ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফাঁদে পা দেব না, সবাই ধৈর্য ধরুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন Logo আইনজীবী সাইফুলকে দলীয় কর্মী হিসেবে দাবি জামায়াতের, আমিরের বিবৃতি Logo সদ্য সাবেক আইজিপি ময়নুলকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ Logo আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ Logo হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় চাচা-ভাতিজার মৃত্যু Logo সিরাজগঞ্জে দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতুতে চললো ট্রেন Logo ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৯০ Logo আগামীকাল শিবিরের বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা Logo চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা: জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম Logo ববিতে নতুন ট্রেজারার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য কর্নেল মোস্তফা কামাল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ/গর্বের ফল এনে দিল আরও কান্না

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৫৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • 90

আজকের প্রত্রিকগুলোর প্রধান প্রধান খবর

যুগান্তর:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ/গর্বের ফল এনে দিল আরও কান্না
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দেশের বেশির ভাগ পরিবারেই এখন বইছে আনন্দের বন্যা। কিন্তু ভালো ফলও বেশকিছু পরিবারে এনে দিয়েছে কান্না আর আহাজারি।
শেরপুর উত্তর প্রতিনিধি জানান, শেরপুর জেলা শহরের খরমপুর মোড়ে ৪ আগস্ট আওয়ামী দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সবুজ মিয়া। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.৩৩ পেয়েছেন। সেদিনের পর থেকে পরিবারের কারও মুখে নেই হাসি। রেজাল্ট শুনে আরও শোকাহত হন তারা।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বিন মতিন জিপিএ ৪.৮৩ পেয়েছেন। শাহরিয়ারের বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মা মমতাজ বেগম হবিগঞ্জের মাধবপুর শাহজালাল মাধবপুর কলেজের সাবেক প্রভাষক ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়াশাসন গ্রামে। তিনি খালার বাসায় গিয়েছিলেন। ফেরার পথে ১৮ জুলাই মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে গুলিবিদ্ধ হন।

সতেরো বছরের নাফিসা হোসেন মারওয়া গাজীপুরের টঙ্গীর শাহাজউদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। জিপিএ ৪.২৫ পেয়েছেন তিনি। নাফিসার বাবা আবুল হোসেন চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে আবুল হোসেন থাকতেন টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।

লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাদ আল আফনান পাটওয়ারী জিপিএ ৪.১৭ পেয়েছেন। তিনি ভিক্টোরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বাসটার্মিনাল এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে। ৪ আগস্ট মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

বেলকুচি-চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের শিহাব হোসেন জিপিএ ৪.০৮ পেয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মা সাহানা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বুক চাপড়ে অঝোরে কান্না ছাড়া কোনো কথা বলতে পারেননি।

পটুয়াখালীর গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন সাগর গাজী। ডাকুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের বাড়ির মো. সিরাজুল গাজী ও শাহিদা বেগম দম্পতির তিন ছেলের ছোট তিনি। জিপিএ ৩ দশমিক ৯২ পেয়েছেন।

৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে গুলিতে নিহত হন মো. রায়হান। তিনি নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের আমজাদ হাজি বাড়ির মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আমেনা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। মোজাম্মেল বাড্ডায় এক বাড়িতে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন। রায়হান পাশেই মেসে থাকতেন। তিনি রাজধানীর গুলশান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। জিপিএ ২.৯২ পেয়েছেন।

কালের কন্ঠ:

শেখ পরিবারের কে কোথায়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। গাঢাকা দেন মাঝারি ও তৃণমূল পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী নেতাও। মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আসছেন না। এর মধ্যে দলীয় বিভিন্ন পদে থাকা অনেককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

দলীয় পদের বাইরে সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা চলমান। এত কিছুর মধ্যেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ‘শেখ পরিবারের’ বেশির ভাগ সদস্যের হদিস মিলছে না।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মাঠে প্রভাবশালী শেখ পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিষয়টি পরিষ্কার।

তিনি বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা ঢাকা ছাড়লেও তাঁর অবস্থানের বিষয়টি পরিষ্কার নয়। শেখ রেহানার ব্রিটিশ পাসপোর্টও রয়েছে। তাই তিনি বড় বোনের সঙ্গে ভারতে আছেন, নাকি অন্য কোথাও চলে গেছেন—এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবস্থানও অনেকের জানা।

প্রথম আলো:

এক সপ্তাহেই বাড়ল ১২ পণ্যের দাম
অভিযানের মুখে আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ। ঢাকার বাজারে সংকট। দাম আরও বেড়েছে।নিত্যপণ্যের দামের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। চাল, আটা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই, যার দামে স্বস্তি আছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ১২টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম তেল, চালের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্র্যান অয়েল, আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, দারুচিনি, ধনে, গরুর মাংস ও ডিম।

ডিমের দাম নতুন করে বেড়েছে ডজনপ্রতি ১২ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম উঠেছে ডজনপ্রতি ১৮০–২০০ টাকায়। দর কমাতে বাজারে অভিযান শুরুর পর ডিম বিক্রিই বন্ধ রেখেছে কিছু কিছু আড়ত। এতে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক বাজারে ডিমই পাওয়া যাচ্ছে না।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১ টাকা বেড়েছে এক সপ্তাহে। এ নিয়ে এক মাসে বাড়ল ৪ টাকা। আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫ টাকা এবং গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বাড়তি।

টিসিবির তালিকায় শাকসবজির দাম উল্লেখ থাকে না। যদিও এখন বাজারে সবচেয়ে চড়া দাম শাকসবজির। একেকটি শাকের আঁটি এখন ৩০-৫০ টাকা। বেশির ভাগ সবজির কেজি ৮০ টাকা থেকে শুরু। কোনো কোনো সবজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি।

টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহে সাতটি নিত্যপণ্যের দাম কিছু কিছু কমেছে। এর মধ্যে রয়েছে মসুর ডাল, মুগ ডাল, আদা, এলাচি, খাসির মাংস, দেশি মুরগি ও চিনি। এসব পণ্যের দাম আগেই অনেক চড়া ছিল। ফলে সামান্য কমলেও তাতে স্বস্তি ফেরেনি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

নীরবে সরবে চাঁদাবাজি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতন ঘটলেও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য কমেনি। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারায় বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। সরকার বদলের শুরুর দিকে কিছুটা ‘বিরতি’র পর চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জেলফেরত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। তাদের শিষ্যরা দলেবলে মাঠে নেমে পড়েছে চাঁদাবাজিতে। এ অবস্থায় আগের মতোই নীরবে-সরবে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভুক্তভোগীরা সেই আগের মতোই চুপচাপ চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রাণভয়ে কারও কাছে কোনো অভিযোগও করতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, চাঁদা বন্ধ নেই। পুরনো গ্রুপ পালিয়েছে। নতুন গ্রুপ পুরনোদের জায়গায় এসে চাঁদা তুলছে।

শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বের হয়েই ডিস-ইন্টারনেট ব্যবসা, দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন, ফুটপাত, বাজার, ঝুটব্যবসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও নির্মাণকাজ থেকে চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের মতো বিভিন্ন খাত থেকে চাঁদা তোলা ও আর্থিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তারা কখনো ফোনে আবার কখনো সরাসরি এসেও চাঁদা নিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, চাঁদাবাজদের সবচেয়ে বড় টার্গেট পয়েন্ট হচ্ছে শিল্পাঞ্চল, বাণিজ্যিক এলাকা, বাস, নৌ-টার্মিনাল ও হাটবাজার। এই চাঁদাবাজদের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলের অনুগত হয়ে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে ব্যবসায়ী আর বাসিন্দারা অতিষ্ঠ ছিলেন এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের অত্যাচারে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেই সরকারের পতনের পর নির্যাতিতরা ভেবেছিল তাদের ভাগ্যে বোধ হয় পরিবর্তন আসবে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা ঘটেনি। বিগত সরকারের আমলের চাঁদাবাজদের ছেড়ে যাওয়া শূন্য আসন পূর্ণ হয়ে গেছে খুব দ্রুতই। সব পয়েন্টেই আবার নতুন করে শুরু হয়েছে দখল ও চাঁদাবাজি। আর এই চাঁদাবাজরাও বর্তমান সময়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু অসাধু নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। তবে পুলিশের চাঁদাবাজি নিয়ে আপাতত তেমন অভিযোগ মিলছে না।

নয়াদিগন্ত:

আরো ১ বছর চাপে থাকবে অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, সরকারের সামনে অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিঃ খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। সেটি একটি বড় সমস্যা। প্রতিবেদনে বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি বেড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। তবে চলমান অর্থবছরের বাজেটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে গতকাল বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে ওয়াশিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকোনমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এখনো ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে। আর্থিক খাত নিয়ে বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের সঙ্কট রয়েছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ কমেছে। যেহেতু বিদেশী মুদ্রার মজুদ কম থাকার সম্ভাবনা আছে, তাই আমদানি বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিপরীতে, সরকারি বিনিয়োগ স্থিতিশীল থাকবে বলে অনুমান করছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে। মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। আর চলমান অর্থবছরের বাজেটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম হবে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে কোভিড মহামারীর পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

মানবজমিন:

সরকার কি তাহলে প্রতিবিপ্লবের মুখোমুখি?
বিপ্লবের ছায়াসঙ্গী হচ্ছে প্রতিবিপ্লব। যেখানেই বিপ্লব সেখানেই প্রতিবিপ্লবের আলামত। কোথাও সফল হয়। কোথাও ব্যর্থ। বাংলাদেশের বিপ্লব নিয়েও দেশে-বিদেশে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নানামুখী প্রচারণা। নানা ছক তো আছেই। সরকারের ভেতরেও একটি মহল প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে। যদিও এর আগে অনেকগুলো পরিকল্পনা বা ছক ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পরাজিতরা বসে নেই। তারা বিজয়ের হাসি হাসতে চায়। তাই বলছে, ক’দিন যায় দেখুন! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন টানটান উত্তেজনা। বলা হচ্ছে, প্রতিবিপ্লব এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অবাধ স্বাধীনতার যুগে এমনটাই স্বাভাবিক। ফিলিপাইনেও বিপ্লবের পর এমনটা ঘটেছিল। সরকারি মহল কি তাহলে চিন্তিত? প্রশ্ন রেখেছিলাম সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। বললেন, এটা নতুন কোনো খবর নয়। আমরা সবাই জানি এবং দেখছি। নানাভাবে সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনি কি তাহলে চিন্তিত? জবাব দিলেন সোজাসাপটা। বললেন, চোখ-কান খোলা রেখেছি। যা ব্যবস্থা নেয়ার নিচ্ছি। বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব কি তাহলে অবশ্যম্ভাবী! ইতিহাস তো তাই বলে। আমরা আমাদের কাজ করছি। কিছু ভুল-ত্রুটি তো আছেই। এটা দূর করে আমরা গন্তব্যে যেতে চাই। সে গন্তব্য কোথায়? এই প্রশ্ন কেন? আমরা তো বলেছি সংস্কার এবং নির্বাচন, আমরা দুটোই চাই। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে আমরা থাকতে চাই না। আমার তো সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তুমি তো জানো আমি স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখাই। এখন তো আমি আর কোনো স্বপ্নও দেখতে পারি না। যেখানে ছিলাম আমি একজন মুক্ত মানুষ।

সমকাল:

পণ্যের দরের উত্তাপে পুষ্টি ঘাটতির শঙ্কা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পণ্য আমদানি-রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম লোহিত সাগরে উত্তেজনা এবং ইসরায়েল, ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুদ্ধের ডামাডোলে তামাম বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অনেকটাই প্রতিরুদ্ধ। ফলে দাম বেড়েছে খাদ্যপণ্য ও উৎপাদন উপকরণের। পাশাপাশি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগও। গেল আগস্টে দেশের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠ তলিয়ে যায়। কমে সবজি উৎপাদন। তছনছ হয়ে যায় মাছ-মুরগির খামার। এর মধ্যে আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় একই ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। এভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। ফলে পুষ্টিজনিত ঘাটতি তৈরির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট ভাঙা, অপচয়রোধ, খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। যদিও নানা হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি শিগগিরই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সরকার-সংশ্লিষ্টরা।

দেশরুপান্ত:

হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি সারজিস হাসনাতের
হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এ ঘোষণা দেন তারা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় এ কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে। ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের’ পদত্যাগের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ দুই সমন্বয়ক।

এর আগে গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম আদালত এলাকায় দলটির সমর্থক আইনজীবীরা প্রথম প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করলেন। তারপর রাতে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন সারজিস ও হাসনাত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফাঁদে পা দেব না, সবাই ধৈর্য ধরুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ/গর্বের ফল এনে দিল আরও কান্না

আপডেট সময় ০৭:৫৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকগুলোর প্রধান প্রধান খবর

যুগান্তর:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ/গর্বের ফল এনে দিল আরও কান্না
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দেশের বেশির ভাগ পরিবারেই এখন বইছে আনন্দের বন্যা। কিন্তু ভালো ফলও বেশকিছু পরিবারে এনে দিয়েছে কান্না আর আহাজারি।
শেরপুর উত্তর প্রতিনিধি জানান, শেরপুর জেলা শহরের খরমপুর মোড়ে ৪ আগস্ট আওয়ামী দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সবুজ মিয়া। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.৩৩ পেয়েছেন। সেদিনের পর থেকে পরিবারের কারও মুখে নেই হাসি। রেজাল্ট শুনে আরও শোকাহত হন তারা।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বিন মতিন জিপিএ ৪.৮৩ পেয়েছেন। শাহরিয়ারের বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মা মমতাজ বেগম হবিগঞ্জের মাধবপুর শাহজালাল মাধবপুর কলেজের সাবেক প্রভাষক ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়াশাসন গ্রামে। তিনি খালার বাসায় গিয়েছিলেন। ফেরার পথে ১৮ জুলাই মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে গুলিবিদ্ধ হন।

সতেরো বছরের নাফিসা হোসেন মারওয়া গাজীপুরের টঙ্গীর শাহাজউদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। জিপিএ ৪.২৫ পেয়েছেন তিনি। নাফিসার বাবা আবুল হোসেন চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে আবুল হোসেন থাকতেন টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।

লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাদ আল আফনান পাটওয়ারী জিপিএ ৪.১৭ পেয়েছেন। তিনি ভিক্টোরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বাসটার্মিনাল এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে। ৪ আগস্ট মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

বেলকুচি-চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের শিহাব হোসেন জিপিএ ৪.০৮ পেয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মা সাহানা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বুক চাপড়ে অঝোরে কান্না ছাড়া কোনো কথা বলতে পারেননি।

পটুয়াখালীর গলাচিপার উলানিয়া হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন সাগর গাজী। ডাকুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের বাড়ির মো. সিরাজুল গাজী ও শাহিদা বেগম দম্পতির তিন ছেলের ছোট তিনি। জিপিএ ৩ দশমিক ৯২ পেয়েছেন।

৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে গুলিতে নিহত হন মো. রায়হান। তিনি নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব দুর্গানগর গ্রামের আমজাদ হাজি বাড়ির মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আমেনা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। মোজাম্মেল বাড্ডায় এক বাড়িতে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন। রায়হান পাশেই মেসে থাকতেন। তিনি রাজধানীর গুলশান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। জিপিএ ২.৯২ পেয়েছেন।

কালের কন্ঠ:

শেখ পরিবারের কে কোথায়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। গাঢাকা দেন মাঝারি ও তৃণমূল পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী নেতাও। মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আসছেন না। এর মধ্যে দলীয় বিভিন্ন পদে থাকা অনেককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

দলীয় পদের বাইরে সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা চলমান। এত কিছুর মধ্যেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ‘শেখ পরিবারের’ বেশির ভাগ সদস্যের হদিস মিলছে না।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মাঠে প্রভাবশালী শেখ পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিষয়টি পরিষ্কার।

তিনি বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা ঢাকা ছাড়লেও তাঁর অবস্থানের বিষয়টি পরিষ্কার নয়। শেখ রেহানার ব্রিটিশ পাসপোর্টও রয়েছে। তাই তিনি বড় বোনের সঙ্গে ভারতে আছেন, নাকি অন্য কোথাও চলে গেছেন—এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবস্থানও অনেকের জানা।

প্রথম আলো:

এক সপ্তাহেই বাড়ল ১২ পণ্যের দাম
অভিযানের মুখে আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ। ঢাকার বাজারে সংকট। দাম আরও বেড়েছে।নিত্যপণ্যের দামের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। চাল, আটা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই, যার দামে স্বস্তি আছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ১২টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম তেল, চালের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্র্যান অয়েল, আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, দারুচিনি, ধনে, গরুর মাংস ও ডিম।

ডিমের দাম নতুন করে বেড়েছে ডজনপ্রতি ১২ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম উঠেছে ডজনপ্রতি ১৮০–২০০ টাকায়। দর কমাতে বাজারে অভিযান শুরুর পর ডিম বিক্রিই বন্ধ রেখেছে কিছু কিছু আড়ত। এতে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক বাজারে ডিমই পাওয়া যাচ্ছে না।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১ টাকা বেড়েছে এক সপ্তাহে। এ নিয়ে এক মাসে বাড়ল ৪ টাকা। আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫ টাকা এবং গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বাড়তি।

টিসিবির তালিকায় শাকসবজির দাম উল্লেখ থাকে না। যদিও এখন বাজারে সবচেয়ে চড়া দাম শাকসবজির। একেকটি শাকের আঁটি এখন ৩০-৫০ টাকা। বেশির ভাগ সবজির কেজি ৮০ টাকা থেকে শুরু। কোনো কোনো সবজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি।

টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহে সাতটি নিত্যপণ্যের দাম কিছু কিছু কমেছে। এর মধ্যে রয়েছে মসুর ডাল, মুগ ডাল, আদা, এলাচি, খাসির মাংস, দেশি মুরগি ও চিনি। এসব পণ্যের দাম আগেই অনেক চড়া ছিল। ফলে সামান্য কমলেও তাতে স্বস্তি ফেরেনি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

নীরবে সরবে চাঁদাবাজি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতন ঘটলেও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য কমেনি। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের ধাক্কায় কেবল চেহারায় বদল ঘটেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। সরকার বদলের শুরুর দিকে কিছুটা ‘বিরতি’র পর চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জেলফেরত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। তাদের শিষ্যরা দলেবলে মাঠে নেমে পড়েছে চাঁদাবাজিতে। এ অবস্থায় আগের মতোই নীরবে-সরবে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভুক্তভোগীরা সেই আগের মতোই চুপচাপ চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রাণভয়ে কারও কাছে কোনো অভিযোগও করতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, চাঁদা বন্ধ নেই। পুরনো গ্রুপ পালিয়েছে। নতুন গ্রুপ পুরনোদের জায়গায় এসে চাঁদা তুলছে।

শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বের হয়েই ডিস-ইন্টারনেট ব্যবসা, দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন, ফুটপাত, বাজার, ঝুটব্যবসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও নির্মাণকাজ থেকে চাঁদাবাজি এবং জমি দখলের মতো বিভিন্ন খাত থেকে চাঁদা তোলা ও আর্থিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তারা কখনো ফোনে আবার কখনো সরাসরি এসেও চাঁদা নিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, চাঁদাবাজদের সবচেয়ে বড় টার্গেট পয়েন্ট হচ্ছে শিল্পাঞ্চল, বাণিজ্যিক এলাকা, বাস, নৌ-টার্মিনাল ও হাটবাজার। এই চাঁদাবাজদের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলের অনুগত হয়ে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে ব্যবসায়ী আর বাসিন্দারা অতিষ্ঠ ছিলেন এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের অত্যাচারে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেই সরকারের পতনের পর নির্যাতিতরা ভেবেছিল তাদের ভাগ্যে বোধ হয় পরিবর্তন আসবে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা ঘটেনি। বিগত সরকারের আমলের চাঁদাবাজদের ছেড়ে যাওয়া শূন্য আসন পূর্ণ হয়ে গেছে খুব দ্রুতই। সব পয়েন্টেই আবার নতুন করে শুরু হয়েছে দখল ও চাঁদাবাজি। আর এই চাঁদাবাজরাও বর্তমান সময়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু অসাধু নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। তবে পুলিশের চাঁদাবাজি নিয়ে আপাতত তেমন অভিযোগ মিলছে না।

নয়াদিগন্ত:

আরো ১ বছর চাপে থাকবে অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, সরকারের সামনে অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিঃ খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। সেটি একটি বড় সমস্যা। প্রতিবেদনে বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি বেড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। তবে চলমান অর্থবছরের বাজেটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে গতকাল বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে ওয়াশিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকোনমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এখনো ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে। আর্থিক খাত নিয়ে বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের সঙ্কট রয়েছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ কমেছে। যেহেতু বিদেশী মুদ্রার মজুদ কম থাকার সম্ভাবনা আছে, তাই আমদানি বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিপরীতে, সরকারি বিনিয়োগ স্থিতিশীল থাকবে বলে অনুমান করছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে। মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। আর চলমান অর্থবছরের বাজেটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম হবে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে কোভিড মহামারীর পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

মানবজমিন:

সরকার কি তাহলে প্রতিবিপ্লবের মুখোমুখি?
বিপ্লবের ছায়াসঙ্গী হচ্ছে প্রতিবিপ্লব। যেখানেই বিপ্লব সেখানেই প্রতিবিপ্লবের আলামত। কোথাও সফল হয়। কোথাও ব্যর্থ। বাংলাদেশের বিপ্লব নিয়েও দেশে-বিদেশে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নানামুখী প্রচারণা। নানা ছক তো আছেই। সরকারের ভেতরেও একটি মহল প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে। যদিও এর আগে অনেকগুলো পরিকল্পনা বা ছক ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পরাজিতরা বসে নেই। তারা বিজয়ের হাসি হাসতে চায়। তাই বলছে, ক’দিন যায় দেখুন! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন টানটান উত্তেজনা। বলা হচ্ছে, প্রতিবিপ্লব এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অবাধ স্বাধীনতার যুগে এমনটাই স্বাভাবিক। ফিলিপাইনেও বিপ্লবের পর এমনটা ঘটেছিল। সরকারি মহল কি তাহলে চিন্তিত? প্রশ্ন রেখেছিলাম সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। বললেন, এটা নতুন কোনো খবর নয়। আমরা সবাই জানি এবং দেখছি। নানাভাবে সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনি কি তাহলে চিন্তিত? জবাব দিলেন সোজাসাপটা। বললেন, চোখ-কান খোলা রেখেছি। যা ব্যবস্থা নেয়ার নিচ্ছি। বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব কি তাহলে অবশ্যম্ভাবী! ইতিহাস তো তাই বলে। আমরা আমাদের কাজ করছি। কিছু ভুল-ত্রুটি তো আছেই। এটা দূর করে আমরা গন্তব্যে যেতে চাই। সে গন্তব্য কোথায়? এই প্রশ্ন কেন? আমরা তো বলেছি সংস্কার এবং নির্বাচন, আমরা দুটোই চাই। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে আমরা থাকতে চাই না। আমার তো সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তুমি তো জানো আমি স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখাই। এখন তো আমি আর কোনো স্বপ্নও দেখতে পারি না। যেখানে ছিলাম আমি একজন মুক্ত মানুষ।

সমকাল:

পণ্যের দরের উত্তাপে পুষ্টি ঘাটতির শঙ্কা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পণ্য আমদানি-রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম লোহিত সাগরে উত্তেজনা এবং ইসরায়েল, ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুদ্ধের ডামাডোলে তামাম বিশ্বে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অনেকটাই প্রতিরুদ্ধ। ফলে দাম বেড়েছে খাদ্যপণ্য ও উৎপাদন উপকরণের। পাশাপাশি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগও। গেল আগস্টে দেশের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠ তলিয়ে যায়। কমে সবজি উৎপাদন। তছনছ হয়ে যায় মাছ-মুরগির খামার। এর মধ্যে আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় একই ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। এভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। ফলে পুষ্টিজনিত ঘাটতি তৈরির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট ভাঙা, অপচয়রোধ, খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। যদিও নানা হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি শিগগিরই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সরকার-সংশ্লিষ্টরা।

দেশরুপান্ত:

হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি সারজিস হাসনাতের
হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এ ঘোষণা দেন তারা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় এ কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে। ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের’ পদত্যাগের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ দুই সমন্বয়ক।

এর আগে গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম আদালত এলাকায় দলটির সমর্থক আইনজীবীরা প্রথম প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করলেন। তারপর রাতে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন সারজিস ও হাসনাত।