্যে বাণিজ্য হয়। সুতা বিক্রেতা বেক্সটেক্সের হয়ে সোনালী ব্যাংক, আর বেক্সিমকো লিমিটেডের হয়ে জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও এক্সিম ব্যাংক ক্রয়মূল্য পরিশোধের স্বীকৃতি (এলসি এক্সসেপটেন্স) দেয়। এই স্বীকৃতি ধরেই সোনালী ব্যাংক থেকে এসব টাকা বের করে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ হয় প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। পরে আরও বেশ কয়েকটি স্থানীয় এলসির অর্থও পরিশোধ করেনি বেক্সিমকো লিমিটেড। সব মিলিয়ে কোম্পানি দুটি হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়।

কালের কন্ঠ:

রাষ্ট্রপতিকে রাখার সুযোগ নেই
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে আর রাখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করেন না। জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের এবং সর্বোপরি জাতির সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। তাই তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে থাকার আর কোনো সুযোগ নেই।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত। একদম অপরিচিত ব্যক্তি, মানুষ চিনত না যাঁকে তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান করে ফেলা হলো। তারপর তো উনি গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অন্ধ সমর্থন দিয়েছেন। এমনকি উনি বলেছিলেন, উনি শেখ হাসিনার পায়ে ধরে সালাম করতে পারেননি এটি তাঁর জীবনের অনেক দুঃখের, কষ্টের।

যুগান্তর:

তারা কখনোই আর হাঁটতে পারবে না
মেরুরজ্জুতে বুলেটবিদ্ধ ৮৫ জন কাতরাচ্ছেন সিআরপিতে * পঙ্গুত্বের ঝুঁকিতে থাকা অনেকের শেষ ভরসা হুইলচেয়ার * চিকিৎসার পাশাপাশি পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে : নির্বাহী পরিচালক, সিআরপিজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের সরসরি গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ৮৫ জন কাতরাচ্ছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি)। এর মধ্যে ৭০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন সাভার সিআরপিতে, বাকি ১৫ জন মিরপুরসহ সিআরপির বিভিন্ন ব্রাঞ্চে। আহতদের বেশির ভাগই মেরুরজ্জুতে পুলিশের গুলি ও বুলেটের আঘাতপ্রাপ্ত। গুলিতে কারও কারও হাত-পা এমনকি পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে। আহতদের মধ্যে অনেকের পঙ্গুত্বের ঝুঁকি রয়েছে সারা জীবনের জন্য। সাভার সিআরপিতে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের ভবিষ্যৎ ভরসা হুইলচেয়ার। চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা চলছে বলে জানায় সিআরপি কর্তৃপক্ষ।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার রসকরদি গ্রামের মাসুদ মিয়া (৩১)। রিকশা চালিয়ে যা উপার্জন করতেন, তা দিয়ে হাল ধরেছিলেন ৫ সদস্যের সংসারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে বিজয়োল্লাস। জীবিকার তাগিদে সেদিন মাসুদ মিয়া রিকশা নিয়ে বের হন। হঠাৎ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় রিকশাচালক মাসুদ মিয়ার মেরুদণ্ডে পুলিশের গুলি এসে ঢোকে। মাসুদকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে (২২ আগস্ট) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়। সিএমএইচ থেকে ৬ অক্টোবর নেওয়া হয় সাভারে পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র-সিআরপিতে। এখন সেখানে মাসুদ চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাশে রয়েছেন স্ত্রী সানিয়া বেগম। মঙ্গলবার বিকালে তিনি যুগান্তরকে বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাসুদকে সারিয়ে তুলতে দীর্ঘ সময় লাগবে। তিনি বলেন, ৫ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন মাসুদ। কিন্তু স্বামী আগের মতো সংসারের হাল ধরতে পারবেন কি না, বলতে গিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেন তিনি।

মানবজমিন:

ছিনতাই আতঙ্ক নগর জুড়ে
ছিনতাইকারীর রাজ্যে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি সন্ধ্যায়, রাতে ও ভোরেও ছিনতাই হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির টাকা ছিনতাই, পথচারী, রিকশা আরোহী যাত্রীদের থামিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া গণপরিবহনে বসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ, ল্যাপটপসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসও ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীরা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করছে। প্রকাশ্যে অটোরিকশা ছিনতাই, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা বহনকারী গাড়িতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। প্রাণঘাতী ছিনতাইয়ের ঘটনাও রয়েছে অহরহ। এছাড়া ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হচ্ছেন শত শত মানুষ। অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অবাধে গুলি করে মানুষ হত্যাসহ নানা কারণে পুলিশের উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা চলে যায়।

দৈনিক সংগ্রাম:

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন -হেফাজতে ইসলাম
জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিলকে স্বাগত জানিয়ে এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কথিত পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি আগে রাষ্ট্রীয় ভাষণে দেশবাসীর সামনে স্বীকার করলেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অস্বীকার করে তিনি স্ববিরোধিতা এবং একইসাথে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিশ্বস্ত এই রাষ্ট্রপতিকে জুলাই বিপ্লবের শত্রু মনে করি এবং তার দ্রুত অপসারণ দাবি করছি। জুলাই বিপ্লবের চেতনার সাথে যারাই গাদ্দারি করবে, তারাই গণশত্রু হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্টদের বানানো জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিল করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পিতা একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেন। তার বানানো রক্ষীবাহিনী নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে লেলিয়ে দিয়ে হাজার হাজার আলেম ওলামা ও বিরোধী নেতাকর্মী হত্যা করেন এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালান। স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ও ভোট ডাকাতির নির্বাচনের নজির তৈরি করেন বাকশালী স্বৈরাচারী মুজিব। তার দলীয় লোকজনের সীমাহীন লুটপাটের ফলে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। সেই দুর্ভিক্ষে অনাহারে মারা যায় দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

কালবেলা:

কোথায় গেল ‘অবৈধ’ হাজার অস্ত্রধারী
২০০৯ সাল থেকে গত ১৬ বছরে ১৮ হাজার ৭৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক বিবেচনায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সব লাইসেন্সধারীকে নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে বৈধ অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি ৯৯৭ লাইসেন্সধারী; তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলঘনিষ্ঠ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তাদের বেশিরভাগেরই খোঁজ নেই। তাদের অস্ত্রগুলো জমা না পড়ায় জননিরাপত্তা আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নির্ধারিত সময়ে যারা অস্ত্র জমা দেননি, আইন অনুযায়ী তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো এখন অবৈধ। লাইসেন্স বাতিল হওয়া এসব অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিসিরাও লাইসেন্স বাতিল করে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মামলার পক্ষে মত দেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোনা অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। প্রায় হাজারখানেক অস্ত্র এবং অস্ত্রধারীরা এখন কোথায়, সে তথ্যও নেই পুলিশের কাছে। তথ্য না পাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল ও উদ্ধার নিয়ে কোনো হালনাগাদ তথ্য দিতে পারছে না।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া ৯৯৭ অস্ত্রের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকার ৫৯১টি। বাকিগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার ৪০টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৭০টি, ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৫টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৫৯টি, খুলনা রেঞ্জে ৬টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি এবং সিলেট রেঞ্জের ১৬টি অস্ত্র।

সমকাল:

টেস্টে ৬ হাজারের কীর্তি মুশফিকের
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার রান করার কীর্তি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ওই ইনিংস খেলার পথে ৬ হাজার রান হয়েছে তার।

মুশফিক ৬ হাজার থেকে ৩৯ রান দূরে থেকে মিরপুর টেস্ট শুরু করেন। প্রথম ইনিংসে তিনি মাত্র ১১ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৬ হাজারের ক্লাবে ঢুকতে ২৮ রান দরকার ছিল। আলো স্বল্পতায় দিন শেষ হওয়ার আগে ওই মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক টেস্টে ৬ হাজার রান কতে ৯৩ টেস্ট খেলেছেন তিনি। ৩৮ গড়ে ১১টি সেঞ্চুরি, তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি ও ২৭টি ফিফটিতে ওই রান করেছেন ডানহাতি ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটার। টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১৩৪ রান তামিম ইকবালের। সাকিব করেছেন ৪ হাজার ৬০৯ রান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীকাল শিবিরের বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ

কৌশলে সংগঠিত হচ্ছে আ’লীগ

আপডেট সময় ০৭:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

কৌশলে সংগঠিত হচ্ছে আ’লীগ
কৌশলে রাজনীতিতে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে খোদ দলটির প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রায় সবপর্যায়ের নেতারাও আজ অবধি আত্মগোপনে রয়েছেন। ওই সময় জনগণের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য রাজনীতিতে একেবারে চুপচাপ থাকার নীতি অবলম্বন করে দলটি। যদিও দুই মাস পার না হতেই নীরবতা ভেঙে আবারো ইস্যুভিত্তিক সক্রিয় হওয়ার চিন্তাভাবনা করছে দলটির শীর্ষপর্যায়। তারই অংশ হিসেবে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মাঠে নামিয়ে জনগণের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

গেল সপ্তাহে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী, ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস, ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবসÑ এই আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিলের প্রতিবাদে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক মানববন্ধন করার জন্য জড়ো হন। যদিও তারা বাধার মুখে কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। একই দাবিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে একটি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর আগের দিন ১৮ অক্টোবর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ও বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়াও রাজধানীর কয়েক জায়গায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা উপস্থিত না থাকলেও এই প্রবীণ নেতার নামাজে জানাজা ও দাফনকে ঘিরে সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বেশকিছু নেতা জড়ো হন এবং রাজপথে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দেন। পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এরকম ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি নিয়ে রাজধানীতে ছোট পরিসরে সামনের দিনেও বিক্ষোভ মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ পালন করা হবে বলে জানা গেছে। কৃষক লীগের ত্যাগী নেতা সামিউল বাসির বিন হোসেন গতকাল ফেসবুকে লিখেনÑ ‘ঘর থেকে বের হই মানিব্যাগে এক টুকরো কাফনের কাপড় নিয়ে। ঘুমাতে যাই এরেস্ট হওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে। আমার মতো অগণিত রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড় এখন মাঠে নামবে। কয়জনরে পাঠাবেন কাশিমপুরে?’
মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা বলেন, ৫ আগস্টের পর নীরব থাকার জন্য কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা ছিল। শুধু ভার্চুয়ালিভাবে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে জনমত তৈরি করার জন্য চেষ্টা চলছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পার হলেও তারা দেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এ সরকার। ফলে কিছু জনঅসন্তোষ তৈরি হয়েছে এ সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে নীরবতা ভেঙে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার জন্য ছোট পরিসরে নেতাকর্মীরা মাঠে নামছেন। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও প্রকাশ্যে আসবেন।

প্রথম আলো:

রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে চাপ বাড়ছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের পদ্ধতি কী হবে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তা স্পষ্ট হতে পারে।

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়। একই দাবিতে শাহবাগ ও বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ফেনী, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন কয়েক শ বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধক) ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

পাঁচ ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা যেভাবে হাতিয়েছে বেক্সিমকো
নিজেদের মধ্যে লেনদেন করে পাঁচ ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এ কোম্পানি দুটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড এবং বেক্সটেক্স গামের্ন্টস। এই দুই প্রতিষ্ঠান ২০১১ সালে রাষ্ট্রীয় খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকে ছয় শ কোটি টাকার ঋণপত্র খোলে। পরে সুদাসলে তা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ফলে এ ব্যাংকগুলো তখনই বিপদে পড়ে যায়।

বেক্সিমকোর অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নথি তলব করে দুদক ৭০টি সংস্থায় চিঠি দিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, সেই সময়ে অনিয়মের তথ্য দুদক সংগ্রহ করে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ক্ষমতার প্রভাবে তখন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সংস্থাটি। ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় এলসি (ঋণপত্র) খুলে বেক্সিমকো গ্রুপের ওই দুই কোম্পানির মধ্যে বাণিজ্য হয়। সুতা বিক্রেতা বেক্সটেক্সের হয়ে সোনালী ব্যাংক, আর বেক্সিমকো লিমিটেডের হয়ে জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও এক্সিম ব্যাংক ক্রয়মূল্য পরিশোধের স্বীকৃতি (এলসি এক্সসেপটেন্স) দেয়। এই স্বীকৃতি ধরেই সোনালী ব্যাংক থেকে এসব টাকা বের করে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ হয় প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। পরে আরও বেশ কয়েকটি স্থানীয় এলসির অর্থও পরিশোধ করেনি বেক্সিমকো লিমিটেড। সব মিলিয়ে কোম্পানি দুটি হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়।

কালের কন্ঠ:

রাষ্ট্রপতিকে রাখার সুযোগ নেই
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে আর রাখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করেন না। জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের এবং সর্বোপরি জাতির সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। তাই তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে থাকার আর কোনো সুযোগ নেই।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত। একদম অপরিচিত ব্যক্তি, মানুষ চিনত না যাঁকে তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান করে ফেলা হলো। তারপর তো উনি গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অন্ধ সমর্থন দিয়েছেন। এমনকি উনি বলেছিলেন, উনি শেখ হাসিনার পায়ে ধরে সালাম করতে পারেননি এটি তাঁর জীবনের অনেক দুঃখের, কষ্টের।

যুগান্তর:

তারা কখনোই আর হাঁটতে পারবে না
মেরুরজ্জুতে বুলেটবিদ্ধ ৮৫ জন কাতরাচ্ছেন সিআরপিতে * পঙ্গুত্বের ঝুঁকিতে থাকা অনেকের শেষ ভরসা হুইলচেয়ার * চিকিৎসার পাশাপাশি পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে : নির্বাহী পরিচালক, সিআরপিজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের সরসরি গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ৮৫ জন কাতরাচ্ছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি)। এর মধ্যে ৭০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন সাভার সিআরপিতে, বাকি ১৫ জন মিরপুরসহ সিআরপির বিভিন্ন ব্রাঞ্চে। আহতদের বেশির ভাগই মেরুরজ্জুতে পুলিশের গুলি ও বুলেটের আঘাতপ্রাপ্ত। গুলিতে কারও কারও হাত-পা এমনকি পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে। আহতদের মধ্যে অনেকের পঙ্গুত্বের ঝুঁকি রয়েছে সারা জীবনের জন্য। সাভার সিআরপিতে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের ভবিষ্যৎ ভরসা হুইলচেয়ার। চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা চলছে বলে জানায় সিআরপি কর্তৃপক্ষ।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার রসকরদি গ্রামের মাসুদ মিয়া (৩১)। রিকশা চালিয়ে যা উপার্জন করতেন, তা দিয়ে হাল ধরেছিলেন ৫ সদস্যের সংসারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে বিজয়োল্লাস। জীবিকার তাগিদে সেদিন মাসুদ মিয়া রিকশা নিয়ে বের হন। হঠাৎ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় রিকশাচালক মাসুদ মিয়ার মেরুদণ্ডে পুলিশের গুলি এসে ঢোকে। মাসুদকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে (২২ আগস্ট) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়। সিএমএইচ থেকে ৬ অক্টোবর নেওয়া হয় সাভারে পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র-সিআরপিতে। এখন সেখানে মাসুদ চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাশে রয়েছেন স্ত্রী সানিয়া বেগম। মঙ্গলবার বিকালে তিনি যুগান্তরকে বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাসুদকে সারিয়ে তুলতে দীর্ঘ সময় লাগবে। তিনি বলেন, ৫ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন মাসুদ। কিন্তু স্বামী আগের মতো সংসারের হাল ধরতে পারবেন কি না, বলতে গিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেন তিনি।

মানবজমিন:

ছিনতাই আতঙ্ক নগর জুড়ে
ছিনতাইকারীর রাজ্যে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি সন্ধ্যায়, রাতে ও ভোরেও ছিনতাই হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির টাকা ছিনতাই, পথচারী, রিকশা আরোহী যাত্রীদের থামিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া গণপরিবহনে বসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ, ল্যাপটপসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসও ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীরা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করছে। প্রকাশ্যে অটোরিকশা ছিনতাই, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা বহনকারী গাড়িতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। প্রাণঘাতী ছিনতাইয়ের ঘটনাও রয়েছে অহরহ। এছাড়া ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হচ্ছেন শত শত মানুষ। অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অবাধে গুলি করে মানুষ হত্যাসহ নানা কারণে পুলিশের উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা চলে যায়।

দৈনিক সংগ্রাম:

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন -হেফাজতে ইসলাম
জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিলকে স্বাগত জানিয়ে এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কথিত পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি আগে রাষ্ট্রীয় ভাষণে দেশবাসীর সামনে স্বীকার করলেও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অস্বীকার করে তিনি স্ববিরোধিতা এবং একইসাথে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিশ্বস্ত এই রাষ্ট্রপতিকে জুলাই বিপ্লবের শত্রু মনে করি এবং তার দ্রুত অপসারণ দাবি করছি। জুলাই বিপ্লবের চেতনার সাথে যারাই গাদ্দারি করবে, তারাই গণশত্রু হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিস্টদের বানানো জাতীয় দিবস ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিল করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পিতা একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেন। তার বানানো রক্ষীবাহিনী নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে লেলিয়ে দিয়ে হাজার হাজার আলেম ওলামা ও বিরোধী নেতাকর্মী হত্যা করেন এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালান। স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ও ভোট ডাকাতির নির্বাচনের নজির তৈরি করেন বাকশালী স্বৈরাচারী মুজিব। তার দলীয় লোকজনের সীমাহীন লুটপাটের ফলে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। সেই দুর্ভিক্ষে অনাহারে মারা যায় দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

কালবেলা:

কোথায় গেল ‘অবৈধ’ হাজার অস্ত্রধারী
২০০৯ সাল থেকে গত ১৬ বছরে ১৮ হাজার ৭৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক বিবেচনায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সব লাইসেন্সধারীকে নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে বৈধ অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি ৯৯৭ লাইসেন্সধারী; তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলঘনিষ্ঠ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তাদের বেশিরভাগেরই খোঁজ নেই। তাদের অস্ত্রগুলো জমা না পড়ায় জননিরাপত্তা আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নির্ধারিত সময়ে যারা অস্ত্র জমা দেননি, আইন অনুযায়ী তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো এখন অবৈধ। লাইসেন্স বাতিল হওয়া এসব অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিসিরাও লাইসেন্স বাতিল করে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মামলার পক্ষে মত দেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোনা অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। প্রায় হাজারখানেক অস্ত্র এবং অস্ত্রধারীরা এখন কোথায়, সে তথ্যও নেই পুলিশের কাছে। তথ্য না পাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল ও উদ্ধার নিয়ে কোনো হালনাগাদ তথ্য দিতে পারছে না।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া ৯৯৭ অস্ত্রের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকার ৫৯১টি। বাকিগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার ৪০টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৭০টি, ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৫টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৫৯টি, খুলনা রেঞ্জে ৬টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি এবং সিলেট রেঞ্জের ১৬টি অস্ত্র।

সমকাল:

টেস্টে ৬ হাজারের কীর্তি মুশফিকের
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার রান করার কীর্তি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ওই ইনিংস খেলার পথে ৬ হাজার রান হয়েছে তার।

মুশফিক ৬ হাজার থেকে ৩৯ রান দূরে থেকে মিরপুর টেস্ট শুরু করেন। প্রথম ইনিংসে তিনি মাত্র ১১ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৬ হাজারের ক্লাবে ঢুকতে ২৮ রান দরকার ছিল। আলো স্বল্পতায় দিন শেষ হওয়ার আগে ওই মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক টেস্টে ৬ হাজার রান কতে ৯৩ টেস্ট খেলেছেন তিনি। ৩৮ গড়ে ১১টি সেঞ্চুরি, তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি ও ২৭টি ফিফটিতে ওই রান করেছেন ডানহাতি ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটার। টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১৩৪ রান তামিম ইকবালের। সাকিব করেছেন ৪ হাজার ৬০৯ রান।