ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ Logo কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে বললেন ট্রাম্প Logo ইউটিউব দেখে অস্ত্র চালানো শিখে প্রেমিকাকে হত্যা করেন প্রেমিক Logo গাজাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চলছেই নিহত আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি Logo আজ জবিতে এক মঞ্চে ছাত্রদল-শিবির সভাপতিসহ থাকবেন ১২ সংগঠনের নেতা Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক আজ Logo দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিস Logo ভারতের উচিত ‘৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা’-মাহফুজ আলম Logo হাইকমিশনে হামলার জন্য ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার দায়ী: শফিকুল আলম Logo ১৫ বছর পর উইন্ডিজে টেস্ট জয়, ১-১সিরিজে সমতা

শিবিরের ৬ কর্মী গুম: ট্রাইব্যুনালে র‌্যাব-ডিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৬ কর্মীকে গুমের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)-গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে তাদের পরিবার।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে প্রসিকিউশন কার্যালয়ে অভিযোগটি দাখিল করা হয়। পরে ছাত্রশিবিরের আইন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আইনজীবী আমানুল্লাহ আদিব সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

আইনজীবীরা জানান, গত ১৭ বছর ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর নির‌্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। মামলা-হামলা, হত্যাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন এখনও গুম আছেন। ওই ছয় জনকে খুঁজতে ৬ আগস্ট র‌্যাব সদর দফতরে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কর্তৃপক্ষ তাদের সহযোগিতা করবে বলে জানালেও এখনও কোনও তথ্য দিতে পারেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গুম হওয়া ৬ নেতাকর্মীর সন্ধান ও র‌্যাব ও ডিবির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে তাদের পরিবার।

গুমের শিকার শিবিরকর্মী রিজওয়ান হোসেনের ভাই জানান, ২০১৬ সালের আগস্টে আমার ভাইকে সবার সামনেই বাইকে করে তুলে নিয়ে যান এসআই নূর আলম ও তার একজন লোক। আমরা তৎক্ষণাৎ থানায় গেলে ওসি অপূর্ব হাসান ওকে (রিজওয়ান) খুঁজতে আমাদের নিষেধ করেন এবং আমাদের পরিবারসহ গুম করে ফেলারও হুমকি দেন। পরে আমাদের কোনও মামলা নেয়নি, উলটো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। পরে একদিন জানান আমার ভাই তুরস্কে গিয়েছে আইএসে যোগ দিতে। আমাদের চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই লেখাপড়া করিনি, কষ্ট করে ওকে পড়ালেখা করিয়েছি। আমার ভাইয়ের সন্ধান চাই।

গুম হওয়া আরেক শিবিরকর্মী মো. ওয়ালিউল্লাহর ভগ্নিপতি জানান, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে বাসে করে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন ওয়ালি আর মোকাদ্দাস। সাভার নবীনগর এলাকায় বাস থামিয়ে র‌্যাব পরিচয়ে ওয়ালিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে থানা আর র‌্যাবের সদর দফতরে আমরা অনেক যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের কোনো তথ্যই দিতে পারেনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

শিবিরের ৬ কর্মী গুম: ট্রাইব্যুনালে র‌্যাব-ডিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৬ কর্মীকে গুমের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)-গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে তাদের পরিবার।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে প্রসিকিউশন কার্যালয়ে অভিযোগটি দাখিল করা হয়। পরে ছাত্রশিবিরের আইন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আইনজীবী আমানুল্লাহ আদিব সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

আইনজীবীরা জানান, গত ১৭ বছর ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর নির‌্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। মামলা-হামলা, হত্যাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন এখনও গুম আছেন। ওই ছয় জনকে খুঁজতে ৬ আগস্ট র‌্যাব সদর দফতরে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কর্তৃপক্ষ তাদের সহযোগিতা করবে বলে জানালেও এখনও কোনও তথ্য দিতে পারেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গুম হওয়া ৬ নেতাকর্মীর সন্ধান ও র‌্যাব ও ডিবির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে তাদের পরিবার।

গুমের শিকার শিবিরকর্মী রিজওয়ান হোসেনের ভাই জানান, ২০১৬ সালের আগস্টে আমার ভাইকে সবার সামনেই বাইকে করে তুলে নিয়ে যান এসআই নূর আলম ও তার একজন লোক। আমরা তৎক্ষণাৎ থানায় গেলে ওসি অপূর্ব হাসান ওকে (রিজওয়ান) খুঁজতে আমাদের নিষেধ করেন এবং আমাদের পরিবারসহ গুম করে ফেলারও হুমকি দেন। পরে আমাদের কোনও মামলা নেয়নি, উলটো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। পরে একদিন জানান আমার ভাই তুরস্কে গিয়েছে আইএসে যোগ দিতে। আমাদের চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই লেখাপড়া করিনি, কষ্ট করে ওকে পড়ালেখা করিয়েছি। আমার ভাইয়ের সন্ধান চাই।

গুম হওয়া আরেক শিবিরকর্মী মো. ওয়ালিউল্লাহর ভগ্নিপতি জানান, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে বাসে করে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন ওয়ালি আর মোকাদ্দাস। সাভার নবীনগর এলাকায় বাস থামিয়ে র‌্যাব পরিচয়ে ওয়ালিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে থানা আর র‌্যাবের সদর দফতরে আমরা অনেক যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের কোনো তথ্যই দিতে পারেনি।