ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারে গুলি, নিহত ১

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • 41

ছবি : প্রতিকী

সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওসমান নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জেলে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে। আহত ৩ জেলেও একই ট্রলারের।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, আমার মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারে হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এসময় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। পরে পাশে থাকা ৫টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। সেখানে ৬০ জন ছিল। পরে ২ ঘণ্টা পর মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ছেড়ে দেন। ট্রলার নিহত ও গুলিবিদ্ধের নিয়ে টেকনাফ উপকূলের দিকে রওনা দিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের নৌ বাহিনীরা ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝি-মাল্লাদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। তারা কূলে এলে বিস্তারিত জানতে পারব।

ট্যাগস :

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারে গুলি, নিহত ১

আপডেট সময় ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওসমান নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জেলে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে। আহত ৩ জেলেও একই ট্রলারের।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, আমার মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারে হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এসময় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। পরে পাশে থাকা ৫টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। সেখানে ৬০ জন ছিল। পরে ২ ঘণ্টা পর মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ছেড়ে দেন। ট্রলার নিহত ও গুলিবিদ্ধের নিয়ে টেকনাফ উপকূলের দিকে রওনা দিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের নৌ বাহিনীরা ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝি-মাল্লাদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। তারা কূলে এলে বিস্তারিত জানতে পারব।