ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নেতাকর্মীদের লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকার আহ্বান তারেক রহমানের Logo ডাকসুতে ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা ছাত্রদলের Logo ডাকসু নির্বাচন: ভোট প্রদানে প্রত্যেকে সময় পাবেন ৮ মিনিট Logo ছাত্রের মুখ চেপে ধরা ডিসি মাসুদের ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি, দাবি ডিএমপির Logo আওয়ামী স্বৈরাচারের চেয়েও এই স্বৈরাচার ভয়াবহ : কাদের সিদ্দিকী Logo কর্ণফুলী নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo ডাকসু নির্বাচনে: উমামা ফাতেমার প্যানেলে ছাত্রলীগের দুই মুখ Logo ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পরিবর্তন Logo এনসিপিকে বর্জন সহ হাসনাত-সারজিসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম Logo দুবাই প্রিন্সেস শেখা মাহরা-ফ্রেঞ্চ মনটানার বাগদানের ঘোষণা

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক সেনাসহ ৭ ইসরায়েলি গ্রেপ্তার

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক সেনাসহ ৭ ইসরায়েলি গ্রেপ্তার

ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭ জন ইসরাইলি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা তেহরানের জন্য শত শত কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রসিকিউটররা।

গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনরা সবাই হাইফা এবং উত্তরাঞ্চলের ইহুদি বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পলাতক সৈনিক এবং দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বলেও জানানো হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- আজিস নিসানোভ, আলেকজান্ডার সাদিকভ, ভায়াচেস্লাভ গুশচিন, ইয়েভগেনি ইয়ফে এবং ইগাল নিসান।

তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ঘাঁটি ও স্থাপনাগুলোর ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তেলআবিবের কিরিয়া প্রতিরক্ষা সদর দফতর, নেভাতিম ও রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি এবং আয়রন ডোম ব্যাটারির অবস্থানও। ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি গত ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল এবং রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে হিজবুল্লাহ।

সন্দেহভাজন এই ৭ জনের বিরুদ্ধে কৌশলগত স্থানগুলোর মানচিত্রের ছবি তোলা অভিযোগও আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গোলানি ঘাঁটির মানচিত্র, যা এই মাসের শুরুর দিকে একটি মারাত্মক ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।

ইসরাইলি প্রসিকিউটররা জানিয়েছে, পুলিশ এবং সিনবেত তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে, সন্দেহভাজনরা ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হয়ে একাধিক কাজ করেছে এবং ইরানি এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।

এমনকি সন্দেহভাজনরা তাদের এসব কার্যকলাপের জন্য কয়েক লক্ষ ডলারও পেয়েছে। যার কিছু অংশ ক্রিপ্টোকরেন্সিতে লেনদেন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।ইসরাইলি প্রসিকিউটরদের মতে, কিছু সন্দেহভাজন দুই বছর ধরে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে এবং তারা সবাই গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ইসরাইলি সরকারের অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, এটি ইসরাইলের সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর একটি মামলা, যা তদন্ত করা হচ্ছে। ইসরাইলি প্রসিকিউটররা সন্দেহভাজন এই সাতজনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অপরাধের জন্য অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করছে এবং আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখার অনুরোধ জানাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নেতাকর্মীদের লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক সেনাসহ ৭ ইসরায়েলি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১০:০০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭ জন ইসরাইলি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা তেহরানের জন্য শত শত কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রসিকিউটররা।

গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনরা সবাই হাইফা এবং উত্তরাঞ্চলের ইহুদি বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পলাতক সৈনিক এবং দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বলেও জানানো হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- আজিস নিসানোভ, আলেকজান্ডার সাদিকভ, ভায়াচেস্লাভ গুশচিন, ইয়েভগেনি ইয়ফে এবং ইগাল নিসান।

তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ঘাঁটি ও স্থাপনাগুলোর ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তেলআবিবের কিরিয়া প্রতিরক্ষা সদর দফতর, নেভাতিম ও রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি এবং আয়রন ডোম ব্যাটারির অবস্থানও। ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি গত ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল এবং রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে হিজবুল্লাহ।

সন্দেহভাজন এই ৭ জনের বিরুদ্ধে কৌশলগত স্থানগুলোর মানচিত্রের ছবি তোলা অভিযোগও আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গোলানি ঘাঁটির মানচিত্র, যা এই মাসের শুরুর দিকে একটি মারাত্মক ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।

ইসরাইলি প্রসিকিউটররা জানিয়েছে, পুলিশ এবং সিনবেত তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে, সন্দেহভাজনরা ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হয়ে একাধিক কাজ করেছে এবং ইরানি এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।

এমনকি সন্দেহভাজনরা তাদের এসব কার্যকলাপের জন্য কয়েক লক্ষ ডলারও পেয়েছে। যার কিছু অংশ ক্রিপ্টোকরেন্সিতে লেনদেন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।ইসরাইলি প্রসিকিউটরদের মতে, কিছু সন্দেহভাজন দুই বছর ধরে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে এবং তারা সবাই গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ইসরাইলি সরকারের অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, এটি ইসরাইলের সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর একটি মামলা, যা তদন্ত করা হচ্ছে। ইসরাইলি প্রসিকিউটররা সন্দেহভাজন এই সাতজনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অপরাধের জন্য অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করছে এবং আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখার অনুরোধ জানাবে।