ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডা-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে,দূত দের দেশে ফেরার নির্দেশ

ভারতীয় হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) তাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় ওটাওয়ার। শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অভিযোগে এই পদক্ষেপও নিয়েছে দেশটি।

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিজ্জার মামলায় এই ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে কানাডিয়ান পুলিশের যথেষ্ট, স্পষ্ট এবং শক্ত প্রমাণ সংগ্রহ এবং অত্যন্ত বিবেচনার পরই তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ওটাওয়ার এই পদক্ষেপের আগে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ দেশটির ছয়জন কূটনীতিককে দিল্লি ছাড়তে বলে ভারত সরকার। কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানানোর দিনেই ভারতের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ছয় কূটনীতিককে আগামী শনিবারের মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মধ্যে টানাপোড়েন আবারও নতুন করে দেখা দিলো। অবশ্য নিজ্জর নিহত হওয়ার পর ২০২৩ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের সংসদে ওই হত্যার সঙ্গে ভারত জড়িত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। এমনকি ভারত থেকে কানাডার কয়েক ডজন কূটনৈতিককে প্রত্যাহার করতে চাপ দেয় নয়াদিল্লি। এ ছাড়া কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা সেবা স্থগিত করে দেয় ভারত সরকার।এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছেন, সরকারের কাছে এখন স্পষ্ট এবং যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে ভারত সরকারের এজেন্টরা জননিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি সৃষ্টিকারী কার্যকলাপে জড়িত এবং তা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানায়, এসব কার্যকলাপের মধ্যে গোপন তথ্য সংগ্রহের কৌশল, জবরদস্তিমূলক আচরণ, দক্ষিণ এশীয় কানাডিয়ানদের টার্গেট করা এবং হত্যাসহ এক ডজনের বেশি হুমকি ও সহিংস কর্মকাণ্ডের বিষয় রয়েছে। এসব অগ্রহণযোগ্য। কানাডায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে ভারত একটি বড় ভুল করেছে।

তবে ভারত দীর্ঘদিন ধরে ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সোমবার ভারতীয় কূটনীতিকদের ওপর কানাডার তদন্তের পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ হিসেবে এই কাজ করছেন ট্রুডো।

এর আগে ২০২৩ সালে কানাডায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর। তিনি ভারতের পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলেন। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এর সঙ্গে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে আসছিলেন ট্রুডো। তবে সে অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে ভারত সরকার।

১১ দিনের সরকারি সফরে ঢাকা ছেড়েছেন সেনাপ্রধান

কানাডা-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে,দূত দের দেশে ফেরার নির্দেশ

আপডেট সময় ১০:০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

ভারতীয় হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) তাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় ওটাওয়ার। শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্য করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অভিযোগে এই পদক্ষেপও নিয়েছে দেশটি।

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিজ্জার মামলায় এই ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে কানাডিয়ান পুলিশের যথেষ্ট, স্পষ্ট এবং শক্ত প্রমাণ সংগ্রহ এবং অত্যন্ত বিবেচনার পরই তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ওটাওয়ার এই পদক্ষেপের আগে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ দেশটির ছয়জন কূটনীতিককে দিল্লি ছাড়তে বলে ভারত সরকার। কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানানোর দিনেই ভারতের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ছয় কূটনীতিককে আগামী শনিবারের মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মধ্যে টানাপোড়েন আবারও নতুন করে দেখা দিলো। অবশ্য নিজ্জর নিহত হওয়ার পর ২০২৩ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের সংসদে ওই হত্যার সঙ্গে ভারত জড়িত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। এমনকি ভারত থেকে কানাডার কয়েক ডজন কূটনৈতিককে প্রত্যাহার করতে চাপ দেয় নয়াদিল্লি। এ ছাড়া কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা সেবা স্থগিত করে দেয় ভারত সরকার।এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছেন, সরকারের কাছে এখন স্পষ্ট এবং যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে ভারত সরকারের এজেন্টরা জননিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি সৃষ্টিকারী কার্যকলাপে জড়িত এবং তা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানায়, এসব কার্যকলাপের মধ্যে গোপন তথ্য সংগ্রহের কৌশল, জবরদস্তিমূলক আচরণ, দক্ষিণ এশীয় কানাডিয়ানদের টার্গেট করা এবং হত্যাসহ এক ডজনের বেশি হুমকি ও সহিংস কর্মকাণ্ডের বিষয় রয়েছে। এসব অগ্রহণযোগ্য। কানাডায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে ভারত একটি বড় ভুল করেছে।

তবে ভারত দীর্ঘদিন ধরে ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সোমবার ভারতীয় কূটনীতিকদের ওপর কানাডার তদন্তের পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ হিসেবে এই কাজ করছেন ট্রুডো।

এর আগে ২০২৩ সালে কানাডায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর। তিনি ভারতের পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলেন। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এর সঙ্গে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে আসছিলেন ট্রুডো। তবে সে অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে ভারত সরকার।