ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূজামণ্ডপে ইসলামি সংগীত বিতর্কে আটক ১

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • 218

চট্টগ্রামের একটি পূজামণ্ডপে সংগীত বিতর্কের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে নগরীর জে এম সেন হলে পূজামণ্ডপে এটি পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির কয়েকজন শিল্পী। তারা দুটি গান পরিবেশন করেন। তবে এর একটি ইসলামী সংগীতের কয়েককটি লাইন নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় মন্ডপ কমিটির দু’পক্ষের মধ্যে । ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাতেই ওই পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছয় সদস্য অনুষ্ঠানে দুটি গান পরিবেশন করেন। তার মধ্যে একটি গান ছিল ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রায় ৩ মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ছয়জন তরুণ মঞ্চে গান পরিবেশন করছেন। এ সময় তারা একটি ইসলামি সংগীত পরিবেশন করছেন। আশপাশে উপস্থিত কয়েকজনকে সেটি মুঠোফোনে ধারণ করতে দেখা যায়।

কালচারাল একাডেমির দাবি, পূজা কমিটির সম্মতিতেই মঞ্চে উঠেছিলেন। তবে পূজা কমিটি বলছে তারা আমন্ত্রিত ছিলেন না। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান বলেন, পূজা উদ্‌যাপন কমিটির আমন্ত্রণেই সেখানে সংগীত পরিবেশন করতে গেছেন তারা। সেখানে দুটো গান পরিবেশন করা হয়েছে, দুটোই সম্প্রীতির সংগীত। কেউ কেউ ভিডিও এডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও যাচাই করে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, পূজামণ্ডপে গানের ভিডিওটি আসল, এডিটেড নয়।

পূজামণ্ডপে ইসলামি সংগীত বিতর্কে আটক ১

আপডেট সময় ০৯:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামের একটি পূজামণ্ডপে সংগীত বিতর্কের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে নগরীর জে এম সেন হলে পূজামণ্ডপে এটি পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির কয়েকজন শিল্পী। তারা দুটি গান পরিবেশন করেন। তবে এর একটি ইসলামী সংগীতের কয়েককটি লাইন নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় মন্ডপ কমিটির দু’পক্ষের মধ্যে । ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাতেই ওই পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছয় সদস্য অনুষ্ঠানে দুটি গান পরিবেশন করেন। তার মধ্যে একটি গান ছিল ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রায় ৩ মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ছয়জন তরুণ মঞ্চে গান পরিবেশন করছেন। এ সময় তারা একটি ইসলামি সংগীত পরিবেশন করছেন। আশপাশে উপস্থিত কয়েকজনকে সেটি মুঠোফোনে ধারণ করতে দেখা যায়।

কালচারাল একাডেমির দাবি, পূজা কমিটির সম্মতিতেই মঞ্চে উঠেছিলেন। তবে পূজা কমিটি বলছে তারা আমন্ত্রিত ছিলেন না। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান বলেন, পূজা উদ্‌যাপন কমিটির আমন্ত্রণেই সেখানে সংগীত পরিবেশন করতে গেছেন তারা। সেখানে দুটো গান পরিবেশন করা হয়েছে, দুটোই সম্প্রীতির সংগীত। কেউ কেউ ভিডিও এডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও যাচাই করে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, পূজামণ্ডপে গানের ভিডিওটি আসল, এডিটেড নয়।