ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল চেকপোস্টে শেরপুর জেলা আ. লীগ নেতা আটক

বেনাপোল চেকপোস্টে শেরপুর জেলা আ. লীগ নেতা আটক

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে এক আ’লীগের নেতাকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আটক নেতার নাম চন্দন কুমার পাল (৭১)। তিনি শেরপুর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, ‘আমাদের কাছে গোপন খবর ছিল, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের এ নেতা এ পথ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গোপনে ওৎ পেতে থাকেন। পরে তার পাসপোর্টে এক্সিট সিলের জন্য ইমিগ্রেশনে গেলে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও জেলা আইনজীবী এপিপি ছিলেন বলে স্বীকার করেন।

পরে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। মামলা নম্বর ০৯, তারিখ ১২/০৮/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

দণ্ডবিধি হত্যা মামলার ১৪৩/৩০২/৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাসেল মিয়া বলেন, আটকের পর তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভুঁইয়া জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে যেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যাচ্ছেন তাদের গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ডেস্কে দায়িত্বরত অফিসারাও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো এমপি-মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।

বেনাপোল চেকপোস্টে শেরপুর জেলা আ. লীগ নেতা আটক

আপডেট সময় ০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে এক আ’লীগের নেতাকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আটক নেতার নাম চন্দন কুমার পাল (৭১)। তিনি শেরপুর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, ‘আমাদের কাছে গোপন খবর ছিল, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের এ নেতা এ পথ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গোপনে ওৎ পেতে থাকেন। পরে তার পাসপোর্টে এক্সিট সিলের জন্য ইমিগ্রেশনে গেলে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও জেলা আইনজীবী এপিপি ছিলেন বলে স্বীকার করেন।

পরে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। মামলা নম্বর ০৯, তারিখ ১২/০৮/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

দণ্ডবিধি হত্যা মামলার ১৪৩/৩০২/৩৪ ধারায় মামলাটি করা হয়। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাসেল মিয়া বলেন, আটকের পর তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভুঁইয়া জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে যেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যাচ্ছেন তাদের গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ডেস্কে দায়িত্বরত অফিসারাও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো এমপি-মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।