ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে ২৪২০ টন অনুমোদনের বিপরীতে ইলিশ গেছে ৫৩৩ টন

ভারতে ২৪২০ টন অনুমোদনের বিপরীতে ইলিশ গেছে ৫৩৩ টন

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে ইলিশের সংকট এবং দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি করা যায়নি। শনিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত ১৭ দিনে ভারতে গেছে সর্বমোট ৫৩৩ টন ইলিশ। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর জানায়,

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ রপ্তানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।

২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।

এ বছর ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ গড়ে ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হয়েছে, যা দেশের ১ হাজার ১৮০ টাকার মতো। দেশের বাজারে অবশ্য আরও অনেক বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, প্রথমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানি হবে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্তে অনড় থাকেনি সরকার। দেড় মাসের মাথায় ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়।

গত বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ টন। রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৬৩ টন। এ বছর ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনুমোদিত পরিমাণের ইলিশ পাঠাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম গণামাধ্যমকে জানান, পূজার ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি চালু ছিল। আজ শেষ দিনে ৩৬ টনের মতো ইলিশ ভারতে রপ্তানি হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯–২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়। ২০২০–২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রপ্তানি হয়। অন্যদিকে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। সে হিসাবে ৫ বছরে মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হয় ভারতে।

এদিকে, শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা, মজুত বা সংরক্ষণ এবং বিপণন সবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

ভারতে ২৪২০ টন অনুমোদনের বিপরীতে ইলিশ গেছে ৫৩৩ টন

আপডেট সময় ১১:০৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে ইলিশের সংকট এবং দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি করা যায়নি। শনিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত ১৭ দিনে ভারতে গেছে সর্বমোট ৫৩৩ টন ইলিশ। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর জানায়,

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ রপ্তানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।

২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।

এ বছর ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ গড়ে ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হয়েছে, যা দেশের ১ হাজার ১৮০ টাকার মতো। দেশের বাজারে অবশ্য আরও অনেক বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, প্রথমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানি হবে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্তে অনড় থাকেনি সরকার। দেড় মাসের মাথায় ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়।

গত বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ টন। রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৬৩ টন। এ বছর ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনুমোদিত পরিমাণের ইলিশ পাঠাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম গণামাধ্যমকে জানান, পূজার ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি চালু ছিল। আজ শেষ দিনে ৩৬ টনের মতো ইলিশ ভারতে রপ্তানি হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯–২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়। ২০২০–২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রপ্তানি হয়। অন্যদিকে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। সে হিসাবে ৫ বছরে মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হয় ভারতে।

এদিকে, শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা, মজুত বা সংরক্ষণ এবং বিপণন সবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।