ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেরোবির সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখ্যান করলেন নাহিদ

বেরোবির সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখ্যান করলেন নাহিদ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসে প্রধান অতিথির সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।শনিবার (১২ অক্টোবর)

দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মঞ্চে নাহিদের পাশাপাশি দুই শিক্ষককেও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় নিজের সম্মাননা স্মারকটি প্রত্যাখ্যান করেন নাহিদ।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই শিক্ষককে অনুষ্ঠান মঞ্চে সম্মাননা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে সম্মাননা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তথ্য উপদেষ্টা।

জানা যায়, বক্তব্য পর্ব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায় এবং কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফকে সম্মাননা স্মারক দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিরোধিতা করেন।

এ সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা স্বৈরাচারের সাহায্য করেছে তাদেরকে সম্মাননা স্মারক দেওয়াটা আমরা মানতে পারি না। যারা আসাদ মণ্ডল ও মশিউরকে সাহায্য করেছে, যাদের আজ সম্মাননা দেওয়া হলো তাদের একজন আন্দোলনে হামলাকারীদের উসকানিদাতা স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায়। অন্যজন কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ আবু সাঈদের মৃত্যুর পর বিতর্কিত কলামের একটি বাক্য লিখেছেন, যার উত্তর চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের সম্মাননা দেওয়া মানে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছেন। তাদের সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে আন্দোলন করা হবে। পরে তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অভ্যুত্থান শেষ হয়ে যায়নি।

এই অভ্যুত্থানকে বিপ্লবে নিতে হবে। প্রয়োজনে দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থান হতে পারে। আমরা মনে করছি, ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট কাঠামো এখনো রয়ে গেছে রাষ্ট্রে, সমাজে এবং একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমাদের এক দফা ছিল ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার বিনাশ ঘটানো।

তিনি বেরোবি উপাচার্যের উদ্দেশে বলেন, ‘যেন এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। এই মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত এবং বেরোবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণে সক্ষমতা নিয়ে এসে প্রকৃত সম্মাননা গ্রহণ করব।

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবির সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখ্যান করলেন নাহিদ

আপডেট সময় ০৫:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসে প্রধান অতিথির সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।শনিবার (১২ অক্টোবর)

দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মঞ্চে নাহিদের পাশাপাশি দুই শিক্ষককেও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় নিজের সম্মাননা স্মারকটি প্রত্যাখ্যান করেন নাহিদ।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই শিক্ষককে অনুষ্ঠান মঞ্চে সম্মাননা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে সম্মাননা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তথ্য উপদেষ্টা।

জানা যায়, বক্তব্য পর্ব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায় এবং কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফকে সম্মাননা স্মারক দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিরোধিতা করেন।

এ সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা স্বৈরাচারের সাহায্য করেছে তাদেরকে সম্মাননা স্মারক দেওয়াটা আমরা মানতে পারি না। যারা আসাদ মণ্ডল ও মশিউরকে সাহায্য করেছে, যাদের আজ সম্মাননা দেওয়া হলো তাদের একজন আন্দোলনে হামলাকারীদের উসকানিদাতা স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায়। অন্যজন কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ আবু সাঈদের মৃত্যুর পর বিতর্কিত কলামের একটি বাক্য লিখেছেন, যার উত্তর চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের সম্মাননা দেওয়া মানে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছেন। তাদের সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে আন্দোলন করা হবে। পরে তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অভ্যুত্থান শেষ হয়ে যায়নি।

এই অভ্যুত্থানকে বিপ্লবে নিতে হবে। প্রয়োজনে দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থান হতে পারে। আমরা মনে করছি, ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট কাঠামো এখনো রয়ে গেছে রাষ্ট্রে, সমাজে এবং একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমাদের এক দফা ছিল ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার বিনাশ ঘটানো।

তিনি বেরোবি উপাচার্যের উদ্দেশে বলেন, ‘যেন এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। এই মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত এবং বেরোবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণে সক্ষমতা নিয়ে এসে প্রকৃত সম্মাননা গ্রহণ করব।