নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০ ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিস্ফোরণটি ঘটে।
জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র নুরা আব্দুল্লাহি জানিয়েছেন, ১৪০ জনেরও বেশি মানুষকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এর আগে পুলিশ কমপক্ষে ৯৪ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি অন্য একটি গাড়িকে এড়াতে গিয়ে মঙ্গলবার জিগাওয়া রাজ্যের মাজিয়া শহরে দুর্ঘটনায় পড়ে। পুলিশ মুখপাত্র লাওয়ান শিসু অ্যাডাম জানান, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী রাস্তায় ও ড্রেনে ছড়িয়ে পড়া জ্বালানি সংগ্রহ করতে ট্যাংকারের চারপাশে জড়ো হয়।
তাদের ঠেকাতে পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা ব্যর্থ হয়। নাইজেরিয়ার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন নিকটস্থ হাসপাতালের চিকিৎসকদের জরুরি বিভাগে দ্রুত পৌঁছে আহতদের সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে। নাইজেরিয়ার আইন প্রণেতারা সংসদে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন।
নাইজেরিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশিম শেটিমা বুধবার এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বন্দোবস্ত করছে।
নাইজেরিয়া আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ। সেখানে জ্বালানি ও তেল পরিকাঠামোতে প্রায়ই মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের হয়। আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশে এমন দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায়ই ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে ঝুঁকি নেয়, যা প্রাণঘাতী বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফেডারেল রোড সেফটি কমিশনের (এফআরএসসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে এমন এক হাজার ৫৩১টি দুর্ঘটনায় ৫৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় নাইজার রাজ্যে একটি যাত্রীবাহী ও গবাদি পশুবাহী ট্রাকের সঙ্গে ট্যাংকারের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়।