ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর Logo ১৩টি ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আ.লীগ-বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে Logo টিভিতে যে খেলা থাকছে আজ Logo মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সং’ঘর্ষ Logo ১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক Logo সীমান্ত জুড়ে সংঘর্ষ: ২০০ তালেবান সদস্য নিহতের দাবি পাকিস্তানের

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক আর নেই

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ ফজলুর রহমান খান ফারুক আর নেই। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসভবন থানা পাড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান ফারুক সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

শনিবার বাদ আসর বেবি স্ট্যান্ড জামে মসজিদে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মরহুমের ছোট ভাই বজলুর রহমান খান সাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফজলুর রহমান ফারুক ১৯৪৪ সালে (১২ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন।

১৯৬০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন ফারুক। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৭০ সালে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠিত হলে টাঙ্গাইল জেলা বাকশালের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৭ আক্টাবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক আর নেই

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ ফজলুর রহমান খান ফারুক আর নেই। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসভবন থানা পাড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান ফারুক সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

শনিবার বাদ আসর বেবি স্ট্যান্ড জামে মসজিদে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মরহুমের ছোট ভাই বজলুর রহমান খান সাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফজলুর রহমান ফারুক ১৯৪৪ সালে (১২ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন।

১৯৬০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন ফারুক। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৭০ সালে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠিত হলে টাঙ্গাইল জেলা বাকশালের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৭ আক্টাবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।