ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র

মাথাচাড়া দিচ্ছে স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 76

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

মাথাচাড়া দিচ্ছে স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা
সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কৃষক-শ্রমিক-দিনমজুর এবং স্বল্প আয়ের মানুষ দুর্বিষহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যে দিশেহারা। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি। সরকারকে বলব জিনিসপত্রের দাম কমাতে পদক্ষেপ নিন। সিন্ডিকেট ভেঙে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুন।’ এ জন্য প্রয়োজনে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানো যেতে পারে বলেও মত দেন তারেক রহমান।

গতকাল শুক্রবার জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) রজতজয়ন্তী (২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় জেডআরএফ’র ওভারসিজ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ডা. জুবাইদা রহমানও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়।

নয়াদিগন্ত:

পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের আহ্বানে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচী আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা এ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা দেয়ার পর সারা দেশে সমিতির অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনের সমন্বয়ক, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম আব্দুল হাকিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের ছেড়ে দেয়াসহ কোনো প্রকার হয়রানি না করার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ আলম বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আমরা বলব আমাদের সাথে আলোচনায় আসতে।’

বাসস জানিয়েছে, বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ছয় কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অপর পাঁচজন আরেক মামলার আসামি। গতকাল তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রথম আলো:

১৪১৬ চেয়ারম্যান ‘পলাতক’, অপসারণ নিয়ে টানাপোড়েন

নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন কৃষক মো. আক্তারুজ্জামান। এই ইউপিতে চেয়ারম্যান নেই। একজন শিক্ষা কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে এক বেলা বসে থেকেও তাঁর দেখা পেলেন না আক্তারুজ্জামান।

একই দিন ওই ইউপিতে নাগরিকত্বের সনদ নিতে গিয়েছিলেন নাজিম উদ্দিন। তাঁকেও সেদিন সনদ ছাড়াই ফিরতে হয়েছে। তরগাঁও ইউপিতে প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ফাতেমা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানালেন, স্কুল পরিদর্শনের কাজে সকাল থেকে ব্যস্ত তিনি। ইউপিতে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না।

নাগরিক সেবা নিয়ে এমন দুর্ভোগ শুধু তরগাঁও ইউপিতেই নয়, কাপাসিয়া উপজেলার বাকি ইউনিয়নগুলোতেও প্রায় একই চিত্র। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ওই উপজেলার ১১টি ইউপির চেয়ারম্যানরা নিজ কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। তাঁরা সবাই পলাতক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশে ১ হাজার ৪১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে অনুপস্থিত, যা মোট ইউনিয়ন পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ। তাঁদের বেশির ভাগের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। তাঁরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। আবার কেউ কেউ নিজেদের ওপর হামলা হবে, এমন আশঙ্কা থেকে কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে এখন ইউনিয়ন পরিষদ আছে ৪ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৬৪ জন চেয়ারম্যান নিয়মিত অফিস করছেন। তবে কত সংখ্যক ইউপি সদস্য বা মেম্বার অনুপস্থিত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমন বাস্তবতায় শুধু দেড় হাজার নয়, সাড়ে ৪ হাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকেই অপসারণের চিন্তাভাব‍না করছে সরকার। এ নিয়ে দোটানায় রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তৃণমূলের এসব জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করার পর সেখানে বিপুলসংখ্যক প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। এত কর্মকর্তা কোথায় পাওয়া যাবে কিংবা সেই প্রশাসকেরা আদৌ কাজ করতে পারবেন কি না, এ নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। তবে এখনো চূড়ান্ত

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন
দেশের ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে হতে যাচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ভিতরে ভিতরে নিবাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করছে। নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করতে ইতোমধ্যে পুনর্গঠন করা হয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করছে। সরকার ইতোমধ্যে ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ও সংস্কার কমিটির সুপারিশ জমা হলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আজ দুই মাস ১১ দিন। ইতোমধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ে সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা হয়তো সম্ভব হতে পারে। অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। এটা প্রাইমারি অ্যাজাম্পশন (প্রাথমিক অনুমান)।’ আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অনেক ধাপ রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি লাগবে। সার্চ কমিটি করতে হলে পিএসসির চেয়ারম্যান লাগবে। সেটার নিয়োগ হয়েছে।

কালের কন্ঠ:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ রাজনৈতিক দলের সংলাপ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ শনিবার দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছেন। হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’য় বিকেল ৩টা থেকে এই সংলাপ শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠেয় সংলাপে নানা বিষয়ে কথা বলবেন। তবে তাঁদের মূল ফোকাস থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ বিষয়ে।

এই ইস্যুতে তাঁরা সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব দেবেন বলে নেতারা জানান।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। বাকি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ শনিবার সংলাপ করবেন তিনি।

জানা গেছে, এই সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, বিজেপি, লেবার পার্টি।

যুগান্তর:

মূল্যস্ফীতি রোধে ৪ পদক্ষেপ
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চার পদক্ষেপ বাস্তবায়নে তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে এগুলো বাস্তবায়নে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অসহযোগিতা। সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। বিভিন্ন স্তরে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এসব কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এসব সমস্যা বিগত সরকারের তৈরি। কিন্তু সেগুলো এখন মোকাবিলা করতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার, টাকার প্রবাহ হ্রাস, শুল্ক কমানো, সুদের হার বৃদ্ধি এবং বাজার তদারকি জোরদারের মতো চার পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলোসহ প্রয়োজনীয় আরও উদ্যোগের ফলে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।

মানবজমিন:

সিনওয়ারকে যেভাবে হত্যা করে ইসরাইল
ইসরাইলের অভ্যন্তরে গত ৭ই অক্টোবর নজিরবিহীন হামলার পর এক বছর ধরে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের কোনো হদিসই পায়নি ইসরাইলের সেনারা। এক বছর ধরে তারা ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনাকারী সিনওয়ারকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তেল আবিবের দাবি অনুযায়ী নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের নেতা। হামাস এ বিষয়ে মুখ না খোলায় সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জাল বিস্তার করেছে। প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে হামাসের ওই চৌকস নেতাকে হত্যা করলো ইসরাইল।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, ৬১ বছর বয়সী ইয়াহিয়া সিনওয়ার হামাসের দায়িত্ব পালনকালে বেশির ভাগ সময়ই সুড়ঙ্গে কাটিয়েছেন। সার্বক্ষণিক তার চার পাশে থাকতেন নিজস্ব দেহরক্ষী। এ ছাড়া তার অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য ইসরাইলি জিম্মিদেরও তার পাশে আটক রাখা হয়েছিল। বলা হচ্ছে জিম্মিদের ‘আত্মরক্ষার ঢাল’ হিসেবে রাখা হয়েছিল সিনওয়ারের পাশে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে দক্ষিণ গাজায় সিনওয়ারের অবস্থান চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরাইলি সেনারা। সেখানে তাকে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত করা হয়। তবে কোনো জিম্মিদের পাওয়া যায়নি।

সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে বিশদ উঠে আসতে সময় লাগবে। তবে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

বনিক বার্তা:

ভারতপন্থী হওয়ার তকমায়ই কি খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়?
১৯৭৫ সালের নভেম্বর। প্রথম সাতদিনের মধ্যেই দুই দফা অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষদর্শী হয় বাংলাদেশ। রক্তাক্ত ওই সময়ে দেশ চলে গিয়েছিল গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।

১৯৭৫ সালের নভেম্বর। প্রথম সাতদিনের মধ্যেই দুই দফা অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষদর্শী হয় বাংলাদেশ। রক্তাক্ত ওই সময়ে দেশ চলে গিয়েছিল গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান ঘটান খালেদ মোশাররফ। আর ৭ নভেম্বর পাল্টা আরেক অভ্যুত্থানে মৃত্যু হয় তার। সে সময় জনশ্রুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানটি ছিল ভারতপন্থী একটি অভ্যুত্থান। এ জনশ্রুতিকেই বিভিন্ন সময় বিশ্লেষকদের বক্তব্যে তার অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

দিনটি ছিল ৩ নভেম্বর সোমবার। ক্ষমতায় খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বাধীন সরকার। প্রথম প্রহরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশাপাশি রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নেন সেনাবাহিনীর তৎকালীন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ও তার অনুগতরা। নিজেদের শক্তি জানান দিতে এবং মোশতাক সরকারের অনুগত ট্যাংক ক্রুদের মনোবল নষ্টের উদ্দেশ্যে ওইদিন রাজধানীর আকাশে ওড়ানো হয় একটি মিগ যুদ্ধবিমান ও সশস্ত্র হেলিকপ্টার।

কালবেলা:

দেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ অতিদরিদ্র
দেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ১৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের অবস্থা গুরুতর। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, দেশে অতিদারিদ্র্যের হার কমেছে। ২০২২ সালের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী দেশে অতিদারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৬ সালে এ হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ‘বৈশ্বিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্যসূচক-২০২৪: সংঘাতের মধ্যে দারিদ্র্য’ শিরোনামে অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএনডিপি।

প্রতিবেদনে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য পরিস্থিতি বুঝতে বিশ্বের ১১২টি দেশের ৬৩০ কোটি মানুষের ওপর গবেষণা করা হয়েছে। এতে ২০২২-২৩ বছর পর্যন্ত এক দশকের বেশি সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে মানুষের পর্যাপ্ত আবাসন, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, ভোজ্যতেল ও পুষ্টির মতো অতিপ্রয়োজনীয় সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কেমন ঘাটতি রয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। শিশুরা কী হারে স্কুলে উপস্থিত হচ্ছে, তা-ও বিবেচনায় এসেছে প্রতিবেদনে।

সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। তাদের প্রায় অর্ধেকই সংঘাতকবলিত দেশের বাসিন্দা। চরম দারিদ্র্যে থাকা জনগোষ্ঠীর ৮৩ শতাংশের বেশি বসবাস করেন আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয়। দক্ষিণ এশিয়ায় ২৭ কোটি ২০ লাখ দরিদ্র মানুষ এমন পরিবারে আছে, যে পরিবারের অন্তত একজন অপুষ্টিতে ভুগছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ আজ টিভিতে যা দেখবেন

পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র

মাথাচাড়া দিচ্ছে স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা

আপডেট সময় ০৭:৩৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

মাথাচাড়া দিচ্ছে স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা
সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কৃষক-শ্রমিক-দিনমজুর এবং স্বল্প আয়ের মানুষ দুর্বিষহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যে দিশেহারা। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও মানুষের আয় সেভাবে বাড়েনি। সরকারকে বলব জিনিসপত্রের দাম কমাতে পদক্ষেপ নিন। সিন্ডিকেট ভেঙে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুন।’ এ জন্য প্রয়োজনে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানো যেতে পারে বলেও মত দেন তারেক রহমান।

গতকাল শুক্রবার জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) রজতজয়ন্তী (২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় জেডআরএফ’র ওভারসিজ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ডা. জুবাইদা রহমানও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, বিশেষ ক্রোড়পত্র এবং স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়।

নয়াদিগন্ত:

পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের আহ্বানে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচী আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা এ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা দেয়ার পর সারা দেশে সমিতির অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনের সমন্বয়ক, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম আব্দুল হাকিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের ছেড়ে দেয়াসহ কোনো প্রকার হয়রানি না করার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ আলম বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আমরা বলব আমাদের সাথে আলোচনায় আসতে।’

বাসস জানিয়েছে, বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ছয় কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অপর পাঁচজন আরেক মামলার আসামি। গতকাল তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রথম আলো:

১৪১৬ চেয়ারম্যান ‘পলাতক’, অপসারণ নিয়ে টানাপোড়েন

নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন কৃষক মো. আক্তারুজ্জামান। এই ইউপিতে চেয়ারম্যান নেই। একজন শিক্ষা কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে এক বেলা বসে থেকেও তাঁর দেখা পেলেন না আক্তারুজ্জামান।

একই দিন ওই ইউপিতে নাগরিকত্বের সনদ নিতে গিয়েছিলেন নাজিম উদ্দিন। তাঁকেও সেদিন সনদ ছাড়াই ফিরতে হয়েছে। তরগাঁও ইউপিতে প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ফাতেমা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানালেন, স্কুল পরিদর্শনের কাজে সকাল থেকে ব্যস্ত তিনি। ইউপিতে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না।

নাগরিক সেবা নিয়ে এমন দুর্ভোগ শুধু তরগাঁও ইউপিতেই নয়, কাপাসিয়া উপজেলার বাকি ইউনিয়নগুলোতেও প্রায় একই চিত্র। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ওই উপজেলার ১১টি ইউপির চেয়ারম্যানরা নিজ কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। তাঁরা সবাই পলাতক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশে ১ হাজার ৪১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে অনুপস্থিত, যা মোট ইউনিয়ন পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ। তাঁদের বেশির ভাগের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। তাঁরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন। আবার কেউ কেউ নিজেদের ওপর হামলা হবে, এমন আশঙ্কা থেকে কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে এখন ইউনিয়ন পরিষদ আছে ৪ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৬৪ জন চেয়ারম্যান নিয়মিত অফিস করছেন। তবে কত সংখ্যক ইউপি সদস্য বা মেম্বার অনুপস্থিত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমন বাস্তবতায় শুধু দেড় হাজার নয়, সাড়ে ৪ হাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকেই অপসারণের চিন্তাভাব‍না করছে সরকার। এ নিয়ে দোটানায় রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তৃণমূলের এসব জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করার পর সেখানে বিপুলসংখ্যক প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। এত কর্মকর্তা কোথায় পাওয়া যাবে কিংবা সেই প্রশাসকেরা আদৌ কাজ করতে পারবেন কি না, এ নিয়ে আলোচনা চলছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। তবে এখনো চূড়ান্ত

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন
দেশের ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে হতে যাচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ভিতরে ভিতরে নিবাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করছে। নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করতে ইতোমধ্যে পুনর্গঠন করা হয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো যার যার অবস্থান থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করছে। সরকার ইতোমধ্যে ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ও সংস্কার কমিটির সুপারিশ জমা হলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আজ দুই মাস ১১ দিন। ইতোমধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ে সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা হয়তো সম্ভব হতে পারে। অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। এটা প্রাইমারি অ্যাজাম্পশন (প্রাথমিক অনুমান)।’ আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অনেক ধাপ রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি লাগবে। সার্চ কমিটি করতে হলে পিএসসির চেয়ারম্যান লাগবে। সেটার নিয়োগ হয়েছে।

কালের কন্ঠ:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজ রাজনৈতিক দলের সংলাপ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ শনিবার দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছেন। হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’য় বিকেল ৩টা থেকে এই সংলাপ শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠেয় সংলাপে নানা বিষয়ে কথা বলবেন। তবে তাঁদের মূল ফোকাস থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ বিষয়ে।

এই ইস্যুতে তাঁরা সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব দেবেন বলে নেতারা জানান।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। বাকি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ শনিবার সংলাপ করবেন তিনি।

জানা গেছে, এই সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, বিজেপি, লেবার পার্টি।

যুগান্তর:

মূল্যস্ফীতি রোধে ৪ পদক্ষেপ
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চার পদক্ষেপ বাস্তবায়নে তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে এগুলো বাস্তবায়নে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অসহযোগিতা। সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। বিভিন্ন স্তরে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এসব কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এসব সমস্যা বিগত সরকারের তৈরি। কিন্তু সেগুলো এখন মোকাবিলা করতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার, টাকার প্রবাহ হ্রাস, শুল্ক কমানো, সুদের হার বৃদ্ধি এবং বাজার তদারকি জোরদারের মতো চার পদক্ষেপ নিয়েছে। এগুলোসহ প্রয়োজনীয় আরও উদ্যোগের ফলে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।

মানবজমিন:

সিনওয়ারকে যেভাবে হত্যা করে ইসরাইল
ইসরাইলের অভ্যন্তরে গত ৭ই অক্টোবর নজিরবিহীন হামলার পর এক বছর ধরে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের কোনো হদিসই পায়নি ইসরাইলের সেনারা। এক বছর ধরে তারা ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনাকারী সিনওয়ারকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তেল আবিবের দাবি অনুযায়ী নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের নেতা। হামাস এ বিষয়ে মুখ না খোলায় সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জাল বিস্তার করেছে। প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে হামাসের ওই চৌকস নেতাকে হত্যা করলো ইসরাইল।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, ৬১ বছর বয়সী ইয়াহিয়া সিনওয়ার হামাসের দায়িত্ব পালনকালে বেশির ভাগ সময়ই সুড়ঙ্গে কাটিয়েছেন। সার্বক্ষণিক তার চার পাশে থাকতেন নিজস্ব দেহরক্ষী। এ ছাড়া তার অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য ইসরাইলি জিম্মিদেরও তার পাশে আটক রাখা হয়েছিল। বলা হচ্ছে জিম্মিদের ‘আত্মরক্ষার ঢাল’ হিসেবে রাখা হয়েছিল সিনওয়ারের পাশে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে দক্ষিণ গাজায় সিনওয়ারের অবস্থান চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরাইলি সেনারা। সেখানে তাকে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত করা হয়। তবে কোনো জিম্মিদের পাওয়া যায়নি।

সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে বিশদ উঠে আসতে সময় লাগবে। তবে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

বনিক বার্তা:

ভারতপন্থী হওয়ার তকমায়ই কি খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়?
১৯৭৫ সালের নভেম্বর। প্রথম সাতদিনের মধ্যেই দুই দফা অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষদর্শী হয় বাংলাদেশ। রক্তাক্ত ওই সময়ে দেশ চলে গিয়েছিল গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।

১৯৭৫ সালের নভেম্বর। প্রথম সাতদিনের মধ্যেই দুই দফা অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষদর্শী হয় বাংলাদেশ। রক্তাক্ত ওই সময়ে দেশ চলে গিয়েছিল গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান ঘটান খালেদ মোশাররফ। আর ৭ নভেম্বর পাল্টা আরেক অভ্যুত্থানে মৃত্যু হয় তার। সে সময় জনশ্রুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানটি ছিল ভারতপন্থী একটি অভ্যুত্থান। এ জনশ্রুতিকেই বিভিন্ন সময় বিশ্লেষকদের বক্তব্যে তার অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

দিনটি ছিল ৩ নভেম্বর সোমবার। ক্ষমতায় খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বাধীন সরকার। প্রথম প্রহরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশাপাশি রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নেন সেনাবাহিনীর তৎকালীন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ও তার অনুগতরা। নিজেদের শক্তি জানান দিতে এবং মোশতাক সরকারের অনুগত ট্যাংক ক্রুদের মনোবল নষ্টের উদ্দেশ্যে ওইদিন রাজধানীর আকাশে ওড়ানো হয় একটি মিগ যুদ্ধবিমান ও সশস্ত্র হেলিকপ্টার।

কালবেলা:

দেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ অতিদরিদ্র
দেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ১৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের অবস্থা গুরুতর। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, দেশে অতিদারিদ্র্যের হার কমেছে। ২০২২ সালের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী দেশে অতিদারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৬ সালে এ হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ‘বৈশ্বিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্যসূচক-২০২৪: সংঘাতের মধ্যে দারিদ্র্য’ শিরোনামে অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে যৌথভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএনডিপি।

প্রতিবেদনে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য পরিস্থিতি বুঝতে বিশ্বের ১১২টি দেশের ৬৩০ কোটি মানুষের ওপর গবেষণা করা হয়েছে। এতে ২০২২-২৩ বছর পর্যন্ত এক দশকের বেশি সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে মানুষের পর্যাপ্ত আবাসন, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, ভোজ্যতেল ও পুষ্টির মতো অতিপ্রয়োজনীয় সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কেমন ঘাটতি রয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। শিশুরা কী হারে স্কুলে উপস্থিত হচ্ছে, তা-ও বিবেচনায় এসেছে প্রতিবেদনে।

সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। তাদের প্রায় অর্ধেকই সংঘাতকবলিত দেশের বাসিন্দা। চরম দারিদ্র্যে থাকা জনগোষ্ঠীর ৮৩ শতাংশের বেশি বসবাস করেন আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয়। দক্ষিণ এশিয়ায় ২৭ কোটি ২০ লাখ দরিদ্র মানুষ এমন পরিবারে আছে, যে পরিবারের অন্তত একজন অপুষ্টিতে ভুগছে।