ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া আ’লীগ

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • 72

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া আ’লীগ

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের স্মরণকালের ভয়াবহ পতন ঘটলেও বিন্দুমাত্র অনুশোচনাবোধ নেই দলটির। উল্টো একের পর এক ইস্যু তৈরি করে দেশকে কিভাবে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া যায় এবং ঠুনকো বিষয়কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ইস্যু বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করা যায়- তারই ছক কষছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে খোদ আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নেন। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রায় সব পর্যায়ের নেতা-মন্ত্রী ও এমপিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখনো সক্রিয় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যে না এলেও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেকেই ভেতরে ভেতরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে বিদেশে গেলেও দেশের অভ্যন্তরে থাকা বাছাইকৃত কিছু নেতা-কর্মীর সাথে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ওই নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাইবার যোদ্ধারা অনলাইন-অফলাইনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দুর্গা পূজা উপলক্ষে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের একটি পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠান মঞ্চে দুটি গান পরিবেশন করেন। পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্মসম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই তারা গান পরিবেশন করলেও আওয়ামী লীগের সাইবার যোদ্ধারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রং চং লাগিয়ে তুলে ধরলে এটা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। রীতিমতো ফেসবুকে একটি মল্লযুদ্ধ শুরু হয়। চাপের মুখে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তাতীবাজারসহ কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ও পূজামণ্ডপে ইসলামী সংগীত পরিবেশনের বিষয়টি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে আঘাত হিসেবে দেখানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আওয়ামী লীগ দেখাতে চায়- এ দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা ভালো নেই।

জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের বাজারের চিত্র খারাপ অবস্থায় থাকলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হিসেবে উল্লেখ করে দলটির সাইবার যোদ্ধাদের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে নিয়মিতই জোরালোভাবে প্রচারণা চলছে। দলটির সাইবার যোদ্ধারাও সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হলেও দলটির নেতা-কর্মীরা তা এড়িয়ে যেতে চাইছেন। নিত্যপণ্যের বাজার চড়ার বিষয়টি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ইস্যু বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলতে চায় এবং সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চায়।

মানবজমিন:

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদেরও দেখা মিলছে না। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এই হাল নিয়ে নানা আলোচনা। নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের চটজলদি জবাব হয়তো কারও কাছে নেই। তবে দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের বরাতে মানবজমিন জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন। আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় নয়া দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলকান শিবির প্রচারণায় নেমে পড়েছে। রিপাবলিকান প্রার্থী কমালা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

গোটা জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, আমরাও বৈষম্যহীন সমাজ চাই
গোটা জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার; জামায়াতে ইসলামীও একটি বৈষম্যহীন সমাজ চাই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার দুপুর আড়াইটায় নগরীর কাজিরদেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীরে জামায়াত বলেন, এখলাসপূর্ণ সহিহ্ নিয়ত নিয়ে আল্লাহর জন্য কাজ করতে হবে। দ্বীন বিজয়ী হবে আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে। আমাদের বেশি বেশি কোরআন ও হাদিস পাঠ করতে হবে। নবীর জীবনীর সবকিছু মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে দারসুল কোরআন পেশ করেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ, ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ড. অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান।

প্রথম আলে:

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ কম
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সাধারণ মানুষও কেন রাস্তায় নেমেছিল? বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এর পেছনে অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতিও অন্যতম কারণ। তিনি এ কথা বলেছিলেন গত ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে।

সারা বিশ্বেই রাজনীতিকে সবচেয়ে প্রভাবিত করে অর্থনীতির যে সূচক, তা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। গবেষকেরা দেখিয়েছেন, একটি সরকারকে সবচেয়ে বেশি অজনপ্রিয় করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিভাগের অধ্যাপক হ্যারল্ড জেমস ২০২৩ সালে লিখেছিলেন, গণতন্ত্রে নির্বাচনের ফলাফল প্রায়ই বাজারদরের ওপর নির্ভর করে। তবে স্বৈরাচার বা কর্তৃত্ববাদী সরকারও যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিপদে পড়ে, এমন উদাহরণও আছে।উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে বলা হয় অর্থনীতির নীরব ঘাতক। আর এই ঘাতক কতটা নির্মম হতে পারে, তা দেশের মানুষ দেখেছে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে। তাতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় হয়ে উঠেছে। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই দেশে মূল্যস্ফীতি কমেনি। অথচ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহার করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়।

এটা ঠিক যে অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকারসূত্রেই এই উচ্চ মূল্যস্ফীতি হাতে পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত আগস্ট মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ হয়েছে। যদিও সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতি কমার কোনো প্রভাব জীবনযাত্রায় খুঁজে পাচ্ছে না। বরং প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। অথচ নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল, এবার অন্তত মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে তারা মুক্তি পাবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

প্রশাসনে অস্বস্তি সর্বস্তরে
গ্রেপ্তার-মামলার ভয়, অর্থ কেলেঙ্কারি, রদবদল-ওএসডি চলছে আতঙ্কে সাবেক ডিসিরাও
প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিগত সরকারের দলীয় ক্যাডারের ভূমিকা পালন, অর্থ কেলেঙ্কারি, নারী কেলেঙ্কারির কারণে গোটা প্রশাসনে এখন আতঙ্ক অস্বস্তি পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তা সহকারী সচিব থেকে থেকে সর্বোচ্চ পদ সচিব পর্যন্ত সর্বস্তরে কম বেশি অস্বস্তি রয়েছে। একাধিক সচিবের নামে মামলা-গ্রেপ্তারের পর সবার মনে প্রশ্ন ঘুরছে পরের ব্যক্তি কে? এরই মধ্যে কথার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন জুনিয়র কর্মকর্তা তাবাসুম তাপসী। প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক, বর্তমান কর্মকর্তাদের অর্থ কেলেঙ্কারি, নারীঘটিত বিষয় সামনে আসায় পারিবারিক-সামাজিকভাবে বিব্রত অনেকে। প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অস্বস্তি ও আতঙ্কের এসব বিষয় জানা গেছে।

যুগান্তর:

পাচার হওয়া সম্পদ জব্দের প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আসন্ন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছে। এবারের সভায় বাংলাদেশ সাইড লাইনে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সঙ্গে আলাদা একাধিক বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে তিনটি ইস্যু প্রাধান্য দেবে। এগুলোর মধ্যে অগ্রাধিক পাবে আইএমএফ থেকে বাড়তি ঋণের ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় গুরুত্ব, বাংলাদেশ থেকে পাচার টাকা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে জব্দ করে রাখা এবং তৃতীয় গুরুত্ব ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও ১৫ বছরের লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা।

সূত্র জানায়, আগামী ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এ বৈঠক হবে। এতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। এর আগে সংস্থা দুটির পরপর দুটি বৈঠকে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। ফলে নতুন পরিস্থিতিতে বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য আলোচনার বিষয়ও পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগের বৈঠকগুলোতে সংস্থা দুটি থেকে শুধু বাড়তি সহায়তা আদায় ও দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হতো। এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপট যুক্ত হয়েছে। গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সংকট কাটাতে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েই আইএমএফের কাছে আরও ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে। এর আগে আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ওই বছরের এক ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তি হিসাবে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে। একই বছরের ডিসেম্বরে ছাড় করে দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত ২৪ জুন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ছাড় করেছে ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে মোট পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। চতুর্থ কিস্তির অর্থ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়ার কথা।

বনিক বার্তা:

বিসিএসে ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম
সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটি।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটি। চাকরির ক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস)। প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম। সর্বশেষ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়া ৪৩তম বিসিএসেও যারা বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ২৯ বছরের বেশি বয়সের প্রার্থী ছিলেন কেবল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

বর্তমানে দেশে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়। আর অবসরে যাওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৯ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা ৩২ বছর, অবসরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ বছর নির্ধারণ করা আছে। এর মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন। চাকরিপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে এ নিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে আসছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। ‘চাকরিতে বয়সের আবেদনসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’ ব্যানারে করা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

কালবেলা:

যেমন খুশি তেমন চলে ১০ মেডিকেল কলেজ
বেসরকারি চিকিৎসা শিক্ষা খাত গত ১৫ বছর রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ অনুমোদন ও পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের অধিকাংশই মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামীপন্থি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী। এতে অভিভাবকদের বিপুল অর্থ প্রভাবশালীদের পকেটে গেলেও মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অপর্যাপ্ত জমি, অবকাঠামো ঘাটতি, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতা, লাইব্রেরিতে আসন ও মিউজিয়ামে সরঞ্জাম সংকট, হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যাসংখ্যাসহ নানা শর্ত উপেক্ষিত ছিল প্রভাবশালীদের মেডিকেল কলেজে। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চালানো হয় এসব চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষা উপযোগিতার ঘাটতি পূরণে বারবার নির্দেশনা জারির পরও ক্ষমতা-ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শর্ত পূরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো প্রভাব বিস্তার করে সব নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে।

২০২২ সালের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইনে ৫০ আসনের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় কলেজের নামে ন্যূনতম দুই একর এবং মেট্রোপলিটনের বাইরে ন্যূনতম চার একর জমি থাকতে হবে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় আইন পাসের আগে একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নামে ন্যূনতম এক একর জমি থাকতে হবে। এই জমি কলেজের নামে নিরঙ্কুশ, নিষ্কণ্টক, অখণ্ড ও দায়মুক্ত হতে হবে। একাডেমিক ও হাসপাতাল মিলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ সর্বনিম্ন ২ লাখ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শন, ডিনস কমিটি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রতিবেদনে রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, এমএইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজ, গ্রিনলাইফ মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ এবং গাজীপুরের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বারবার সময় বেঁধে দিলেও ক্ষমতার প্রভাবে শর্ত পূরণ করেনি।

গত বছর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেশের ৭৩ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রভাবশালীদের মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, জনবলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিশেষজ্ঞ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আফজালুর রহমান কালবেলাকে বলেন, যত্রতত্র মেডিকেল কলেজের বেশিরভাগ মানসম্মত নয়। বেশিরভাগই ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। ব্যবসায়িক স্বার্থে মেডিকেল কলেজ ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে এগুলো ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, আদৌ দেশে এত মেডিকেল কলেজ দরকার আছে কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার। প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে দেখতে পারি দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে কত মেডিকেল কলেজ এ দেশে থাকা দরকার। এত মেডিকেল কলেজ প্রয়োজন না হলে, সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া আ’লীগ

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া আ’লীগ

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের স্মরণকালের ভয়াবহ পতন ঘটলেও বিন্দুমাত্র অনুশোচনাবোধ নেই দলটির। উল্টো একের পর এক ইস্যু তৈরি করে দেশকে কিভাবে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া যায় এবং ঠুনকো বিষয়কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ইস্যু বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করা যায়- তারই ছক কষছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে খোদ আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নেন। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রায় সব পর্যায়ের নেতা-মন্ত্রী ও এমপিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখনো সক্রিয় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যে না এলেও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অনেকেই ভেতরে ভেতরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে বিদেশে গেলেও দেশের অভ্যন্তরে থাকা বাছাইকৃত কিছু নেতা-কর্মীর সাথে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ওই নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাইবার যোদ্ধারা অনলাইন-অফলাইনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দুর্গা পূজা উপলক্ষে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের একটি পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠান মঞ্চে দুটি গান পরিবেশন করেন। পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্মসম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই তারা গান পরিবেশন করলেও আওয়ামী লীগের সাইবার যোদ্ধারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রং চং লাগিয়ে তুলে ধরলে এটা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। রীতিমতো ফেসবুকে একটি মল্লযুদ্ধ শুরু হয়। চাপের মুখে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। তাতীবাজারসহ কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ও পূজামণ্ডপে ইসলামী সংগীত পরিবেশনের বিষয়টি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে আঘাত হিসেবে দেখানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আওয়ামী লীগ দেখাতে চায়- এ দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা ভালো নেই।

জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিত্যপণ্যের বাজারের চিত্র খারাপ অবস্থায় থাকলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হিসেবে উল্লেখ করে দলটির সাইবার যোদ্ধাদের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে নিয়মিতই জোরালোভাবে প্রচারণা চলছে। দলটির সাইবার যোদ্ধারাও সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হলেও দলটির নেতা-কর্মীরা তা এড়িয়ে যেতে চাইছেন। নিত্যপণ্যের বাজার চড়ার বিষয়টি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ইস্যু বানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলতে চায় এবং সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চায়।

মানবজমিন:

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদেরও দেখা মিলছে না। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এই হাল নিয়ে নানা আলোচনা। নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের চটজলদি জবাব হয়তো কারও কাছে নেই। তবে দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের বরাতে মানবজমিন জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন। আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় নয়া দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলকান শিবির প্রচারণায় নেমে পড়েছে। রিপাবলিকান প্রার্থী কমালা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

গোটা জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, আমরাও বৈষম্যহীন সমাজ চাই
গোটা জাতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার; জামায়াতে ইসলামীও একটি বৈষম্যহীন সমাজ চাই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার দুপুর আড়াইটায় নগরীর কাজিরদেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীরে জামায়াত বলেন, এখলাসপূর্ণ সহিহ্ নিয়ত নিয়ে আল্লাহর জন্য কাজ করতে হবে। দ্বীন বিজয়ী হবে আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে। আমাদের বেশি বেশি কোরআন ও হাদিস পাঠ করতে হবে। নবীর জীবনীর সবকিছু মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে দারসুল কোরআন পেশ করেন বাইতুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ, ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ড. অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমান।

প্রথম আলে:

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ কম
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সাধারণ মানুষও কেন রাস্তায় নেমেছিল? বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এর পেছনে অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতিও অন্যতম কারণ। তিনি এ কথা বলেছিলেন গত ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে।

সারা বিশ্বেই রাজনীতিকে সবচেয়ে প্রভাবিত করে অর্থনীতির যে সূচক, তা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। গবেষকেরা দেখিয়েছেন, একটি সরকারকে সবচেয়ে বেশি অজনপ্রিয় করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিভাগের অধ্যাপক হ্যারল্ড জেমস ২০২৩ সালে লিখেছিলেন, গণতন্ত্রে নির্বাচনের ফলাফল প্রায়ই বাজারদরের ওপর নির্ভর করে। তবে স্বৈরাচার বা কর্তৃত্ববাদী সরকারও যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিপদে পড়ে, এমন উদাহরণও আছে।উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে বলা হয় অর্থনীতির নীরব ঘাতক। আর এই ঘাতক কতটা নির্মম হতে পারে, তা দেশের মানুষ দেখেছে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে। তাতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় হয়ে উঠেছে। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই দেশে মূল্যস্ফীতি কমেনি। অথচ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহার করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়।

এটা ঠিক যে অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকারসূত্রেই এই উচ্চ মূল্যস্ফীতি হাতে পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত আগস্ট মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ হয়েছে। যদিও সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতি কমার কোনো প্রভাব জীবনযাত্রায় খুঁজে পাচ্ছে না। বরং প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। অথচ নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল, এবার অন্তত মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে তারা মুক্তি পাবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

প্রশাসনে অস্বস্তি সর্বস্তরে
গ্রেপ্তার-মামলার ভয়, অর্থ কেলেঙ্কারি, রদবদল-ওএসডি চলছে আতঙ্কে সাবেক ডিসিরাও
প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিগত সরকারের দলীয় ক্যাডারের ভূমিকা পালন, অর্থ কেলেঙ্কারি, নারী কেলেঙ্কারির কারণে গোটা প্রশাসনে এখন আতঙ্ক অস্বস্তি পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তা সহকারী সচিব থেকে থেকে সর্বোচ্চ পদ সচিব পর্যন্ত সর্বস্তরে কম বেশি অস্বস্তি রয়েছে। একাধিক সচিবের নামে মামলা-গ্রেপ্তারের পর সবার মনে প্রশ্ন ঘুরছে পরের ব্যক্তি কে? এরই মধ্যে কথার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন জুনিয়র কর্মকর্তা তাবাসুম তাপসী। প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক, বর্তমান কর্মকর্তাদের অর্থ কেলেঙ্কারি, নারীঘটিত বিষয় সামনে আসায় পারিবারিক-সামাজিকভাবে বিব্রত অনেকে। প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অস্বস্তি ও আতঙ্কের এসব বিষয় জানা গেছে।

যুগান্তর:

পাচার হওয়া সম্পদ জব্দের প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আসন্ন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে যাচ্ছে। এবারের সভায় বাংলাদেশ সাইড লাইনে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সঙ্গে আলাদা একাধিক বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে তিনটি ইস্যু প্রাধান্য দেবে। এগুলোর মধ্যে অগ্রাধিক পাবে আইএমএফ থেকে বাড়তি ঋণের ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় গুরুত্ব, বাংলাদেশ থেকে পাচার টাকা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে জব্দ করে রাখা এবং তৃতীয় গুরুত্ব ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও ১৫ বছরের লুটপাটের চিত্র তুলে ধরা।

সূত্র জানায়, আগামী ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এ বৈঠক হবে। এতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। এর আগে সংস্থা দুটির পরপর দুটি বৈঠকে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। ফলে নতুন পরিস্থিতিতে বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য আলোচনার বিষয়ও পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগের বৈঠকগুলোতে সংস্থা দুটি থেকে শুধু বাড়তি সহায়তা আদায় ও দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হতো। এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপট যুক্ত হয়েছে। গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সংকট কাটাতে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েই আইএমএফের কাছে আরও ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে। এর আগে আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ওই বছরের এক ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তি হিসাবে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে। একই বছরের ডিসেম্বরে ছাড় করে দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত ২৪ জুন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ছাড় করেছে ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে মোট পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। চতুর্থ কিস্তির অর্থ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়ার কথা।

বনিক বার্তা:

বিসিএসে ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম
সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটি।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটি। চাকরির ক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস)। প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৯ বছরের বেশি বয়সীদের উত্তীর্ণের হার খুবই কম। সর্বশেষ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হওয়া ৪৩তম বিসিএসেও যারা বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ২৯ বছরের বেশি বয়সের প্রার্থী ছিলেন কেবল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

বর্তমানে দেশে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়। আর অবসরে যাওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৯ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা ৩২ বছর, অবসরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ বছর নির্ধারণ করা আছে। এর মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন। চাকরিপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে এ নিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে আসছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। ‘চাকরিতে বয়সের আবেদনসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’ ব্যানারে করা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

কালবেলা:

যেমন খুশি তেমন চলে ১০ মেডিকেল কলেজ
বেসরকারি চিকিৎসা শিক্ষা খাত গত ১৫ বছর রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ অনুমোদন ও পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের অধিকাংশই মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামীপন্থি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী। এতে অভিভাবকদের বিপুল অর্থ প্রভাবশালীদের পকেটে গেলেও মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অপর্যাপ্ত জমি, অবকাঠামো ঘাটতি, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতা, লাইব্রেরিতে আসন ও মিউজিয়ামে সরঞ্জাম সংকট, হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যাসংখ্যাসহ নানা শর্ত উপেক্ষিত ছিল প্রভাবশালীদের মেডিকেল কলেজে। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চালানো হয় এসব চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষা উপযোগিতার ঘাটতি পূরণে বারবার নির্দেশনা জারির পরও ক্ষমতা-ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শর্ত পূরণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো প্রভাব বিস্তার করে সব নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে।

২০২২ সালের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইনে ৫০ আসনের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় কলেজের নামে ন্যূনতম দুই একর এবং মেট্রোপলিটনের বাইরে ন্যূনতম চার একর জমি থাকতে হবে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় আইন পাসের আগে একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নামে ন্যূনতম এক একর জমি থাকতে হবে। এই জমি কলেজের নামে নিরঙ্কুশ, নিষ্কণ্টক, অখণ্ড ও দায়মুক্ত হতে হবে। একাডেমিক ও হাসপাতাল মিলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ সর্বনিম্ন ২ লাখ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শন, ডিনস কমিটি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রতিবেদনে রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, এমএইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজ, গ্রিনলাইফ মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ এবং গাজীপুরের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বারবার সময় বেঁধে দিলেও ক্ষমতার প্রভাবে শর্ত পূরণ করেনি।

গত বছর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেশের ৭৩ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রভাবশালীদের মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, জনবলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিশেষজ্ঞ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আফজালুর রহমান কালবেলাকে বলেন, যত্রতত্র মেডিকেল কলেজের বেশিরভাগ মানসম্মত নয়। বেশিরভাগই ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। ব্যবসায়িক স্বার্থে মেডিকেল কলেজ ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে এগুলো ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, আদৌ দেশে এত মেডিকেল কলেজ দরকার আছে কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার। প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে দেখতে পারি দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে কত মেডিকেল কলেজ এ দেশে থাকা দরকার। এত মেডিকেল কলেজ প্রয়োজন না হলে, সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।