জীবনানন্দ দাসের সেই কার্তিকের আজ প্রথম দিন। আজ পয়লা কার্তিক, হেমন্তের শুরু। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ-এই দুই মাস নিয়ে চিরায়ত হেমন্তকাল, বাংলা পঞ্জিকাবর্ষের চতুর্থ ঋতু। শীতের আগমনি বার্তা নিয়ে ধীর পায়ে প্রকৃতিতে আসে হেমন্ত। নাতিশীতোষ্ণ এই আবহাওয়া বছরের সবচাইতে স্বস্তির সময়।
এক সময় হেমন্তের প্রথম মাসটি ছিল অনটনের। ফসল হতো না। আমন ধান কাটা শুরু হয় মূলত কার্তিকের শেষে, অনেকটা অগ্রহায়ণজুড়ে। তাই অগ্রহায়ণ পুরোপুরি ধান কাটার মাস। মাঠে, কৃষকের বাড়িতে থাকে নতুন ধানের ঘ্রাণ। এ সময়েই সূচনা হয় নবান্ন উৎসবের।
হেমন্তকে বলা হয় গরম ও শীত এ দুয়ের মেলবন্ধন। হেমন্তের ভোরে দেখা মেলে হালকা কুয়াশা এবং শিশিরে ভিজে থাকে ঘাস। তারপর সূর্যের তীব্রতা যত বাড়ে, অনুভূত হয় গরম। হেমন্তের শেষে আস্তে আস্তে জানান দেয় শীত আসছে। এ সময় খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুতি নেন গাছিরাও।
হেমন্তকে ভ্রমণেরও মাসও বলা হয়। এই সময়টাতে অনেকেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হন। তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে প্রশাসন। তাই চায়ের দেশ সিলেট আর সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও কক্সবাজারকে এখন করতে হচ্ছে প্রধান গন্তব্য।
জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় বাংলাদেশের ষড়ঋতুতে ঘটছে তারতম্য। অনেক ঋতুই তার বৈশিষ্ট ধরে রাখতে পারছে না। তারপরও কমেনি হেমন্তের আবেদন। হেমন্ত এখনো হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাদের।